জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ زَاجٌ ، نَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، أَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ ، نَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَنْظُرُ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ ، فَإِنَّ مَا تَحْتَ السُّرَّةِ إِلَى الرُّكْبَةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
(সুনানে দারা কুতনি ৮৬৩)
★ শরীয়তের বিধান হলো নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে। কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সামান্য ছেড়ার কারনে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
নামাজ হয়ে গিয়েছে,কাজা আদায় করতে হবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে বুঝা যাচ্ছে যে সে ট্যাটূ উক্ত স্থানে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেনা,তাই তার পিছনেও নামাজ হবে, তার নিজের নামাজও হবে।
এখন উক্ত ট্যাটুর ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ
যদি কারো ইসলামের জ্ঞান আসার পূর্বে ট্যাটু করে থাকেন এবং সেটা যদি স্থায়ী হয় আর সেটা উঠাতে গিয়ে যদি তার শরীরের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে ঐ ট্যাটু যদি এমন স্থানে হয়,যা কাপড় দ্বারা ঢেকে যাবে,তাহলে তা উক্ত অবস্থায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকে তা তুলার ব্যবস্থা করতে হবে।আর শরীরের এমন স্থানে হলে,যেখানে কাপড় ঢেকে রাখবে না,তা যথাসম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।প্রয়োজনে একটু কষ্ট সহ্য করে হলেও তা তুলে ফেলতে হবে।