জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজে সূরা মিলানোর সময় সুরার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে এর বিপরীত করা মাকরুহ।
অনিচ্ছায় এমন হয়ে গেলে কোনো সমস্যা হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
প্রথম রাকাতের তুলনায় ২য় রাকাতে ছোট সুরা পড়া সুন্নাহ।
জানার পরেও প্রতি রাকাতে একই সুরা মিলানো মাকরুহ।
তবে সে যদি শুধু ঐ একটি সুরাই জানে,তাহলে জায়েজ।
(০২)
ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের জন্য পর পুরুষদের নিকট পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ثَابِتُ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنِي غُنَيْمُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا اسْتَعْطَرَتِ الْمَرْأَةُ، فَمَرَّتْ عَلَى الْقَوْمِ لِيَجِدُوا رِيحَهَا، فَهِيَ كَذَا وَكَذَا قَالَ قَوْلًا شَدِيدًا
আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নারীরা যখন সুগন্ধি লাগিয়ে জনসমাজকে এর গন্ধ বিলানোর জন্য তাদের পাশ দিয়ে যাতায়াত করে, সে তখন এরূপ এরূপ। একথা বলে তিনি একটি কঠোর মন্তব্য করেন।
(আবু দাউদ ৪১৭৩)
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ وَهُوَ ابْنُ عِمَارَةَ عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ
ইসমাঈল ইবন মাসউদ (রহঃ) ... আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে এই উদ্দেশ্যে লোকের মধ্যে গমন করে যে, তারা তার সুগন্ধির ঘ্রাণ পাবে, সে ব্যাভিচারিণী।
(নাসায়ী ৫১২৫)
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলারা ঘরের ভিতর আতর/পারফিউম ব্যবহার করতে পারবে।
তবে নন মাহরাম পুরুষের সামনে সে অবস্থায় যাওয়া যাবেনা।
,
(০৩)
মুখ ভরে বমি করলে অযু নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নামাজের মধ্যে/রোযা অবস্থায় বমি করে গিলে ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০৪)
এগুলো বলা রাসুলের হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
তবে কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।
,
এর জবাবে এর যেকোনো একটি বলতে পারেন।
না বললেও কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৫)
কি ধরনের ভূল,সেটি স্পষ্ট করতে হবে।
লাহনে জলি হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
সাহু সেজদার কোনো বিধান নেই।
,
(০৬)
মহিলা ডাক্টার না পেলে এটি জায়েজ আছে।
,
(০৭)
এটি অযুর ক্ষেত্রে শরীরে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাই এতে অযু না হওয়ায় নামাজ হবেনা।
তবে অযু করার পর আলতা পড়লে সেই আলতায় নাপাক কোনো দ্রব্য না থাকলে সেটি পরে নামাজ পড়া যাবে।
,
(০৮)
হ্যাঁ এটি কুঃসংস্কার।
বিদ'আত নয়।
,
যদি এটিকে দ্বীনের কাজ মনে করে ছওয়াবের লক্ষ্যে কেহ করে,তবেই বিদ'আত হবে।
,
(০৯)
না,এটি তিলাওয়াত হবে,যাকে যিকির হিসেবেও গন্য করা যায়।
তবে তাসবীহে ফাতেমি পড়ার লক্ষ্যে ৩৩ বার৷ করে সুবহানাহ,আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়তে পারেন।
,
(১০)
যেটির দ্বারা চেহারা,হাতা,পা সহ পূর্ণ শরীর ঢাকা যায়,সেটি পড়লেই পূর্ণ পর্দা হবে।
হ্যাঁ বাজারের খিমার পরিধান করলে যদি হাত পা,চেহারা ঢাকা থাকে,সেটি পূর্ণ পর্দা হবে।
(হাত পা ঢাকার জন্য মোজা ব্যবহার করতে হবে।)
,
(১১)
পুনরায় অযু করতে যাওয়ার সময় পতিমধ্যে কথাবার্তা না বললে এবং অযু ভাঙ্গার আর কোনো কারন না পাওয়া গেলে নামাজ যেখানে রেখে গিয়েছিলেন,সেখান থেকে আদায় করতে পারেন।
রুকুর মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় রুকু করবেন।
সেজদার মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় সেজদাহ করবেন।
তাশাহুদ পড়ার মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় তাশাহুদ পড়বেন।
(১২)
হ্যাঁ সেক্ষেত্রেও মুখ ঢাকতে হবে।
কালো রংয়ের খিমার পড়া আবশ্যক নয়।
অন্য কালারের বা প্রিন্টেরও পড়তে পারবেন।
,
(১৩)
মা বাবার হক সম্পর্কে জানুনঃ
বান্দার হক নষ্ট করা যাবেনা,তার অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবেনা।
বান্দা কষ্ট পায়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা,
বান্দা কষ্ট পায় এমন কোনো কথা তার সম্পর্কে বলা যাবেনা।
বান্দার হক সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ "
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুমিনের জন্য আরেক মুমিনের উপর ছয়টি দায়িত্ব রয়েছেঃ (১) সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাবে, (২) মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হবে, (৩) ডাকলে তাতে সাড়া দিবে, (৪) তার সাথে দেখা হলে তাকে সালাম করবে, (৫) সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে এবং (৬) তার অনুপস্থিতি কিংবা উপস্থিতি সকল অবস্থায় তার শুভ কামনা করবে।
(তিরমিজি ২৭৩৭)
(১৪)
হ্যাঁ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(১৫)
সব ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন নেই।
তবে চিকিৎসার লাইনে প্রয়োজন আছে।
,
হ্যাঁ,পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে পড়া যাবে।
,
সহ শিক্ষার বিধান সম্পর্কে জানুনঃ
,
(১৬)
শুধু তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে পারেন।
বা নফল নামাজের কথা উল্লেখ করবেন।
এশার সালাতের ওয়াক্ত তিনভাগে বিভক্ত। এক: শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পর থেকে রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। আর এই এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করে আদায় করা সর্বোত্তম। দুই: এক তৃতীয়াংশ হতে মধ্যরাত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত বিলম্বিত করে আদায় করা ফযীলতের দিক দিয়ে প্রথমটির তুলনায় নিম্ন পর্যায়ের। তিন: মধ্যরাতের পর থেকে সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। বিনা ওযরে এই সময়ে এশার সালাত আদায় করাটা মন্দকর্ম অথবা মাকরূহ। তবে এটি মন্দ হলেও এই সময়ে সালাত আদায় করলে তার সালাত ‘আদা’ হিসাবেই গণ্য হবে ‘কাযা’ হিসাবে নয়। কারণ, এশার সালাতের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত।
(১৭)
উত্তম হবে,যেই মহিলা পর্দা করে চলবে,তাকে দিয়ে দেওয়া।
এতে যেকোনো ফকির বা গরিব মহিলাকে পর্দা রক্ষা করে পরিধান করার কথা তাকে বলবেন।
,
(১৮)
হ্যাঁ থাকা যাবে।
তবে শর্ত হলো কোনো রকমের ফিতনার আশংকা না থাকা।
,
(১৯)
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হলে কোনো সমস্যা নেই।
(২০)
ক,
হ্যাঁ নামাজ শুদ্ধ হবে।
খ, এক্ষেত্রে আমলে কাসীর হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
(২১)
বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।
তবে তাদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামগন নেতিবাচক ধারণা রাখেন।
,
(২২)
হ্যাঁ এটি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।