আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
636 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)

এই প্রশ্নটার উত্তর জানা প্রয়োজন।  অনেকে বলেন আলেমা কাউকে জেনারেল লাইনের কেউ বিয়ে না করাই ভালো। কেনো এমনটা বলা হয়? এক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আছে? কুফু ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়? জানালে উপকৃত হব।

জেনারেল শিক্ষিত ছেলে আলেমা মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে মানা করা হয় কেন?
মেয়ে যদি দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং ছেলে দুনিয়াবি শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে কী কুফুর বিষয়টা রক্ষিত হয় না? বিস্তারিত জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (565,920 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!

(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)


কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

মহিলার দাওরায়ে হাদীস পড়ুয়া হওয়া, আলেমা  হাফেজা হওয়া,এবং দীনদার হওয়ার কারনে তার মর্যাদা বেড়ে যাবে ঠিকই,তবে এর কারনে তার সাথে যে গায়রে হাফেজ বা জেনারেল লাইনে পড়ুয়া ব্যাক্তির বিবাহ জায়েজ হবেনা,এমন কথা শরীয়তে নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রীর পাশাপাশি স্বামীর দ্বীনদারী ঠিক থাকলে কুফু মিলবে।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।     

আরো জানুন 
,
এখানে যেহেতু দুইজনের লেখাপড়ার কন্ডিশন আলাদা,  তাই তাদের বুঝাপড়ার দিক দিয়ে কিছুটা ভিন্নতা থাকবেই।
যাহা পরস্পরে আলোচনা করে,মেনে নেওয়ার অভ্যাস গড়ার মাধ্যমেই সমাধান করে নিতে হবে। 
,
যেকোনো মহিলাকে বিবাহ করলে যেমন শরীয়তের বিধান পুরোপুরি ভাবে  মানতে হয়,তাদের ক্ষেত্রেও তেমনই করতে হবে।

স্ত্রীকে পূর্ণ পর্দার সুযোগ করে দিতে হবে,পূর্ণ শরীয়তের বিধান মানার সুযোগ করে দিতে হবে।
ঘরের বাহিরের কাজ তাদের থেকে নেওয়া ঠিক হবেনা।
যদি করেই,পূর্ণ পর্দা করেই করতে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...