ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/466 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উপরোক্ত আলোচনা দ্বার বুঝতে পারলাম।
যদি শরীয়ত সম্মত বিউটি পার্লার হয় তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করার জন্য বিউটি পার্লার থেকে বৈধ অস্থায়ী সাজগোছ যেমন ক্রিম ইত্যাদি দিয়ে সাজা বৈধ আছে।
এক্ষেত্রে ৩টি জিনিষ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১/বিউটি পার্লার শরীয়ত সম্মত হতে হবে।
২/বৈধ সাজগোছ করতে হবে।
৩/শুধুমাত্র স্বামীকে সন্তুষ্টি করার জন্য হতে হবে।
ক্রিম,লোশন ইত্যাদি হালাল কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
চোখে কাজল আইলাইনার বা স্নো পাউডার ব্যবহার করা যাবে।তবে পর-পুরুষের সামনে এগুলো ব্যবহার করে যাওয়া যাবে না।
(২)
যদি এগুলোর উদ্দেশ্য কাউকে ধোকা দেয়া থাকে, তাহলে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।কিন্তু যদি উদ্দেশ্য হয়, নিচক সৌন্দর্য বর্ধন, তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করতে দেয়া যাবে বা এগুলো দিয়ে শুধুমাত্র মহিলাদের সামনেই যাওয়া যাবে।
(৩)
উক্ত কথা বিশুদ্ধ নয়।
https://www.ifatwa.info/8272 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না)
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।
(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)
(৪)
জ্বী, জায়েয হবে। তবে সর্বদা টাখনুর নীচে প্যান্ট পরিধানের জন্য অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৫)
এরকম নরম ভাষায় কথাবার্তা জায়েয হবে না।কেননা এ আলোচনা ফিতনার দিকে নিয়ে যাবে।