আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
908 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি আবুল গাজী, কোরীয়া থেকে।
প্রশ্নঃ সমস্যা টা আমার একজন পরিচিত ব্যক্তির, সে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তাই আমার সাথে শেয়ার করেছে যেন আমি গোপনীয়তা বজায় রেখে মাসয়ালা টা জেনে ওরে জানাই।
সে যখন ক্লাশ ৯/১০ এ পড়ে তখন তার পাশের বাসার এক মহিলা, সম্পর্কে চাচী হয় ওর। তো ঐ মহিলা খুবই সুন্দরী ছিল, স্বামী বিদেশ থাকার কারনে মহিলাটি আমার বন্ধুটির সাথে খুবই খোলামেলা আচরন করার চেষ্টা করত যেটা অনেক যুবকের জন্যই নিজেকে হেফাজত করা কঠিন।  ঐ মহিলার তখন বয়স ২৫/২৬ এবং বন্ধু ক্লাস ৯/১০ হিসেবে ১৬/১৭. সংক্ষিপ্ত বললে, সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পেরেছে যেটা ওর ভাষায় খুবই মিরাকল বা আল্লাহ ভীতির কারণে সম্ভব হয়েছে তবুও হস্তমৈথুন ইত্যাদি করে সে রিলাক্স হতো।

সবসময় মহিলা এমন পরিস্থিতি তৈরী করতো যে, শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেলেও হতে পারতো কিন্তু বন্ধু টি নিজেকে পরিশুদ্ধ রেখেছে। যেমন, ঐ মহিলা সুযোগ পেলেই বন্ধুটির শরীরে স্পর্শ করতো, নিজের শরীরের আকর্ষণীয় অংগ খোলামেলা রেখে উত্তেজক কথাবার্তা বলতো, বন্ধুটি এরিয়ে গেলে একদিন মহিলা জিজ্ঞেস করে যে, তুমি কি ভয় পাও? ইত্যাদি ইত্যাদী।

যাইহউক একদিন এমনই পরিস্থিতিতে বন্ধু টি ঐ মহিলার স্তনে স্পর্শ করে এবং এটার জন্য সে নিজের কাছেই নিজে খুব অনুতপ্ত।

এই ঘটনার আজ প্রায় ১২/১৩ বছর পর ঐ মহিলার মেয়েকে বউ হিসেবে ঠিক করেছে আমার বন্ধুটির অভিভাবকরা। এমতাবস্থায় এই ছেলে কি ঐ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে? ঝাঝাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (63,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 

عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

সারমর্মঃ 

একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ তার ব্যাপারে ফতোয়া দিলেন যে তার স্ত্রী তার উপর হারাম।

 

'লাউস সুনান গ্রন্থে এসেছে 

 

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

 

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

-المصاهرة: وصف شبيه بالقرابة، ويتحقق في أربع: إحداها زوجة الابن، وهي تشبه البنت. ثانيهما: بنت الزوجة، وهي تشبه البنت أيضا، ثالثها: زوجة الأب، وهي تشبه الأم، رابعها: أم الزوجة، وهي تشبه الأم أيضا.

হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়   () পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় () স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)

কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।

لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)

ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا

অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে। কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে (তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না। ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নোক্ত যেহেতু ঐ মহিলা তাকে ও সে ঐ মহিলাকে কামভাব নিয়ে পরস্পর স্পর্শ করে ছিলো তাই তাদের মাঝে হুরমত প্রমানিত হয়ে গিয়েছে। এখন ঐ মহিলার মেয়েকে বিয়ে করা তার জন্য জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...