بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব ,
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صِنْفَانِ مِنْ
أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ
يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ،
رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ،
وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا
وَكَذَا»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামবাসী দু' প্রকার মানুষ,
আমি যাদের (এ পর্যন্ত) দেখিনি। একদল মানুষ, যাদের
সঙ্গে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, তা দ্বারা তারা লোকজনকে মারবে
এবং এক দল স্ত্রী লোক, যারা কাপড় পরিহিত উলঙ্গ, যারা অন্যদের আকর্ষণকারিণী ও আকৃষ্টা, তাদের মাথার চুলের
অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো। ওরা জান্নাতে যেতে পারবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবে না অথচ এত এত দূর হতে তার সুঘ্ৰাণ পাওয়া যায়। (সহীহ
মুসলিম-২১২৮)
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ
التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা
থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন:
إِنَّمَا التَّوْبَةُ
عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ
قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا
حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ
حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ
يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
[٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ
কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই
হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ
কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত
হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য,
যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ:
إن العبد إذا اعترف ثم تاب
تاب الله عليه
বান্দা নিজ কৃত গুনাহের কথা স্বীকার
করে যদি তওবা করে তাহলে আল্লাহও তার তওবা কবুল করেন। (বুখারী ও মুসলিম)
তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে
সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)
এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও
অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে
দৃঢ় সংকল্প করা।
তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.কোন গুনাহকে ছোট করে দেখার সুযোগ
নেই । শুকুরের গোস্ত খাওয়া, মদ পান
করা, যেনা করা যেমন কবীরা গুনাহ , বেপর্দায়
চলা ফেরা করাও তেমন কবীরা গুনাহ। আর কবীরা গুনাহ খারেস দিলে তওবা করা ছাড়া মাফ হয় না।
২.যতক্ষণ সময় কেউ বেপর্দায় চলাফেরা
করবে ততক্ষণ সে গুনাহগার হবে। প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে পূর্বের পর্দা করার ফজিলত সে পাবে
কিন্তু বর্তমানে বেপর্দায় চলার কারণে তার আমল নামায় গুনাহ লেখা হবে। বিধায় উক্ত বেপর্দার
অবস্থা থেকে তওবা করে ফিরে আসা আবশ্যক। কারণ,একটি কবীরা গুনাহ জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য
যথেষ্ট। ফ্রি মিক্সিং এমন অনুষ্ঠান যেখানে পরিপূর্ণ পর্দা করা যায় সেখানে যাওয়া জায়েয
নেই। সাধারণত শুধু থ্রিপিস ও মাথায় উড়না পরার দ্বারা পরিপূর্ণ পর্দা আদায় হয় না । বিধায়
এমন পরিবেশ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
৩.জ্বী এমন চিন্তাভাবনা রাখলে কোন
গুনাহ হবে না।