বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2260 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফরয নামায পরিত্যাগ করা কবিরাহ গোনাহ। আর
কোনো কবিরাহ গোনাহ করলে মুসলমান ঈমান থেকে খারিজ হবে না।এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা এবং বিশ্বাস।অবশ্যই হত্যাকারী শাস্তিভোগ করবে।তবে যদি সে তাওবাহ করে নেয়,এবং কেসাস হিসেবে তাকেও হত্যা করে দেয়া হয়,বা সে দিয়ত আদায় করে নেয়,তাহলে হয়তো আল্লাহ তাকে ক্ষমা ও করে দেবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১/৬৬৫)
আপনি যে হাদীসের কথা উল্লেখ করেছেন,
قال عبد الله: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «سباب المسلم فسوق، وقتاله كفر»
মুসলমানকে গালি দেয়া ফিসক।এবং হত্যা করা কুফরী।(সহীহ বেখারী-৭০৭৬)
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
وأما قتاله بغير حق فلا يكفر به عند أهل الحق كفرا يخرج به من الملة كما قدمناه في مواضع كثيرة إلا إذا استحله فإذا تقرر هذا فقيل في تأويل الحديث أقوال أحدها أنه في المستحل والثاني أن المراد كفر الاحسان والنعمة وأخوة الاسلام لاكفر الجحود والثالث أنه يؤول إلى الكفر بشؤمه والرابع أنه كفعل الكفار والله أعلم
মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে হত্যাকারী আহলে হক তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতানুসারে কাফির হবে না।তবে যদি কেউ হত্যাকে হালাল মনে করে হত্যা করে,তবে সে কাফির হয়ে যাবে।তাই উপরোক্ত হাদীসের কয়েকটি ব্যখ্যা হতে পারে।যথাঃ-(১)কেউ যদি হত্যাকে হালাল মনে করে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে,তবে সে কাফির।(২)কাফির অর্থ অস্বিকারককারী।সুতরাং এখানে অর্থ হলো,আল্লাহর নিয়ামত,ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ কে অস্বীকারকারী।ইসলামকে অস্বীকারকারী নয়।(৩)উক্ত কাজ এত অলক্ষণীয় যাকে কুফুর দ্বারা ব্যখ্যা করা যায়।(৪)এটা যেন কাফিরেরই কাজ।এটা কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না।(আল-মিনহাজ শরহে মুসলিম-২/৫৪) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।