ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4582 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাইবোন!
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও শিক্ষা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলে, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে শিক্ষার সুযোগ পায়,তাহলে দু’টি শর্তে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে শিক্ষার্জন করা জায়েয হবে।যথাঃ-
(এক)সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে।
(দুই)সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
সুতরাং
প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরী যে,তারা প্রথমে নিজ দেশ বা কোনো ইসলামী দেশে লেখাপড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাপ্রচেষ্টা করবে।
নারী-পুরুষ সবার জন্য একই শর্ত।তবে নারীদের জন্য পৃথক কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়। তারা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে না।এবং অনিরাপদ স্থানে একাকী বসবাস করতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3447
সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রশ্নের বিবরণমতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
আপনার পরবর্তী প্রশ্নের জবাব কিছুক্ষণের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
(২)
যতই অসুবিধে হোক না কেন? মহিলা শিক্ষিকার দিকে থাকানো যাবে না।
(৩)
শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত অমুসলিম দেশে বসবাস করা যাবে না।বিনা প্রয়োজনে যারা অমুসলিম দেশে বসবাস করবে,তাদের সম্পর্কে হাদীসে ধমকি এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের জন্য সুপারিশ করবেন না।বাস্তবে যে সুপারিশ করবেন না, এমনটা নয়,বরং এটা একটা ধমকি।কেননা অমুসলিম দেশে থাকা নিজের সন্তাদির জন্য হুমকি স্বরূপ।এমনকি নিজের ঈমান আমলের জন্যও হুমকি স্বরূপ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3447
তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।
(৪)
সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অমুসলিম দেশে সহশিক্ষা গ্রহণের মুহূর্তে যদি পর্দা চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলাফ হয়, তাহলে তখন জায়েয হবে না।সুতরাং আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে সহশিক্ষা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(৫)
লেখাপড়ার পাশাপাশি মাতাপিতাকে খেদমত করার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করতে হবে। যদি মাতা পিতার আদেশেই কলেজ ভার্সিটি পড়া হয়, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার খেদমত না করলেও কোনো সমস্যা হবে না।
(৬)
না, নন মাহরামের দিকে কোনোক্রমেই থাকানো যাবে না।
(৭)
ইলম একটি ব্যাপক শব্দ।ইলম শিক্ষা করা ফরয।ফরয আবার দুই প্রকার যথা-(১) ফরযে আইন (২) ফরযে কেফায়া। কলেজ ভার্সিটির শিক্ষা করা ফরযে কেফায়ার অন্তর্ভুক্ত।
(৮)
অত্যান্ত বেশ গরম পানি খাওয়া নিষেধ।সহনীয় পর্যায়ের যেমন চা, কপি, এগুলো নিষিদ্ধতার আওতাধীন নয়।
(৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4339
(১০)
ঈদে মিলাদুন্নবী বিদ'আত। তবে তাসবিহ গণনা করা বিদ'আত নয়,তা যা দ্বারাই হোক না কেন?
(১১)
বিতিরের নামাযে দু'আয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2027
(১২)
শাড়ী যদি এমন ভাবে পড়া হয় যে, শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঢেকে থাকে, তাহলে তা নাজায়েয নয়। এবং যদি সাথে হিজাবও পড়া হয়, তাহলে তা দোষের কিছু নয়। তবে এমনভাবে শাড়ী পড়া উচিৎ নয় যে, শরীরের কিছু অঙ্গ খোলা থাকবে।
(১৩)
জ্বী, হারাম।
(১৪)
ভ্রমণ জায়েয।
(১৫)
জ্বী, হাই কমোট ব্যবহার করা যাবে।
(১৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/8108
(১৭)
জ্বী, জায়েয।
(১৮)
সাবাল হলে আপনি নিতে পারবেন না।তবে আপনার বাবার হালাল টাকা থেকে নিতে পারবেন।
(১৯)
সন্দেহমুলক জিনিষ পরিহার করাই উত্তম।