আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
425 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
একটা ভিডিওতে দেখেছি ফেসবুক, ইউটিউব সহ আরো এরকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হারাম এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রচার এবং এগুলো নরমালাইজ করাই  ইয়াহুদী, ইলুমিনাতিদের মূল উদ্দেশ্য।
সেক্ষেত্রে ইয়াহুদীদের তৈরি পন্য ব্যবহার করা যাবে কিনা?
ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় অনেকেই হারাম প্রমোট করে, বেপর্দা ছবি শেয়ার করে, যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, তারপরেও অনেক সময় সামনে চলে আসে।

আমি ফেসবুকে বেশিরভাগ সময়ে ইসলামিক পোস্ট শেয়ার করি। আমাদের তালিকায় মানুষদেরও আমি নতুন কোনো ইসলামিক কিছু  জানলে শেয়ার করি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেসবুক ব্যবহারের বিকল্প কি! আমি মাত্র গ্রাজুয়েশন শেষ করা একজন ব্যক্তি। চাকুরী এবং কর্মক্ষেত্রের খোজ খবর রাখার জন্য এবং যোগাযোগ করার  হলেও আমাকে ফেসবুক ব্যবহার করতে হচ্ছে। যেহেতু সব আপডেট এখানেই আসে।
এই অবস্থায় আমার কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/21403/?show=21403#q21403 নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, সোশ্যাল মিডিয়া একমাত্র দ্বীনি প্রয়োজন এবং খবর আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। টাইমপাস বা উপভোগ বা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার পূর্বে হারাম ও নাজায়েয জিনিষ থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে হবে। এটা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। সুতরাং কেউ যদি নাজায়েয ও হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে না পারে ,তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার জায়েয হবে না।হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো না জেনে কেউ হঠাৎ যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়, এবং হারামে লিপ্ত হয়, তাহলে এই হারামের গোনাহ তার অবশ্যই হবে।

বিশেষ জরুরত ছাড়া ছবি অঙ্কন করা বা ছবি তোলা হারাম।পাসপোর্ট বা শিক্ষা প্রতিষ্টান কিংবা চাকুরী ইত্যাদির জন্য ছবি তোলাকে ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয বলেছেন। তাছাড়া দ্বীন প্রচারের স্বার্থে যদি কেউ ভার্চুয়াল জগতে কোনো একাউন্ট খুলে,তাহলে ভেরিফাইড একাউন্ট করার জন্য প্রুফাইল পিকচার হিসেবে দ্বীনদ্বারি ও নমনীয় ভঙ্গিমায় একটি ফটো দিতে পারে। এমনটাই অনেকে বলে থাকেন। অবশ্যই এ অনমতি পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যথায় সকল প্রকার ছবিই হারামের অন্তর্ভুক্ত।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1912

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যে ছবি আপলোড করি, তা নাজায়েয ও হারাম । শুধুমাত্র দ্বীনি প্রয়োজনে জায়েয হতে পারে। বিনা প্রয়োজনে কেউ ছবি আপলোড করলে, এবং এ ছবির কারণে কেউ ফিতনায় পতিত হলে, এর এক হিসসা গোনাহ উক্ত আপলোড কারীর উপর বর্তাবে।

বিশেষ জরুরত ব্যতিত বিপরীত লিঙ্গের কারো লিখায় লাইক কমেন্ট করা যাবে না। এবং বিশেষ জরুরত ব্যতিত কারো সাথে ইনবক্সে কথা বলা যাবে না। নন মাহরাম শায়খদের লেকচার শুনা যাবে। তবে অযথা তাদের কোনো পোষ্টে লাইক কমেন্ট করা যাবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কোন ব্যক্তি দ্বীন প্রচারের মাধ্যম হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাহলে তা জায়েয আছে। তবে যদি কোন গোনাহ বা ফেতনার মধ্যে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তার জন্য তা পরিহার করা আবশ্যক । সুতরাং এটি ব্যবহার করা বৈধ হওয়া না হওয়া নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর উপর। অর্থাৎ কোন গায়রে মাহরাম নারীকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখা যাবে না,কোন বেগানা নারীর ছবি দেখা বা তাতে লাইক কমেন্ট করা, অযথা টাইম পাস করা, অশ্লীল বা খারাপ কোন ছবি আপলোড করা ইত্যাদী এজাতীয় কাজ যদি কেউ না করে তাহলে তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের অনুমতি আছে। অন্যথায় তা নাজায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম  
যদি আমি ফেসবুকে কোন ফোটো আপলোড করি না,কিন্তু ফ্রেন্ডলিস্টে গায়রে মাহরাম আছে।আমি তাদের আনফলো করে রেখেছি,যাতে তাদের কোন কিছু আমাকে না দেখতে হয়। সরাসরি,আনফ্রেন্ড করলে হয়তো তারা মনে কিছু নিতে পারে, তাই এমনভাবে রেখেছি। এটা কিছুটা ফ্রেন্ডলিস্টে থেকেও না থাকার মতো। এখন,আমার কি  গুনাহ হবে, তারা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকার জন্য।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...