আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১) মজির বিধান কি?

২) ধরুন বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতকে হারিয়ে দিলো।

এখন এই বিষয়ে আমাদের আকিদা কেমন হবে
ক. আল্লাহ চেয়েছেন তাই পাকিস্তান জিতেছে

খ.পাকিস্তান ভালো খেলে তাই জিতেছে

আমি জানি এখন যেসব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় সেগুলো হারাম।আমি এটাই জানতে চাচ্ছি যে হারাম বিষয় নিয়ে আমাদের আকিদা কেমন হবে? এগুলো কি আল্লাহ ই নিয়ন্ত্রণ করেন??
৩)আমি সাধারণত শিরক থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি সবসময়।
যেই কাজেই সন্দেহ হয় যে শিরক হবে কি না সেটাই করা বাদ দিয়ে দেই

সেদিন নামাযের সময় টুপি পরতে গিয়ে মাথা নিচু হয়ে গেছিল টুপির সামনে,তখন সিদ্ধান্ত নিলাম টুপি পরব না

আবার সেদিন সন্দেহ হচ্ছিল যে প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক কি শিরক হচ্ছে নাকি?কিন্তু এটা ছাড়তে কষ্ট হচ্ছিল।তাই ভাব্লাম যে আপনাদেরকে জিজ্ঞাসা করি যে প্রেম করলে শিরক হবে কি না। এখন বিষয় হচ্ছে আমি সুন্নাহ বাদ দেওয়ার আগে শিওর হই নি যে এটা আসলেই শিরক কি না,কিন্তু প্রেম বাদ দেওয়ার বেলায় জিজ্ঞাসা করলাম

এতে কি প্রেম কে সুন্নাহর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

এতে কি শিরক হবে??

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

১.উত্তেজনাবশতঃ বীর্য বের হবার পূর্বে যে সাদা ও তরল যে পানি বের হয়, সেটিকে বলা হয় মযী। মযী বের হলে গোসল ফরজ হয় না। তবে এটিও নাপাক। তাই কাপড়ের যে অংশে লাগবে, কেবল সে অংশটি ধুয়ে ফেলা জরুরী। পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক নয়।

 হযরত সাহল ইবনু হুসাইফ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার অত্যধিক মজি নির্গত হত তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ( ) কে জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পর অযু করাই যথেষ্ট। তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব? তিনি বলেন, কাপড়ের যে যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থান ধুয়ে নিবে, যাতে তা দূরীভূত হয়। (আবু দাউদ ২১০)

২. ইসলামে কোন খেলা বৈধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে তা প্রচলিত আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় পাওয়া যায় না। বিধায় তা নাজায়েয। এক কথায় হারাম কাজ মানুষকে গোনাহগার বানিয়ে দেয়। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ইসলামে হারামের বিধান প্রণয়ন করে মানুষকে অশান্তির শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে নিষ্কৃতি দান করেছেন।

হারামের বিধান প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ-

الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُم بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالأَغْلاَلَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُواْ بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُواْ النُّورَ الَّذِيَ أُنزِلَ مَعَهُ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। [ সুরা আরাফ ৭:১৫৭ ]

সুতরাং কোন হারাম কাজ করার ক্ষেত্রে মূলত শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয়, এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার কোন নুসরত বা মদদ থাকে না । তবে কোন হারাম বা নাজায়েয কাজ হওয়ার  ইলম আল্লাহ তায়াল কাছে আছে । বিধায় ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় পাওয়ার ইলম আল্লাহর আছে। আর প্রতিটি দল তাদের চেষ্টানুপাতে ফলাফল লাভ করে থাকে।

৩.টুপি নেওয়ার জন্য নিচু হওয়া শির্কের মধ্যে শামিল নয়,কারণ এখানে টুপির  ইবাদত করা উদ্দেশ্য হয় না বরং তা সুন্নাত আদায় করার জন্য পরিধান করা হয়। সুতরাং এটি শির্ক মনে করা ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত। অনুরুপ ভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া কোন মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তবে এটি শির্ক নয়। আপনার জন্য করণীয় হলো , হারাম রিলেশন পরিত্যাগ করা অথবা সম্ভব হলে উক্ত মেয়েকে বিয়ে করে নেওয়া। কেননা, হারাম রিলেশনের ব্যাপারে হাদীসে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারী এসেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 161 views
0 votes
1 answer 58 views
asked Aug 20, 2023 in সালাত(Prayer) by Labib (8 points)
...