بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.উত্তেজনাবশতঃ বীর্য বের হবার পূর্বে যে সাদা ও তরল যে পানি
বের হয়, সেটিকে
বলা হয় মযী। মযী বের হলে গোসল ফরজ হয় না। তবে এটিও নাপাক। তাই কাপড়ের যে অংশে লাগবে,
কেবল সে অংশটি ধুয়ে ফেলা জরুরী। পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক নয়।
হযরত সাহল ইবনু হুসাইফ
(রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার অত্যধিক মজি নির্গত হত
তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ( ﷺ ) কে জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পর অযু করাই যথেষ্ট। তখন আমি
বলি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব?
তিনি বলেন, কাপড়ের যে যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে,
এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থান ধুয়ে নিবে, যাতে
তা দূরীভূত হয়। (আবু দাউদ ২১০)
২. ইসলামে কোন খেলা বৈধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে তা প্রচলিত
আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় পাওয়া যায় না। বিধায় তা নাজায়েয। এক কথায় হারাম কাজ মানুষকে
গোনাহগার বানিয়ে দেয়। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ইসলামে হারামের বিধান প্রণয়ন করে মানুষকে
অশান্তির শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে নিষ্কৃতি দান করেছেন।
হারামের বিধান প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ-
الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ
الأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ
وَالإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُم بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنكَرِ
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ وَيَضَعُ
عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالأَغْلاَلَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ
آمَنُواْ بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُواْ النُّورَ الَّذِيَ أُنزِلَ
مَعَهُ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের,
যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে
রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ
দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ
এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান
ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন
করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার
সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা
অর্জন করতে পেরেছে। [ সুরা আরাফ ৭:১৫৭ ]
সুতরাং কোন হারাম কাজ করার ক্ষেত্রে মূলত শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা
দেয়, এ ক্ষেত্রে
আল্লাহ তায়ালার কোন নুসরত বা মদদ থাকে না । তবে কোন হারাম বা নাজায়েয কাজ হওয়ার ইলম আল্লাহ তায়াল কাছে আছে । বিধায় ভারতের বিপক্ষে
পাকিস্তানের জয় পাওয়ার ইলম আল্লাহর আছে। আর প্রতিটি দল তাদের চেষ্টানুপাতে ফলাফল লাভ
করে থাকে।
৩.টুপি নেওয়ার জন্য নিচু হওয়া শির্কের মধ্যে শামিল নয়,কারণ এখানে টুপির ইবাদত করা উদ্দেশ্য হয় না বরং তা সুন্নাত আদায় করার
জন্য পরিধান করা হয়। সুতরাং এটি শির্ক মনে করা ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত। অনুরুপ ভাবে
বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া কোন মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।
তবে এটি শির্ক নয়। আপনার জন্য করণীয় হলো , হারাম রিলেশন পরিত্যাগ
করা অথবা সম্ভব হলে উক্ত মেয়েকে বিয়ে করে নেওয়া। কেননা, হারাম
রিলেশনের ব্যাপারে হাদীসে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারী এসেছে।