আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আমার দুটি প্রশ্ন আছে

অনেককে দেখি নামাজে রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত ছেড়ে না দিয়ে হাত বেঁধে রাখে আবার শেষ বৈঠকের সম্পূর্ণ সময় আঙ্গুল নাড়তে থাকে। এ দুটো কি জায়েজ? হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়ে কি এই আমল করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


রুকু থেকে উঠে হাত ছেড়ে দিতে হবে।
এটিই সুন্নাহ।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِيْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ قَالَ فِيْ نَفَرٍ مِّنْ أَصْحَابِ رَسُوْل اللهِ ﷺ أَنَا أَحْفَظُكُمْ لِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ رَأَيْتُه إِذَا كَبَّرَ جَعَلَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَه فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوى حَتّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَه فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلَا قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ الْقِبْلَةَ فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلى رِجْلِهِ الْيُسْرى وَنَصَبَ الْيُمْنى فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرى وَنَصَبَ الْأُخْرى وَقَعَدَ عَلى مَقْعَدَتِه. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আবূ হুমায়দ আস্ সা‘ইদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবীর মধ্যে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আপনাদের চেয়ে বেশি আমি মনে রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি, তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় দু্’ হাত দু’ কাঁধ বরাবর উঠাতেন। রুকূ‘ করার সময় পিঠ নুইয়ে রেখে দু’ হাত দিয়ে দু’ হাঁটু শক্ত করে ধরতেন। আর মাথা উঠিয়ে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। এতে প্রতিটি গ্রন্থি স্ব-স্ব স্থানে চলে যেত। তারপর তিনি সাজদাহ্ (সিজদা/সেজদা) করতেন। এ সময় হাত দু’টি মাটির সাথে বিছিয়েও রাখতেন না, আবার পাঁজরের সাথে মিশাতেনও না এবং দু’ পায়ের আঙ্গুলগুলোর মাথা ক্বিবলামুখী করে রাখতেন। এরপর দু’ রাক্‘আতের পরে যখন বসতেন বাম পায়ের উপরে বসতেন ডান পা খাড়া রাখতেন। সর্বশেষ রাক্‘আতে বাম পা বাড়িয়ে দিয়ে আর অপর পা খাড়া রেখে নিতম্বের উপর (ভর করে) বসতেন।
( সহীহ : বুখারী ৮২৮, ইরওয়া ৩৬৪,মিশকাতুল মাসাবিহ ৭৯২।)

★অন্য হাদীসে আছেঃ

عن عبد الله بن الزبير أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يشير بأصبعه إذا دعا ولا يحركها

হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন তাশাহুদ পড়তেন, তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু আঙ্গুল নাড়াতেই থাকতেন না। {সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৯৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৮৯, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
★সুতরাং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দেওয়াই সুন্নাতসম্মত। 
আর শেষ বৈঠকের সম্পূর্ণ সময় আঙ্গুল নাড়তে থাকা সুন্নাত নয়।

তাই হানাফি মাযহাব অনুসারী হয়ে উক্ত ব্যাক্তির আমল সুন্নাহ সম্মত নয়।
এমনটি করা যাবেনা।
,
(তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন এমন মত পোষন করে থাকেন।
তাই তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...