আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,097 views
in পবিত্রতা (Purity) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম ।
1, আমি প্রসাবের পর টিস্যু ব্যবহার তো করি, সাথে সাথে পানিও ব্যবহার করি সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে। এরপরেও যদি প্রসাবের কয়েক ফোঁটা জানাবশত বা অজানাবশত কাপড়ে পড়ে গেলে তো আমার কিছু করার নেই । এক্ষেত্রে শরীয়ত কি ছাড় দিতে পারবে?

2, আর আমার প্রসাব করার পরপরই খালি মনে হয় কয়েক ফোঁটা কি কাপড়ে পড়ল নাকি। ফলে তখন ঐ কাপড় নিয়ে ইবাদত করা নিয়েও দুশ্চিন্তা হতে থাকে। এক্ষেত্রে এরূপ সন্দেহ দূর করার উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত পেশাবের ফোটার পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। 
এতে নামাজ আদায় হবেনা,কোনো নামাজ এইভাবে আদায় করে থাকলে পুনরায় উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
পেশাব করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, বরং পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, অতঃপর পানি দ্বারা পেশাবের স্থান ধৌত করবেন। 

হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)

*এরপরও যদি কোন কিছুর আশঙ্কা থাকে, তাহলে লজ্জাস্থানের আশপাশে লুঙ্গি বা পায়জামায় পানি ছিটিয়ে দিবেন। 
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

 اِبْنِ عَبَّاسٍ قَالَ اِذَا تَوَضَّأَ اَحَدُکُمْ فَلْیَأْخُذْ حُفْنَۃً مِنْ مَاءٍ فَلْیَنْضِحْ بِہَا فَرْجُہُ فَاِنْ اَصَابَہُ شَیٌٔ فَلْیَقُلْ اِنَّ ذٰلِکَ مِنْہُ (المطالب العالیہ ص:۳۶، ج۱ رقم الحدیث:۱۱۷․
সারমর্মঃ
যখন তোমাদের কেহ অযু করে,তখন সে এক মুঠো পানি নিবে,তারপর সেটি লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দিবে।


*এরপর যতই সন্দেহ হোক সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করবেন না। আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি পেশাবের ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে পেশাব বের হয়েছে বলা যাবে না।
,
তবে পেশাব বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে উক্ত কাপড় ধৌত করতে হবে।
,
আপনি নামাজের আগে পেশাব না করার চেষ্টা করবেন,পেশাবের পর টিস্যু নিয়ে হাটাহাটি  করার পর 
লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নিবেন,তারপর পানি ব্যবহার করবেন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...