আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম জনাব, আমি আগে খারাপ ছিলাম গাঞ্জা খেতাম এক বন্ধ আমাকে গাঞ্জা কিনতে কিছু টাকা দেয় আমি সেই টাকা মেরে দেই এখন আমার করনিয় কি? যদি বিস্তারিত বলে দিতেন অনেক উপকার হত! আমি এ বিসয় নিয়ে অনেক চিন্তিত যদি উত্তর দিতে তাহলে  অনেক উপকার হত!


জাজাকাল্লাহ খাইরান

সষহপতপগেবমপবডেসবকশনসপসবকা েে কসনেসনেডনডকডনডকডমেডনডকডমডকনডকডনডকডনডজডনডমশকশজডমকডনডজডজডমডনডনডকডনডনডস

1 Answer

0 votes
by (63,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

শরীয়তের বিধান হলো  কারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।

,

আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয়; সে দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম থাকলে সেটা থেকে তার যুলুমের পরিমাণ কেটে নেয়া হবে। আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপের কিছু তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।"[সহিহ বুখারী (২৪৪৯)]

 

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/1012/

https://ifatwa.info/9885/

 

বান্দার হক,এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

যতক্ষন পর্যন্ত তাহা আদায় না করা হবে বা ঐ বান্দা তাকে মাফ না করবে,কোনো আমলেই তাহা মাফ হবেনা। হাদীস শরীফে এসেছেঃ    

 

عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: العمرۃ إلی العمرۃ کفارۃ لما بینہما الخ۔ (صحیح البخاري رقم: ۱۷۷۳، صحیح مسلم رقم: ۴۳۷)

সারমর্মঃ এক ওমরা থেকে আরেক ওমরাহ মাঝের সমস্ত গুনাহ মোচন কারী,,, 

 

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে    

(ہذا الحدیث) تدل علی محو جمیع السیئات الصغائر والکبائر غیر حقوق العباد في أرجح الأقوال عند العلماء … أما حقوق العباد ومظالمہم لابد من ردہا إلی أصحابہا۔ (التصویر النبوي للقیم الخلقیۃ والتشریعیۃ / العمرۃ إلی العمرۃ والحج المبرور ۱؍۱۱۹ الشاملۃ)

সারমর্মঃ এই হাদীস সমস্ত ছগীরা কবিরা গুনাহ মাফের ঈঙ্গিত বহন করে,কিন্তু হুকুকুল ইবাদ তথা বান্দার হক ব্যতিত। এটা উলামায়ে কেরামদের প্রাধান্য পাওয়া মত।  

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/11069/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি ঐ বন্ধুর যতটাকা মেরে দিয়েছেন তা তাকে পরিশোধ করে দিবেন। যদি এই কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন তাহলে তাকে হাদিয়া দিলাম বলেও পরিশোধ করতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, ঐ বন্ধু যদি এখনো গাঞ্জা খায় তাহলে তাকে একটু কুরআন হাদীসের আলোকে বুঝাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (16 points)
 জনাব,ঐ ত আমাকে গাঞ্জা কিনতে টাকা টা  দিয়েছিল? তারপর ও আমাকে টাকা টা দিতে  হবে? 
by (63,040 points)
সে যদি আপনাকে গান্জা খেতে ঐ টাকা দিয়ে থাকে তাহলে আর তাকে দেওয়া লাগবে না৷ আর যদি সে নিজে গান্জা খাওয়ার জন্য আপনাকে গান্জা কেনার জন্য আপনাকে টাকা দিয়ে থাকে তাহলে ঐ টাকা তাকে ফেরত দিতে হবে৷
by (16 points)
যদি মাফ চেয়ে নেই তাহলে হবে?
কিন্তু একটা প্রশ্ন তা হোল আমাকে একজন বলেছিল এ কাজটি  করতে তার টাকা ও সেই একবার মেরে দিয়েছিল  এখন পূর দায় ভার কি আমার!  আমার ইচ্ছা ছিল না তার কথায় আমি এগুলো করি! 
আপনার মুল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
by (16 points)
হুযুর অপেক্ষায় আছি!!
by (63,040 points)
১, আপনি তার কাছে মাফ চাওয়ার পরে সে আপনাকে মাফ করে দিলে হবে অন্যথায় নয়৷
২, হ্যাঁ, পূর্ণ দায় ভার আপনাকেই দিতে হবে৷ কারণ আপনিই তার টাকাটা মেরে দিয়েছেন৷ আর সে আপনাকে টাকাটা মেরে দিতে বলার কারণে সে গুনাহগার হবে৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...