আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
679 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মুহতারাম মুফতি সাহেব দা.বা.

যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ঈমামের আগে রুকু-সিজদা অথবা সালাম ফিরিয়ে নেয় তাহলে কি তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে? যদি নষ্ট না হয় তাহলে এভাবে ইচ্ছাকৃত ঈমামের আগে রুকু-সিজদা করার বিধান কী হবে জানালে উপকৃত হবো।

আপনাদের মাধ্যমে আলহামদুলিল্লাহ আমরা উপকৃত হচ্ছি এজন্য মন থেকে আপনাদের জন্য ভালোবাসা ও দোয়া রইলো।
জাযাকুমুল্লাহ, বারাক্কাল্লাহু ফি হায়াতিকুম।

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাব,

وَيُكْرَهُ لِلْمَأْمُومِ أَنْ يَسْبِقَ الْإِمَامَ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ فِيهِمَا قَبْلَ الْإِمَامِ. كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.

ইমামের আগে রুকু, সেজদায় চলে যাওয়া এবং ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলা মুক্তাদীর জন্য মাকরূহ। [ফাতাওয়া আলমগীরী-১/১০৭, মাকতাবায়ে জাকারিয়া, দেওবন্দ]

ইমামের আগে রুকুতে চলে যাওয়ার কারণে নামাজ মাকরূহ তাহরীমী হয়েছে।তবে ইমামের আগে রুকুতে চলে গেলেও ইমামের সাথে যেহেতু রুকু আদায় করেছেন তাই আপনার নামায আদায় হয়ে গেছে।

প্রকাশ থাকে যে, ইমামের আগে রুকু-সিজদা করা বা রুকু সিজদা থেকে উঠা গুনাহ। এ ব্যাপারে হাদীসে অনেক বড় ধমকি এসেছে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন তার মাথাকে ইমামের আগে (সিজদা থেকে) উঠিয়ে নেয় তখন সে কী ভয় করে না যে, আল্লাহ তাআলা তার মাথাকে গাধার মাথার ন্যায় করে দিবেন! অথবা তিনি বলেছেন, তার আকৃতিকে গাধার আকৃতির ন্যায় করে দিবেন? (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৯১)

আবু হুরায়রা রা. বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের আগে রুকু-সিজদা করে বা রুকু-সিজদা থেকে মাথা উঠায় তার কপাল শয়তানের হাতে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৩৭৫৩)

অতএব এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা কর্তব্য। মুকতাদীগণ সর্বদা ইমামের তাকবীরের অনুসরণ করবে। তাহলেই এ ধরনের ভুল থেকে বিরত থাকা সম্ভব হবে।

(আলবাহরুর রায়েক ২/৭৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৭; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ২৪৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

কোনব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে ইমামের পূর্বে রুকু সিজদা বা যে কোন রুকুন আদায় করে নেয়,তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে কিন্তু মাকরুহে তাহরীমী হবে এবং এ ব্যাপারে হাদীসে কঠোর ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নামাজের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার তৌফিক দান করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জাযাকাল্লাহ ❤️

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...