আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
এখানে  যেই  ছেলে-মেয়ের কথা বলা হবে তাদের সহবাসের পূর্বেই এক তালাক  বায়েন হয়ে গিয়েছিলো।
এক তালাক  বায়েন প্রাপ্ত  সেই ছেলে এবং মেয়ে

 গত ২ অক্টোবার বাস্তবে দেখা করে এবং মেয়েটা  পূর্বে ঘটে যাওয়া তালাক  বিষয়ে বিভিন্ন  খুঁটিনাটি  জিজ্ঞেস  করে
এবং

 যেসব বাক্য বললে বিয়ের পূর্বে তালাক  হয়ে  যায়, সেসব বাক্য কখনো ছেলেটা বলেছে কি না সেসব নিয়ে ও খুঁটিনাটি বারবার, বারবার, বারবার  জিজ্ঞেস  করে  ছেলেটার কাছ থেকে জেনে নেয়।

 ঐ দিন  ছেলেটার কাছ থেকে পাওয়া সব  উত্তর  তাদের  পুনরায় বিয়ে  বৈধ হওয়া এবং পুনরায় বিয়ে স্থায়িত্ব হওয়ার  ক্ষেত্রে  পজেটিভ ছিল।কোন সমস্যাই ছিলো না।


কিন্তু  মেয়েটার মাথা  শয়তান  দ্বারা আক্রান্ত।

তাই সেই মেয়েটা আজকে আবার মোবাইল  ফোনের  মাধ্যমে  ছেলেটাকে এরূপ জিজ্ঞেস  করেঃ "তোমাকে ২ তারিখ আমি বারবার  একই প্রশ্ন করে  অনেক বিরক্ত  করছিলাম,অনেক রাগাইছিলাম।তাও তুমি প্রত্যেকবারই আমার জন্য যা পজেটিভ তাই  উত্তর  দিছো।রাগের মাথায়, বিরক্ত হইয়াও কোন উল্টাপাল্টা উত্তর দাও নাই।ঠিক না?"

ছেলটা  আজকে মোবাইলে উত্তর  দেয়ঃ
" না,আমি জানি না।ঐদিন কি বলছি না বলছি আমার  মনে নাই।"

শায়েখ,

ছেলেটা বিরক্তিতে,অভিমানে এই  কথাটা বলছে,আমার তাই মনে হচ্ছে। কারণ  এই পর্যন্ত ঐ মেয়েটা এই তালাক  টপিকটা নিয়ে  অনেক প্রশ্ন  করে, ছেলেটাকে বহুবার  বিব্রত  করছে।
এখন আমার  প্রশ্ন  হলো,

 ১)ছেলেটার আজকে দেওয়া এমন উত্তরের কারনে কি
গত ২  অক্টোবরের দেওয়া উত্তরগুলো মিথ্যা হয়ে যাবে ? কিন্তু  ২ অক্টোবর  তো ও কোন মিথ্যা উত্তর  দেয় নাই।
কিন্তু  আজকে যে এমন উত্তর  দিলো,এই উত্তর  কি গত ২ অক্টোবরের দেওয়া উত্তরগুলোতে কোন প্রভাব  ফেলবে?
আজকের  দেওয়া এমন উত্তরের জন্য  কোন সমস্যা  হবে? মনে খালি  দুশ্চিন্তা  আসতেছে,চিন্তার কোন কারন আছে?

২) নির্ভয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে  করা যাবে,এবং বিয়ে করলে স্থায়িত্বও হবে ইনশাআল্লাহ, ঠিক  বলেছি?

৩)★ মেয়েটার খুঁটিনাটি প্রত্যেকটা বিষয়  নিয়ে  সন্দেহ  হয়,চিন্তা হয়,ওয়াসওয়াসা  আসে, আগে এমন ছিল  না।

এত সন্দেহ  মেয়েটার জীবনকে খুব  কঠিন  বানাইয়া ফেলছে।

মেয়েটা এই তালাকের ট্রমা থেকে  মুক্তি চায়।

সারাদিন  রাত খালি তালাক নিয়েই চিন্তা  আর সন্দেহ।

অতীত  নিয়ে  ভাবতে- ভাবতে মেয়েটা পুরো  অসুস্থ  হয়ে  গেছে।

এমন কি পূর্বে যা ঘটে নাই, তা নিয়েও সেই মেয়টা চিন্তা  করে,এমন কি ঘটেছিল,এমন কি হয়েছিল????
মেয়েটা নামায ও পড়তে পারে না,মনোযোগ  দিয়ে,নামাজে ও এইসব ভাবতে থাকে।

মেয়েটার সুন্দর, হাসি- খুশি জীবনটা পুরা নষ্ট  হয়ে  গেছে।
মেয়েটা মানসিক  রোগী  হয়ে গেছে।

মেয়েটার জন্য  দোয়া  করবেন।
আপনি  কি কোন উপায়  বলে দিতে  পারেন,সহজভাবে - সন্দেহমুক্ত জীবন- যাপন করার?

৪)কোন ঘটনা পূর্বে ঘটে থাকতে পারে ; কিন্তু  এখন আর মানুষটার মনে নাই,তাই সেই মানুষটা সেভাবে বাকী জীবন-যাপন করলো। আল্লাহ  কি সেটার জন্যও তাকে শাস্তি দিবে???

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পূর্বের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছিলোঃ-
     
তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে সেই শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

واذا اضافه إلى الشرط، وقع عقيب الشرط اتفاقا، مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق، (الفتاوى الهندية، الفصل الثالث فى تعليق الطلاق-1/420، الهداية، كتاب الطلاق، باب الأيمان فى الطلاق-2/385، تبيين الحقائق، باب التعليق-3/109)
সারমর্মঃ
যদি তালাককে কোনো শর্তের সাথে যুক্ত করে,তাহলে শর্ত পাওয়ার পরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
যেমন কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি যদি ঘরে প্রবেশ করো,তাহলে তালাক।

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরয় রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধুমাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ করা ঠিক হবেনা।
তাদের  পুনরায়  বিয়ে  হলে,সেই মেয়েটা সেই কাজটা নির্ভয়ে করতে পারবে,
কোন  সমস্যা  হবেনা।

আরো জানুনঃ 

(০১)
ছেলেটার আজকে দেওয়া এমন উত্তরের কারনে 
গত ২  অক্টোবরের দেওয়া উত্তরগুলো মিথ্যা হয়ে যাবেনা।

(০২)
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলছেন।
তবে বিবাহের পর আবার তালাক দিলে বা শর্ত যুক্ত তালাক দিলে আবার সমস্যা হবে।

(০৩)
তালাক বিষয়ক মাসয়ালা আর পড়বেনা।
এ নিয়ে আর এক মুহুর্তের জন্যেও ভাববেনা,দ্বীনের অনেক কাজ আছে,নিজের আখেরাতের জীবন সুন্দর রঙ্গিনময় করার লক্ষ্যে নেক আমলের দিকে মননিবেশ করবে।
,
(০৪)
উদাহরণ দিয়ে প্রশ্নটি স্পষ্ট করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...