আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) আল্লাহ  বলেছেন যে সফল হবে আমি তাকে এমন এক পুরষ্কার দিব , যা কোন চোখ দেখেনি, কান শুনেনি,  কোন অন্তর কল্পনাও করতে পারে নি।
আবার রাসুল সা তিনি জান্নাত দেখেছেন। যেমন তিনি আল্লাহ কে প্রশ্ন করেছে ওই সুন্দর প্রাসাদ কার আল্লাহ বলেছে তোমার,  তাছাড়া মেরাজে  জান্নাত ও জাহান্নাম স্বচোক্ষে দেখেছেন কিছু কিছু বর্ননাতে পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহ যে বলল কোন চোখ দেখে নাই এমন কি অন্তর কল্পনাও করে নাই
দুই জনের কথা দুই রকম কিভাবে হল?

খ) এখন কেন আউয়াল ওয়াক্তে আজান দেয় না. বিশেষ করে গরম কালে.ধরেন ফযর হয় ৪ তাই কিন্তু আজান দেয় ৪.৩০ এ।এখন কোনো ভাই বা বোন যদি আজান এর জন্য ওয়েট করে এর মধ্যে যদি ওই বোন এর মাসিক হয় বা ওই ভাই মারা যাই তাহলে এই দায় কে নিবে .কারণ সেও ভাই তো আজান এর জন্য বইটি করলো কিন্তু এর মাঝে তার মির্তু হলো. বোন তো আজান এর জন্য অপেক্ষা করলো এর মাঝে মাসিক হলো.এখন যদি আওয়াল অক্ত আজান দিতো তাহলে অন্ত তো নামাজ তা আদায় করতে পারতো

c)মানুষ মারা গেলে যে কালিমা বা আয়াত লিখিত গিলাফ দিয়ে ঢেকে রাখে এই তা কত টুকু যুক্তি সংগত ?কারণ জীবিত অবস্থায় মানুষ কতই না সম্মান করে মরে গেলে কেন এই আয়াত বা কালিমা পায়ের কাছে থাকে ?ইসলামে এর ভিত্তি কি? যদি ভিত্তি না থাকে তাহলে এই গিলাব কেন মসজিদ

d) হাসর এর মাঠে যদি আল্লাহ ইমাম আবু হানিফা কে প্রশ্ন করে তুমি কি কাও কে বলসো তোমাকে মানতে/ ফলো করতে ?তিনি যদি উত্তর দেন যে না আমি কাও কে বলি নাই তাহলে আমরা যে ফলো করি তাহলে আমাদের কি হবে?আমি হানাফী বলে কি আমাকে হানাফী এ মানতে হবে আমি যদি অন্য কোনো মাঝাব বা সলফে এর থেকে উত্তম পাই সেটা কি আমি নিতে পারবো না?যদি না পারি তাহলে কি আমি এক মুখী হয়ে গেলাম না যেটা কে অন্ধ ফলো বলে?

e)বালাগাল উলা বি কামালিহি
কাশাফাদ্দু জাবি জামালিহি
হাসনাত জামিউ খিসালিহি
সাল্লু আলাইহে ওয়াআলিহি
বালাগাল উলা বি কামালিহি

বালাগাল উলা বি কামালিহি
কাশাফাদ্দু জাবি জামালিহি
হাসনাত জামিউ খিসালিহি
সাল্লু আলাইহে ওয়াআলিহি
বালাগাল উলা বি কামালিহি

এইটা যে পড়া হয় বিভিন্ন মিলাদ যা দুরুত হিসেবে. এই দুরুদ কই পাইলো ?আর আল্লাহ রাসূল ত বলেছেন তার নাম কেউ মিথ্যা বললে সে জাহান্নামী তাহলে কেন মসজিদ এর ইমাম গণ এই মীলাদ পড়েন. ইমাম রা যদি এই রকম করে তাহলে আমরা সমাজে কে কে ফলো করবো

f)ফাজায়েলে আমল হাদিস আসছে আদম যাও তুমি ৬০ হাজার বার হজ করেছেন , কিন্তু আমরা জানতে পারি উনি বেঁচে ছিলেন এ ১০০০ বছর ,তার জীবন দশায় যদি এক বার করেও হজ করে তাহলে ৬০ হাজার কিভাবে হয়? যদি না হয় তাহলে কেন ওই সব বই গুলো কে পরিবর্তন করা হয় না

g) রাসুল বলেছেন যে বেক্তি ইচ্ছা কিত নামাজ ছেড়ে দেয় সে কাফের, কাফের এর মুমিন এর মাঝে পার্থ ক সালাত. এই হাদিস সহি .এই হাদিস এর ভিত্তিতে বিবাহ ভেঙ্গে যাই. এমন অবস্থায় আমাদের করণীয় কি ? তাহলে কি সমাজে সবাই কাফের হয়ে গিয়েছে যারা আদো নামাজ ইচ্ছা করে ছেড়ে দেয়?তাদের বিবাহ বাতিল? কিন্তু এই সাইড হানাফি মাজহাবে খুব হাল্কা করে নিয়ে অন্য দেখা দেয় কিন্তু কেন
closed
by (589,260 points)
জাযাকাল্লাহ, বাংলায় লিখার জন্য ধন্যবাদ।

