আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
399 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দিলে ৯০ দিন কার্যকর সময় পার হয়ে গেলে বা শেষ হয়ে গেলে কি স্ত্রী বাতিল হয়ে গেছে কিনা বা কি করতে হবে তবে ঐ স্ত্রীকে আবার বিয়ে করে সংসার করতে পারবে কি না? তবে তালাকনামা স্বাক্ষর না করিলে কোন তালাক হবে কিনা? স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দিলে ৯০দিন শেষ হয়ে গেলে স্ত্রীকে নিয়ে নতুন করে সংসার করা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই! 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই স্ত্রীর স্বামী কি কোনোদিন তার স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলো?
নিকাহনামায় ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলো?

যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দিয়ে থাকে,তাহলে তো স্পষ্ট যে তার স্ত্রী যে তালাক দিয়েছে,এটার তো সে ক্ষমতাবানই হননি।
সুতরাং এই তালাক গ্রহনযোগ্য হবেনা।
,
আর যদি তিনি তার স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সেই তালাক নামায় কি লেখা ছিলো,(তালাক নামা আপনার কাছে পাঠানো হোক বা না পাঠানো হোক,তাতে কোনো সমস্যা নেই)।

যদি তালাক নামায় স্ত্রী নিজে নিজে তালাক দেয়,বা নিজের নফসের তালাক দেয়,তাহলেই কেবল তালাক হবে।
এক্ষেত্রে তালাক নামা স্বামীর কাছে পৌছা জরুরি নয়।
তালাক পতিত হওয়ার জন্য  স্বামীর স্বাক্ষরেরও প্রয়োজনীয়তা নেই।
তালাকনামায় স্বাক্ষর না করিলে তালাক হবে।

উল্লেখ্য যে উক্ত তালাক নামায় যদি স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা লেখা থাকে,তাহলে তালাক হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যদি স্বামী কর্তৃক তালাকের ক্ষমতা পেয়ে থাকে,এবং উক্ত তালাক নামায় যদি নিজেকে নিজে তালাক দেওয়ার কথা লেখে,বা নিজের নফসের উপর তালাক প্রদানের কথা লেখে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রজয়ী তালাক পতিত হয়ে যাবে। 
যদি এক/দুই তালাক লিখে থাকে বা তালাকের কোনো সংখ্যা লিখে না থাকে,তাহলে উক্ত স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে পুনরায় ফিরিয়ে নিলাম বা স্বামী সুলভ আচরণ করার দ্বারা ফিরে নেওয়া যাবে,আর ইদ্দত কাল অতিবাহিত হলে নতুন করে বিবাহ করে নেওয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে।
,
আর যদি তিন তালাকের কথা লেখা থাকে,তাহলে শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
আসসালামুআলাইকুম। হুজুর। কাবিনের 18নং  ক্ষমতাবলে আমি নিজে ১,২,৩ তালাক উচ্চারণ করিয়া স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম  কথাটি সহীহ হয়েছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...