আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
হুজুর আপনি বলেছিলেন ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা না দেওয়ার জন্য। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি কিন্তু মাঝেমাঝে কিছু জিনিস মারাত্বক ভাবে আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। যাই হোক প্রশ্ন হলো

১/ আমি এশার নামাজ পড়ার ১০/১৫ মিনিট পর কম্পিউটার চালানোর সময় আমার নুনু চেক করি। তখন দেখি মাথায় একদম অল্প কিছু পানি জমে আছে। সেটা এক ফোটার মত বা তার চাইতে কম। এখন প্রশ্ন হলো আমার কি এশার নামাজ হয়েছে? নাকি আবার পড়তে হবে? আরেকটা প্রশ্ন হলো আমি কম্পিউটার চালানোর সময় কয়েকবার প্যান্টের উপর হাত দিয়ে নুনু ধরেছিলাম। এখন তারপর আবার কম্পিউটার ধরছি। এখন বুঝতে পারছি না ও সন্দেহ হচ্ছে প্রস্রাব লেগেছে কিনা আর লাগলে কম্পিউটারে চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে। আবার সারা ঘরেও সবজিনিসের সাথে লাগার চান্স আছে এটা খুবই যন্ত্রনা দিচ্চে। এখন কি সন্দেহ হিসেবে এড়িয়ে যাব?
২/ হুজুর আমি সাধারন নাপাক কাপড় সব ওয়াসিং মেশিনে ধৌত করি শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী। তিন বার নতুন পানি দিয়ে। তো আজকে ভূলে আমার প্রস্রাব ওয়ালা প্যান্টাতে আমার ব্যান্ডেজ এর প্যাকেট থেকে যায়। আর ধৌয়ার পর সেটা মনে পড়ে। এখন কি ব্যান্ডেজ প্যাকেট থেকে কি নাপাকি সব কাপড়ে ছড়িয়ে যাওয়ার চান্স আছে নাকি কাপড়ের সাথে ব্যান্ডেজ এর প্যাকেটেও পাক হয়ে যাবে?

একটু তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে খুশী হব।
by (1 point)
প্রশ্নকারীকে পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি চিন্তা করে দেখিন, এই পানি কখন বের হতে পারে? নামাযের আগে না পরে বের হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
যদি মনে হয় যে, নামাযের পূর্বে বা নামাযরত অবস্থায় বের হয়েছে, তাহলে নামাযকে দোহড়াতে হবে।কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সতর্কতামূলক নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন। আপনার হাত স্পর্শ হতে পারে, এমন সম্ভাব্য সকল জিনিষকে আপনি ধৌত করে নিবেন বা মুছে নিবেন।

(২)
প্রশ্নটি অসস্পষ্ট।স্পষ্ট করে ইডিট করে কমেন্টে বলবেন। এই বিষয়ে নতুনকরে আর প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
প্রশ্ন হচ্চে, নাপাক কাপড়ের পকেটে যদি কিছু থেকে যায় ধোয়ার সময় (আমার ব্যান্ডেজ এর প্যাকোট ছিল) আর ধৌত করার পর যদি জিনিসগুলোর কথা মনে পড়ে তাহলে কি জিনিসগুলো নাপাক থাকবে নাকি কাপড়ের সাথে পাক হয়ে যাবে?
by (16 points)
১ নং প্রশ্নে আমার ধারনা নামাজের পর হয়েছে। আর আগে হলে এতক্ষণ থাকার  কথা না। আর অন্যদিকে আমার প্রবলধারনা হচ্ছে হাতে লাগে নি। এখন কি এই ধারনার উপর আমল করব? কারন আমার প্যান্টে লাগলেও এটা হাতে লাগার  মত ছিল বলে মনে হয় না।
by (714,440 points)
ব্যান্ডেজ কাপড়ের সাথে পবিত্র হয়ে যাবে।
by (714,440 points)
১ নং প্রশ্নের উত্তর
আপনি আপনার প্রবল ধারণার উপরই আমল করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...