আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১. চোখ খোলা রেখে চোখে কাজল, আইলাইনার ব্যবহার করা যাবে? বা এমন কোন স্নো, পাউডার যা ত্বককে ১-২ শেড ফর্সা দেখায়?

২. অনেকে হাত খোলা রাখা যায়েজ মনে করেন৷ তাদের ক্ষেত্রে হাতে সানস্ক্রিন লোশান যা ত্বককে ২-৩ শেড ফর্সা দেখায় ব্যবহার করে হাত খোলা রাখা যায়েজ হবে?

৩. একজন ব্যক্তি বলেছেন, টাখনুর উপরে ছেলেদের প্যান্ট/পায়জামা রাখার কোন হাদিসের দলিল নেই, শুধু স্বলাতের সময় এই বিধান রয়েছে যাতে অহংকার প্রকাশ না পায়৷ কথাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

৪. ছেলেদের ক্ষেত্রে প্যান্ট /পায়জামা স্বলাতে সময় গুটিয়ে স্বলাত আদায় করা যায়েজ হবে?

৫. একজন ইসলামিক স্কলারকে কোন না-মাহরাম মহিলা যদি লাইভে বলেন, "আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি", এক্ষেত্রে উক্ত স্কলারের উত্তর, "জাযাকিল্লাহু খাইরান, আপনার জন্য ভালোবাসা" শারী'আহ এর দৃষ্টিতে কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/466  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উপরোক্ত আলোচনা দ্বার বুঝতে পারলাম।
যদি শরীয়ত সম্মত বিউটি পার্লার হয় তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করার জন্য বিউটি পার্লার থেকে বৈধ অস্থায়ী সাজগোছ যেমন ক্রিম ইত্যাদি দিয়ে সাজা বৈধ আছে।
এক্ষেত্রে ৩টি জিনিষ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১/বিউটি পার্লার শরীয়ত সম্মত হতে হবে।
২/বৈধ সাজগোছ করতে হবে।
৩/শুধুমাত্র স্বামীকে সন্তুষ্টি করার জন্য হতে হবে।

ক্রিম,লোশন ইত্যাদি হালাল কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
চোখে কাজল আইলাইনার বা স্নো পাউডার ব্যবহার করা যাবে।তবে পর-পুরুষের সামনে এগুলো ব্যবহার করে যাওয়া যাবে না।

(২)
যদি এগুলোর উদ্দেশ্য কাউকে ধোকা দেয়া থাকে, তাহলে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।কিন্তু যদি উদ্দেশ্য হয়, নিচক সৌন্দর্য বর্ধন, তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করতে দেয়া যাবে বা এগুলো দিয়ে শুধুমাত্র মহিলাদের সামনেই যাওয়া যাবে।

(৩)
উক্ত কথা বিশুদ্ধ নয়।

https://www.ifatwa.info/8272 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না)
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।
(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)

(৪)
জ্বী, জায়েয হবে। তবে সর্বদা টাখনুর নীচে প্যান্ট পরিধানের জন্য অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৫)
এরকম নরম ভাষায় কথাবার্তা জায়েয হবে না।কেননা এ আলোচনা ফিতনার দিকে নিয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,408 views
...