জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তালাক পতিত হওয়ার জন্য স্ত্রীর সামনে হওয়া,বা স্ত্রীর শোনা,বা সাক্ষীদের সামনে তালাক দেওয়া,বা স্ত্রীর কবুল করা,সাইন করা কোনোটাই শর্ত নয়।
যখন স্বামী নিজেই তালাক দেওয়ার কথা স্বীকার করে,তখন তালাক পতিত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৯/৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن الحسن وخلاس: في الرجل یطلق امرأتہ وہو غائب عنہا قال: تعتد من یوم یأتیہا الخبر۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۱۰؍۱۳۳ رقم: ۱۹۲۶۵)
হাসান রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, একজন ব্যাক্তি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে,অথচ স্ত্রী অনুপস্থিত ছিলো,তিনি জবাবে বললেন যে তালাকের খবর আসলেই ইদ্দত পালন শুরু করবে।
مستفاد: أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ عن الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ স্বামীর মুখ থেকে বের হওয়া।
আরো জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তালাক দেওয়া মাত্র স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এরপর সেই মহিলা তার জন্য গায়রে মাহরামদের ন্যায় হয়ে যায়,সেই পুরুষের সামনে সেই মহিলার পর্দা ফরজ হয়ে যায়।
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক দেওয়া মাত্রি তাদের মাঝে আর কোন সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে না।
যদি তালাকটি রজয়ী তালাক হয় তথা স্পষ্ট তালাক শব্দ দিয়ে তালাক দেওয়া হয়,তাহলে ইদ্দতের মধ্যে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে।
আর যদি ইদ্দতের পর ফিরিয়ে নিতে চায়,তাহলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
সর্বপরি ফিরিয়ে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের মাঝে আর কোন সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে না।