আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
১০ বছর আগে আমি ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় আমার হাজব্যান্ড আমাকে মুখে ২/৩ তালাক রাগে বলে ফেলছিল।২ বার নাকি ৩বার তালাক বলেছিল এটা আমাদের কারোই সিউর মনে নাই।তখন আমারা দুজন ছাড়া কেউ ছিল না,নরমাল ভাবেই সংসার করছি,আমার একটা মেয়ে আছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ২জনেই কম বয়স ছিল।আমার ১৫,আমার হাজব্যান্ডের ১৭।তালাকেরব্যাপারে কেউই জানতাম না।আমরা একে অপরকে খুব  ভালবাসি,আলাদা হয়ে যাওয়া সম্ভব না।এখন কি আমাদের তালাক কার্যকর হয়ে গিয়েছে?যদি তালাক হয়ে যায় এক্ষেত্রে সমাধান কি?এখন কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো ২ তালাক দিয়েছে নাকি তিন তালাক দিয়েছে,এ নিয়ে যদি কাহারো সন্দেহ হয়।
সেক্ষেত্রে ২ তালাক পতিত হয়েছে বলে ধরা হবে। 

قال العلامۃ ابن نجیم: ومنہا شک ہل طلق ام لا؟ لم یقع شک انہ طلق واحدۃ او اکثر؟ بنی علی الاقل کما ذکر الاسبیجابی۔ (الاشباہ والنظائر۶۴ قاعدۃ من شک ہل فعل ام لا)
 الاشباہ والنظائر فی الفقہ الحنفی۶۰ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি সন্দেহ করে যে সে তালাক দিয়েছে নাকি দেয়নি,,,
তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
কেহ যদি সন্দেহ করে যে এক তালাক দিয়েছে? নাকি এর চেয়ে বেশি? 
তাহলে কমটাই পতিত হবে।    

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২ তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইদ্দতের মধ্যেই তথা সন্তান প্রসবের পূর্বেই আপনার স্বামী আপনাকে সহবাস বা স্বামীসুলভ আচরনের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার বৈধ স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছেন।
তবে আপনার স্বামী এখন আর এক তালাকের মালিক হিসেবে আছেন।

আর যদি ইদ্দতের মধ্যেই তথা সন্তান প্রসবের পূর্বেই আপনার স্বামী আপনাকে সহবাস বা স্বামীসুলভ আচরনের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিয়ে না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনাদের নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
নতুবা ঘর সংসার বৈধ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...