আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
‘হে মুসা! আমি ছাড়া সাত আকাশ এবং উহার মধ্যে যাহা কিছু আছে এবং সাত যমীন যদি পাল্লার এক দিকে স্থাপন করা হয় এবং অপর দিকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-কে স্থাপন করা হয় তবে দ্বিতীয় অংশটি ভারী হয়ে যাবে।’ (ইবনে হিব্বান ২৩২৩, আল হাকিম ১/৫২৮)

১.এখানে সাত যমিন বলতে কি সাত পৃথিবীর কথা বোঝানো হয়েছে ? আমাদের নবী শেষ নবী হলে প্রত্যেক পৃথিবীতে উনি কিভাবে দ্বীন কায়েম করেছেন ? না উনার মত দেখতে এক‌ই রকম মানুষ ছিল  অনান্য পৃথিবীতে ?

২.  ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-কে স্থাপন করা হয় তবে দ্বিতীয় অংশটি ভারী হয়ে যাবে।’এর দ্বারা কি এই পৃথিবীর বুকে এই কালেমা প্রতিষ্ঠিত করার কথা বোঝানো হয়েছে ? এখন কেউ সরাসরি কালেমা প্রতিষ্ঠিত না করলে  শুধু মনে মনে এই কালেমা প্রতিষ্ঠিত হোক চাইলে ঈমান থাকবে ?এই ব্যক্তি জান্নাতুল ফেরদৌস লাভের জন্য দোয়া করলে এ জান্নাত পাবে ?

৩. ফেরাউন এর  মন্ত্রী সভায়  কেউ কেউ  মনে মনে ঈমানদার ছিল কিন্তু  বাহ্যিক দিক থেকে কাফের ছিল যেমন কুফরী করত এবং মনে মনে ত‌ওবা করত এবং  মনে মনে বিশ্বাস  করত  না কুফরী । এতে কি তাদের ঈমান ঠিক ছিল । এতে কি তারা জান্নাতে যাবে  ?
৪.উপরের উল্লেখিত অবস্থায় কেউ তাওহীদের পক্ষে থাকলে সে কি গুরাবা ? মূসা আঃ কি গুরাবা ?

৫. কোন জালেমের জুলুম থেকে বাঁচতে হাত দিয়ে প্রতিবাদ করলে এতে কার‌ও চরম ক্ষতি হলে যেমন ফেরাউন এর নির্দেশে তার সৈন্য নির্যাতন করলে মূসা আঃ এর কোন অনুসারী কোন কাফের সৈন্য হত্যা করা জায়েজ ছিল ? আর কেউ নিজেকে মুসলিম দাবী করে এমন কাফের এর নির্দেশে চলমান  সৈন্য নির্যাতন করলে তার ঈমান ঠিক থাকবে তাকে হত্যা করা জায়েজ হবে ?

৬.এই পৃথিবীর বুকে এই কালেমা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা একের পর এক পরীক্ষার মাধ্যমে খারাপের থেকে ছেকে আলাদা করে নেন কিছু খাঁটি মানুষকে যাদের যোগ্যতা আছে এই কালেমার জন্য সর্বোচ্চ সংগ্রাম করার ও একে নিজের জীবনে এবং সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ স্থান দেয়ার। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এই পরীক্ষা ক্রমাগতই কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকে, যাতে মু’মিন ও সত্যনিষ্ঠদের দলটি ক্রমাগতই পরিশুদ্ধ হতে থাকে। যারা প্রথম পরীক্ষাতেই ব্যর্থ হয় – সবচেয়ে সহজ পরীক্ষাতে, তাদের আল্লাহ্ ছেড়ে দেন, তাদের আর পরবর্তী পরীক্ষাগুলো দেয়ার যোগ্যতা নেই, আর এই কালেমার আমানত বহন করার যোগ্যতা তো একেবারেই নেই।
--- এখানে ""কালেমার আমানত বহন করার যোগ্যতা তো একেবারেই নেই।" এর দ্বারা কি বুঝায় যে তাদের  ঈমান থাকবে না ? না  যারা শুধু মনে মনে চায় কালেমার বাস্তবায়ন তাদের কে বুঝানো হয়েছে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
এখানে সাত জমিন দ্বারা উদ্দেশ্য কি? এবং পৃথিবী ছাড়া অন্যান্য জমিনে কি মানুষ বসবাস করেন, এ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছুই বলা যাবে না। নিশ্চিতভাবে একমাত্র আল্লাহই জানেন।

হ্যা, হাদীসের ভাষ্য থেকে অনুমান করা যায়, জমিনের সাতটি স্থরকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে।সেই ছয় স্থরে প্রাণির উপস্থিতিও রয়েছে।যার কিছু প্রমাণ আজ বিজ্ঞান আমাদের সামনে নিয়ে আসছে।

(২)
জ্বী, কালেমা প্রতিষ্টিত করার কথা বলা হচ্ছে।কালেমাকে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না বরং অন্যর নিকট তা পৌছিয়ে দিতে হবে।

(৩)
জ্বী, কেউ যদি ঈমানদার থাকে, এবং ফেরাউনের নির্যাতনের ভয়ে সে বাহ্যিকভাবে মুশরিক থাকে, তাহলে সেও জান্নাতে যাবে।


(৪)
জ্বী, গুরাবা।

(৫)
তাকে হত্যা করা জায়েয হবে না।

(৬)
 যারা শুধু মনে মনে চায় কালেমার বাস্তবায়ন তাদের কে বুঝানো হয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 160 views
...