আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)
তরল নাপাকি কাপড়  ৩ বার ধোয়্যার  সময়,, ৩ বার ট্যাপ বন্ধ করতে হয়।  কিন্তু ১ম বার ধোয়ার পর যখন বন্ধ করবো তখন সবানসহ নাপাকি ওই ট্যাপে লেগে যায়। এইভাবে না ধুয়ে ৩ বার বালতিতে নতুন পানির জন্য ট্যাপ খুলা ও বন্ধ করি। কিন্তু ওই ট্যাপ্ টি আর ধুই না।
এতে করে ১ম বার নাপাক কাপড় ধুইতে যে নাপাকি ট্যাপে লাগছিলো তা কিন্তু আমি না ধুয়েই বাকি ২ বার কাপড় ধুইছি।
এতে কি ট্যাপ থেকে লেগে থাকা পূর্বের নাপাকি ২য় বার তারপর ৩য় বার চলে আসে। আর হাত থেকে বালতির পানিতে।

এভাবে ট্যাপ না ধুয়ে কি কাপড় পবিত্র হবে? (একইবভাবে টুবোলের হাতাওল)


(আরেকটা জিনিস, ধুয়ে নেয়া উত্তম কিন্তু সবার প্রথমে যখন ট্যাপ ধুইবো। তখন ধুয়ার পর থেকে তো কাপড় সেই ১ম বার থেকে ধুইবো। ওই কাপড় যেহেতু ১ম বার থেকে ধুয়া আরম্ভ করবো,,আবার ট্যাপে নাপাকি লেগে যাবে)

২) আমি প্রচন্ড কুমন্ত্রণা দ্বারা আক্রান্ত নাপাকি বিষয়ে। আমি যদি গোসলে বা নাপাকি ধোয়া শেষে যদি বলি "শেষ আর নাপাকি নাই" কিন্তু আমার অসাবধানতা বশত নাপাকি থেকেই গেলো তা আমি জানি না। এতে আমার গুনাহ হবে কি? কারন আমি OcD রোগী।

1 Answer

0 votes
by (710,520 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
তরল নাপাকি কাপড়  ৩ বার ধৌত করার সময়,, ৩ বারই ট্যাপ বন্ধ করতে হয়। ১ম বার ধোয়ার পর যখন ট্যাপ বন্ধ করতে হয়, তখন সাবানসহ নাপাকি ওই ট্যাপে লেগে যায়। এই জন্য আলাদা পানি নিয়ে ট্যাপ ধৌত করতে হবে।যদি ধৌত করা না হয়, এবং পরাবর্তীতে ট্যাপে হাত লাগে,তাহলে হাতও নাপাক হবে।এবং হাত কাপড়ে লাগলে কাপড়ও নাপাক হবে।এইজন্য পতিবার সতর্কতার সাথে ট্যাপ ধৌত করতে হবে।



(২)
আপনার অসাবধানতার দরুণ নাপাকি লেগে গেলে কোনো সমস্যা হবে না।

আপনাকে শয়তান ওয়াসওয়সা দিচ্ছে,
https://www.ifatwa.info/1379  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 44 views
...