আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১) পূর্বে ঘটে গেছে এমন
কিছু বিষয়/ আলাপ-আলোচনা  /ঘটনা    নিয়ে মনে  সন্দেহ  আসাই কি ওয়াসওয়াসা???

ওয়াসওয়াসার সংজ্ঞা কি ছেলে এবং  মেয়ে  উভয়ের  জন্য  একই??? হানাফি মাযহাবের জন্য ও এটাই?
ওয়াসওয়াসার সংজ্ঞা কি জীবনের  সকল পরিস্থিতিতে (বিবাহিত, এক তালাক বায়েন  প্রাপ্ত, অবিবাহিত  ইত্যাদি)  একই?????

২) পূর্বে  একজনের সাথে  ঘটে  যাওয়া  কিছু  ঘটনা / পূর্বে তার  সাথে

  কিছু  আলাপ- আলোচনার

কিছু  বিষয়  নিয়ে  আমি  শিউর  না।

আমার  শুধু  মনে হয়   আমাদের
আলাপ-আলোচনায়  সে;

 "এমন বলেছিলো, কি না........,"
"এমন ঘটেছিল কি না.......।"

কিন্তু সেগুলো  আমার  স্পষ্ট  মনে  পড়ে  না।স্পষ্ট  কি, আসলে কিছুই মনে পড়ে না।

[ আমার  মনের অবস্থাটা নিম্নরূপঃ

নিজের  মনেই প্রশ্ন  আসে
" সে কি সেদিন  আমাকে এই কথাটা বলেছিলো? এমন কি ঘটেছিলো?
আবার  মনই উত্তর  দেয়
 না, সম্ভবত  এসব  বলে নাই।

এরপর আবার  মনই বলে" নাকি এমন বলছিল।???????
"আয়হায়! আমার  তো মনে পড়তেছে  না।

সে কি এমন কথা বলছিল? নাকি বলে নাই? নাকি বলছিলো???? ]

সেদিনের আলাপ- আলোচনাতে সে কি কি বলেছিলো, আমি স্পষ্ট  মনে  করতে  পারতেছি না,সত্যি।
আমি কি এটা আমার  জন্য  ওয়াসওয়াসা ধরে  নিবো???

৩) আমার  মনে যে  আমাদের  আলাপ-আলোচনার কিছু  বিষয়ের কথাগুলো নিয়ে  এমন অবস্থা  তৈরী  হয়েছে, এখন  আমি  কি ধরে  বাকি টা জীবন  পরিচালনা  করবো???

ইসলাম  আমাকে এক্ষেত্রে  কি নির্দেশ দেয়???

আমার  মনে যেগুলো সন্দেহ  হিসেবে  আসছে,সেগুলোর  সবগুলোই  আমার  জন্য  নেগেটিভ। আমার মনে আসা সন্দেহগুলোকে সত্যি  ধরে  বাকী জীবন  অতিবাহিত  করে আমার  কি নিজেকে কষ্ট  দেওয়া উচিত????

কিন্তু  যদি  সন্দেহগুলোর কোন  একটা সত্যি  হয় অথচ আমি  সেগুলোকে মিথ্যা ধরে জীবন পরিচালনা করি,তাহলে কি আমার  পাপ হবে???কিন্তু  আমার  কি দোষ  আমি তো স্পষ্ট  মনে  করতে  পারতেছি  না,সন্দেহের ব্যাপারগুলো???আমি তো শিউর না।

অবশ্যই নিচের  প্রশ্নের উত্তর  দিয়েনঃ

★★★আমি কি আমার  জন্য  পজেটিভ  জিনিসগুলো সত্যি ধরেই নির্ভয়ে- নিশ্চিন্তে জীবন  পরিচালনা  করবো ???? ★★★

★যার সাথে
আলাপ- আলোচনা  তাকে এসব বিষয়ে নিয়ে  জিজ্ঞেস করা একটা  বিশেষ কারণে  আমার  পক্ষে সম্ভব  না।★

৩) আমার জীবনে একটা  ঘটনা  ঘটার কাছাকাছি  সময়েই সম্ভবত  পরেরদিনই আবারও  বলি পরেরদিনই , ঐ ঘটনা  বর্ননা করে আমি এই ওয়েবসাইট  থেকেই ফতোয়া  নিয়েছি,গত ১০ তারিখ।

কিন্তু  আজকে হঠাৎ আমার  মনে হচ্ছে  ঐদিনের আলাপচারিতায় মনে হয়   এমন একটা  কথা  বলছিলো,এমন একটা ঘটনা  হয়েছিল , কিন্তু  সেগুলো  তো আমি   সেদিন উল্লেখ করে ফতোয়া  নেই নাই।

★আজকে   আমার  যেই বিষয়টা মনে হচ্ছে ......তা কিন্তু  আমার  স্পষ্ট  মনে  পড়ে  নাই। আমার  সন্দেহ। আজকে মনে হচ্ছে , সেদিন  মনে হয়  এটাও বলছিলো।নাকি বলে নাই।

কিন্তু  মুহতারাম, আমি যেদিন সেই  ঘটনাটা ঘটেছে, তার পরদিনই   আমি  ঘটনা বর্ননা করে ফতোয়াটা  নিয়েছি।সেদিন  তো আজকে আমার  মনে  যা সন্দেহ  হিসেবে  আসতেছে,তা উল্লেখ  করি নাই।

তাহলে আজকে যা মনে সন্দেহ  হিসেবে  আসতেছে, তা কি সত্যিই ঘটেছিলো???

তাহলে আমি সেদিন  উল্লেখ  করলাম না কেন?

 আজকে মনে সন্দেহ  হিসেবে  আসা ব্যাপারটা  গত ১০ তারিখ করা ফতোয়ার সাথে সংজোযন করে আবার আমি ফতোয়া নিবো????
নাকি গত ১০ তারিখ  আমি যে ঘটনা  বর্ননা করেছি তার বাহিরে আর  কিছু  ঘটে নাই,এমন ধরবো এবং নিশ্চিন্তে থাকবো????

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত।সুতরাং জীবনের সকল কিছুকে পজেটিভ ধরে নিয়ে আপনি জীবন পরিচালনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...