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)
edited by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ذُخْرًا بَلْهَ مَا أُطْلِعْتُمْ عَلَيْهِ ) ، ثُمَّ قَرَأَ ( فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ )
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব বস্তুরাজি তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন ব্যক্তির মন কল্পনা করেনি। এসব ছাড়া যা কিছুই তোমরা দেখছ, তার কোন মূল্যই নেই। তারপর এ আয়াত পাঠ করলেন, কেউ জানে না তাদের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর কী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পারিতোষিক হিসেবে। আবূ মুয়াবিয়াহ আ’মাশ হতে তিনি আবূ সালিহ হতে বর্ণনা করেন, আবূ হুরাইরাহ قُرَّةِ أَعْيُنٍএর স্থলে قُرَّاتِ أَعْيُنٍ পড়তেন।(সহীহ বোখারী-৪৭৮০-শামেলা)

রাসূলুল্লাহ সাঃ জান্নাত জাহান্নাম দেখেছেন,
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
عن عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ( اطَّلَعْتُ فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ وَاطَّلَعْتُ فِي النَّارِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি জান্নাতের অধিবাসী সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি। আমি জানতে পারলাম, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী হবে দরিদ্র লোক। জাহান্নামীদের সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি, আমি জানতে পারলাম, এর বেশির ভাগ অধিবাসী নারী।’ (সহীহ বোখারী-৩২৪১শামেলা)

জান্নাতীদের জন্য আল্লাহ পাক যা কিছু তৈরী করেছেন, তা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউ দেখেনি। রাসূলুল্লাহ সাঃ যা কিছু দেখেছিলেন, তা ছিল নমুনামাত্র,পূর্ণ অবকাঠামো দেখেননি, যৎ সামান্য দেখেছিলেন। এজন্য আল্লাহ বলতেছেন, কোনো চোখ দেখেনি অর্থাৎ জান্নাতের সমস্ত কিছু যা আমি নেককার বান্দাদের জন্য তৈরী করেছি, তা কেউ দেখেনি।

মোটকথা:
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সংক্ষিপ্ত আকারে জান্নাত জাহান্নাম দেখিয়েছেন। আল্লাহর উদ্দেশ্য হল, বিস্তারিত ভাবে আমি কাউকে দেখাইনি।

(২) আল্লাহ বলছেন, দেখেনি।তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে দেখাতে পারেন। আল্লাহ শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ কে প্রদর্শন করিয়েছিলেন।


(খ)
যেহেতু হাদীসে প্রত্যেকটা নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্ত বলে দেয়া হয়েছে, তাই এই মুস্তাহাব ওয়াক্তের পূর্বে যদিও ওয়াক্তের ভিতর তার মৃত্যু হয় বা মাসিক শুরু হয়, তাহলে তার কোনো গোনাহ হবে না।এবং এই নামাযের দায়ভাড়ও তাকে নিতে হচ্ছে না। তবে সে পরবর্তীতে সুস্থ হলে, তাকে উক্ত নামায কাযা করতে হবে।


(গ)
মৃতব্যক্তির শরীর উপর কালেমা সম্ভলিত চাদর ইত্যাদি রাখার কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি শরীয়তে নাই।সুতরাং এটা পরিত্যাজ্য। 

(ঘ)
এখানে ইমাম আবু হানিফা প্রশ্ন করার বা না করার ইস্যু কেন চলে আসছে? আল্লাহ বলছেন যে, যারা বিজ্ঞজন তাদের অনুসরণ করতে। তাই আমরা ইমাম আবু হানিফা বা ইমাম শাফেয়ীর অনুসরণ করছি।
হ্যা, ইমাম আবু হানিফা ব্যতিত অন্য যে কোনো ইমামকে অনুসরণ করতে পারবেন।তবে সর্বক্ষেত্রে এক ইমামকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা নফসের প্রবৃত্তির অনুসরণের সম্ভাবনা থেকে যাবে।

(ঙ)
এটা শেখ সাদীর কবিতা।এই কবিতার অর্থ খুবই সুন্দর।তবে একে সুন্নাহ দ্বারা বর্ণিত মনে করা যাবে না।ওয়াজ মাহফিলে এটা বলার পূর্বে শেখ সাদীর নাম উচ্ছারণ করাই শ্রেয়,যাতে মানুষের মনের মধ্যে ভূল ধারণা না হয়।

(চ)
আদম আঃ এর হজ্ব করা নিয়ে ফাজাইলে আ'মল গ্রন্থে যে বিবরণ এসেছে, তা নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ সনদ দ্বারা প্রমাণিত নয়।


(ছ)
নামায পরিত্যাগ করা কবিরা গোনাহ।আর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস হল, কবিরাহ গোনাহ করলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হবে না।যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সেজন্যই এই নামায ত্যাগ সম্পর্কীয় হাদীসের ব্যখ্যা উলামায়ে কেরাম এভাবে করে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
করেছি বাংলায়
by (589,260 points)
মুহতারাম!
সংযোজন করেছি।একটু দেখবেন।জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 207 views
0 votes
1 answer 121 views
...