ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2434
(২)
পারফিউম দিয়ে ঘরের বাহিরে যাওয়া,নন মাহরামের সামনে যাওয়া মহিলাদের জন্য নাজায়েয ও হারাম।তবে মহিলারা ঘরের ভিতরে একাকি অবস্থায় বা মহিলাদের সমাবেশে পারফিউম দিতে পারবে। পারফিউমের সাথে নামাযের কোনো সম্পর্ক নাই।পারফিউম দিলে নামায অবশ্যই হবে।
(৩)
মুখ ভর্তি বমি অর্থাৎ বেশি পরিমাণে বমি হলে রোযা,নামায এবং অজু সবকিছুই ফাসিদ হয়ে যাবে।
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)
مُغِيرَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: سَأَلْتُهُ عَنِ الْقَلْسِ، فَقَالَ: ذَلِكَ الرَّسْعُ، إِذَا ظَهَرَ فَفِيهِ الْوُضُوءُ
ইবরাহীম নাখয়ী রহ.-কে বমির ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলেন মুগীরাহ রহ.। তখন তিনি উত্তরে বললেন, যদি তা মুখ ভরে হয়, তাহলে অযু করতে হবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৪৩৩)
(৪)জ্বী,
ধন্যবাদ জানাতে জাযাকাল্লাহু খাইরান (ছেলেদের জন্য),জাযাকিল্লাহু খাইরান (মেয়েদের জন্য), জাযাকুমুল্লাহু খাইরান(অনেকজনের ক্ষেত্রে), এভাবে ভাগ করতে হবে।আর এগুলো বলা সুন্নাহ। এর উত্তর দিতে ওয়া আনতুম ফা জাযাকুমুল্লাহ খাইরান কিংবা ওয়া ইয়্যাকা/ক/কুম, বলাও সুন্নাহ।
(৫)
নামাজে সূরা ফাতিহা,তাশাহহুদ,দরূদ শরীফে ভুল হলে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3716
(৭)
আলতা যেহেতু পানি প্রতিবন্ধক, তাই আলতা দিলে অজু হবে না,এবং নামাযও হবে না।
(৮)
জ্বী, এটা কুসংস্কার এবং বিদ'আত।
(৯)
জ্বী, এগুলো যিকির হিসেবে গণ্য হবে।
(১০)
সমস্ত শরীর ঢেকে যায়,এমন যেকোনো প্রকার কাপড় হলেই,তা দ্বারা পর্দা আদায় হয়ে যাবে।
(১১)
যে পর্যন্ত নামায পড়েছিলেন, পরবর্তীতে অজু করে এসে সেখান থেকেই শুরু করতে হবে।যদি রুকু তে অজু ভঙ্গ হয়, তাহলে অজু করে এসে রুকু থেকেই আবার নামায শুরু করতে হবে।যদি এক সিজদা দেয়ার পর অজু ভঙ্গ হয়, তাহলে অজু করে এসে দ্বিতীয় সিজদা দিতে হবে।
(১২)
জ্বী, পর্দা করতে হবে।প্রিন্টেড বোরখা পড়লেও চলবে।
(১৩)
বাবা মার হক বলতে,বাবা মায়ের সকল হাজতকে পূর্ণ করা এবং বান্দার হক বলতে, বান্দার জান মালে কোনো ক্ষতি করা।
(১৪)
শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নিলেই হবে।
(১৫)
জ্বী, করা যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434
(১৬)
তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সময়ে নফলের নিয়ত করতে হবে।
(১৭)
মধ্যরাতের পর তথা রাত্রের তৃতীয়াংশে বিনা উযরে ইশার নামায পড়া মাকরুহ।
(১৮)
ফিতনার আশংকা না থাকলে, থাকা যাবে।নতুবা যাবে না।
(১৯) সময়ের পর জমা দেওয়ার কারণে যদিও গোনাহ হবে না, তবে উচিৎ হয়নি।
(২০)
জ্বী, দরজা খুলে দিয়ে তারপর নামাযে দাড়ানো উচিৎ।