আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

আপনার এই উত্তম কষ্টের /কাজের জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া আখিরাতে সর্বচ্চো মর্যাদা /সফলতা দান করুন !

দু'আ কবুল হওয়ার জন্য দু'আ কারীর ইতিবাচক মনোভাব এবং কবুল হওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস তার অন্তরে থাকতে হবে।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
وعنه، قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - " «ادعوا الله وأنتم موقنون بالإجابة واعلموا أن الله لا يستجيب دعاء من قلب غافل لاه» " (رواه الترمذي، وقال: هذا حديث غريب) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে এমন অবস্থায় ডাকো যে,দু'আ কবুলের সম্পর্কে তোমাদের অন্তরে পূর্ণ ইয়াকিন-বিশ্বাস রয়েছে। জেনে রাখো,আল্লাহ তা'আলা গাফিল এবং খেল-তামাশকারী বান্দার পক্ষ্য থেকে কখনো দু'আ কবুল করেন না। মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৪১

১)তাহলে আমি যদি এখন পূর্ণ বিশ্বাস  রাখি যে আল্লাহ তো আমাকে এটা অবস্যই দিবেন যদি আমার জন্য কল্যানকর হয় ,আমি মাঝে মাঝে দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য নিজে নিজেই ভেবে অনেক বেশি আনন্দ পাই যে আমি আল্লাহর কাছে ইটা চেয়েছি তিনি অবস্যই আমাকেই তা দিবেন ,এবং এটা পাবার আনন্দটা আমি আগেই পাই এটা কি জায়েজ ?
আবার অনেকসময় দৃঢ় বিশ্বাসের ফলে জিনিষটা না পেতেই না চাইতেও ভেবে ফেলি যে আল্লাহ আমাকে এটা দিয়ে দিলে এরপর আমি এটা নিয়ে এই করবো সেই করবো ,,,অমনি আবার মনেহয় যে আমার জন্য কল্যানকর না হলে তো আমাকে তিনি তা নাও দিতে পারেন তাহলে আগে থেকেই এতো আশা করে বোকামি করছি ,,,,,,আমার এরূপ আগে থেকে আনন্দ পাবার জন্য এবং না পাওয়া বস্তুটাকে নিয়ে অগ্রিম স্বপ্ন দেখার ফলে কি আল্লাহ নারাজ হচ্ছেন ? এটার জন্য কি শাস্তি পেতে হবে আমাকে !?

২)নাশিদ / গজল  তো গানের সুরের মতো ,তাহলে এগুলো শুনা কি জায়েজ ? আবার কিছু কিছু নাশিদ এ দেখি মিউসিক ও থাকে।

৩)ভেজা চুল শুকানোর জন্য ঘরে চুল খোলা রাখা কি জায়েজ হবে ,যেহেতু সবসময় মাথায় কাপড় দিয়ে রাখা ফরজ
৪)একজন মানুষ সারাজীবন সর্বদা আল্লাহর জিকির করলো কিন্তু কখনো সালাত আদায় করলোনা , তার পরিণতি কি হবে ?

৫) ১.মায়ের নামে কেউ একটা কথা বললো আর আমি তা শুনলাম এবং মেক এসে বললাম "মা যেন উনি তোমার কথা এভাবে বলছেন,,এটা কি গীবত হবে ?
২.খালামনি অথবা নানী অথবা অন্য কোনো আপনজনের কোনো কোথায় কষ্ট পেলে মাকে যদি এসে বলি "'জানো  মা আমাকে এভাবে বলেছে আমার অনেক খারাপ লেগেছে" ,কষ্টগুলো মাকে বলে হালকা হই ,এটাও কি গীবতের মধ্যেই পরে ? আল্লাহ নারাজ হবেন। .?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনি যদি পূর্ণ বিশ্বাস  রাখেন যে, আল্লাহ তো আমাকে এটা অবশ্যই দিবেন যদি আমার জন্য কল্যানকর হয় ,আপনি মাঝে মাঝে দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য নিজে নিজেই ভেবে অনেক বেশি আনন্দ পান যে, আমি আল্লাহর কাছে ইটা চেয়েছি তিনি অবশ্যই আমাকে তা দিবেন ,এবং এটা পাবার আনন্দটা আপনি প্রথমেই উপভোগ করে নেন, তাহলে এটা না জায়েয হবে না। পেয়ে গেছেন ভেবে এই কল্পনা আপনার জন্য গোনাহ হবে না।

(২)
এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1898


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাশিদ /গজল  তো গানের সুরের মতো হলে, সেগুলো শুনা জায়েয হবে না।

(৩)ভেজা চুল শুকানোর জন্য ঘরে চুল খোলা রাখা যাবে। হ্যা, গায়রে মাহরামের সামনে মাথা ঢাকা ফরয।এমনকি একাকি মুহূর্তেও মাথা ঢেকে রাখা উচিৎ।কেননা তখনও তো ফিরিশতারা আশপাশে থাকতে পারেন।

(৪)একজন মানুষ সারাজীবন সর্বদা আল্লাহর জিকির করলো কিন্তু কখনো সালাত আদায় করলোনা , তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে।কেননা কবরে প্রথমেই নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইবে।

(৫) (ক) মায়ের নামে কেউ একটা কথা বললো আর আমি তা শুনলাম এবং মাক এসে বললাম "মা যেন উনি তোমার কথা এভাবে বলছেন" তাহলে এটাও গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

(খ) খালামনি অথবা নানী অথবা অন্য কোনো আপনজনের কোনো কোথায় কষ্ট পেলে মাকে যদি এসে বলি "'জানো মা আমাকে এভাবে বলেছে আমার অনেক খারাপ লেগেছে" কষ্টগুলো মাকে বলে হালকা হওয়া ,এটাও  গীবতের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য আল্লাহ নারাজ হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...