আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমার বোন আজকে আমার সাথে খুব ঝামেলা করে,ওর বিয়ের এক বছর হয়েছে আজ,ওর হাজবেন্ড চেয়েছে আমাদের বাসার সবাই মিলে খেতে যাবে বাইরে(বিয়ের অনেক দিন সে এখানেই থাকে আমাদের বাসায়,এখনো ওকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া যা বলে ওটা করেনি),আমি বলেছি আমি যাবো না,আমি নতুন পর্দা করি,নিকাব পরে বাইরে খাওয়া এখনো পারিনা আর আমি বেশি ইন্টারেকশনেও যেতে চাই না ওর হাজবেন্ডের সাথে।এ নিয়ে বাসায় ভীষণ গোলমাল হয়।

এরমধ্যে আজকেই কলিং বেল বাজায় আমি খুলতে যাই,আব্বুকে মিররে দেখেই আমি খুলেছি,কোনো ওড়নাই ছিলো না গায়ে,কিন্তু ওর হাজবেন্ড ও যে আছে আমি দেখিনি,আর কিভাবে জানিনা সেই আগে ঢুকলো,আমাকে পর্দা ছাড়াই দেখে ফেলেছে আর আমার এখন নিজেকে পাগল পাগল লাগছে যে পর্দা করার জন্য এতোকিছু করলাম আর শেষে এমন ই হলো আজ! আল্লাহ্ কি আমার উপর কোনো কারনে রাগ? আমি কি ভুল করেছি না যেয়ে?
আমার ঠিক মাথা কাজ করছে না,দুঃখিত এ ধরণের আজব প্রশ্ন করে বিরক্ত করায়
by (45 points)
বাবার সামনে আপনি ওড়না ছাড়া কেনো গিয়েছেন বোন এটা আপনার তো উচিত হয়নি। 

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
সিলাহ রেহমি বা আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখতে হাদীসে তাগিদ  এসেছে।আত্মীয়র খোঁজখবর নেয়া এবং আত্মীয়র সাথে উত্তম ব্যবহার করা ওয়াজিব।সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1577

ভাবি-দেবর,ভাবি-ননদ জামাই, এবং শালী-দুলাভাই যেহেতু মাহরাম কোনো আত্মীয় নয়।তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব নয়।এবং মাহরাম না হওয়ার ধরুণ তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।

বিশেষকরে দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুলাভাইয়ের সাথে পর্দা করতে হবে।এরজন্য আপনাকে কটু কথা শুনতে হলেও কোনো সমস্যা নেই।আপনি কটু কথা শুনবেন।

দরজায় হঠাৎ আপনার দুলা ভাইয়ের উপস্থিত হয়ে আপনাকে দেখে ফেলেছেন, এরজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...