বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রত্যেক মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করা ফরয,নির্দিষ্ট সময় মানে প্রত্যেক নামাযের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত,আর নামাযের ওয়াক্ত সূর্যের সাথে সম্পর্কিত।সূর্যের নড়াচড়াই নামাযের সময়কে নির্ধারণ করে অর্থাৎ সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের গতিবিধিকে কেন্দ্র করে নামাযের ওয়াক্ত নির্ণয় করা হয়,তাই ওয়াক্তের পূর্বে নামায নাময আদায় হবেনা,এর থেকে বিরত থাকা সবার উচিৎ ।
আসরের নামায আসরের ওয়াক্তেই পড়তে হবে,এবং মাগরিবের নামায মাগরিবের ওয়াক্তে। হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে আসর দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব।তবে এক মিছিলের পর যদি কেউ পড়ে নেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণত উত্তম হচ্ছে আসরকে দুই মিছিলের পর পড়া।(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)
১৫নভেম্বরঃ-
এক মিছিল ২-৩৮মিনিট
দুই মিছিল ৩-৩৮মিনিট
পর থেকে শুরু হয়।
এবং মাগরিবের নামাযকে সুর্য অস্ত যাওয়ার পর পড়তে হবে,এর পুর্বে পরলে নামাযই আদায় হবে না।এবং দুই নামাযকে একত্রকরে অর্থাৎ জমা করে পড়া হজ্ব ব্যতীত অন্য কোনো সময় পড়া যাবে না বা বৈধ হবে না।
আপনি কোচিং এর টাইম বদল করুন।
অথবা কোচিং এর মধ্যে কোথাও নামায পড়ার ব্যবস্থা করুন যদিও একা হয়,অথবা বিশেষ প্রয়োজনের তাগিদে এক মিছিলে সাময়িকভাবে আসরের নামায পড়ুন ।তবে এরকম নিয়ম করা থেকে বিরত থাকুন।কেননা উত্তম হলো দুই মিছিলে আসরের নামায পড়া।