জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো এক দিরহামের কম পেশাব যুক্ত কাপড় নিয়ে নামাজ পড়া জায়েজ।
এই পরিমান নাপাকি মাফ।
কিন্তু এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হলে সেই কাপড়ে নামাজ পড়া জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীর আর উক্ত কাপড়ে মোট নাপাকি যদি এক দিরহাম পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশিই হবে, তাই সেই কাপড়ে নামাজ পড়া জায়েজ নেই।
নামাজ পড়লেও তাহা আবার পুনরায় আদায় করতে হবে।
আর যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার কাজটি সঠিক নয়।
যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী নন,আর আপনার পেশাব বের হওয়া নিশ্চিত একটি বিষয়, তাই অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরো জানুনঃ
(০২)
মূল বিষয় হলো নামাজের আগে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।
এখন এই ছুরতে শরীর পাকের পাশাপাশি সেই প্যান্টে নামাজ আদায় করলে সেই প্যান্টের নাপাকি স্থান তিনবার করে ধৌত করতে হবে।
আর আপনি চাইলে প্যান্ট চেঞ্জও করতে পারেন।
,
(০৩)
শরীরের পেশাব লাগা স্থান ধৌত করতে হবে।
উল্লেখিত ছুরতে প্যান্ট খুলে পুরো প্যান্ট ভালোভাবে তিনবার ধৌত করতে হবে।
প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
,
(০৪)
হ্যাঁ উক্য হাত নাপাক হবে।
সেই হাত দিয়ে নাপাকি ছড়াবে।
,
(০৫)
শুকনো হাত লাগলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে ভেজা হাত লাগলে এতে হাতে নাপাকির চিন্হ/গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।
নতুবা নয়।
,
(০৬)
হ্যাঁ হাত নাপাক হয়ে যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেই নাপাক হাত দিয়েই অযুর অন্যান্য কাজ করার কারনে নাপাকি অন্যান্য অঙ্গ ইত্যাদিতে ছড়িয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই সেই অযু গ্রহনযোগ্য হবেনা।
