জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
الفتاوى الهندية (1/ 172):
ومنها فراغ المال عن حاجته الأصلية فليس في دور السكنى وثياب البدن وأثاث المنازل ودواب الركوب وعبيد الخدمة وسلاح الاستعمال زكاة وكذا طعام أهله وما يتجمل به من الأواني إذا لم يكن من الذهب والفضة ….. وكذا كتب العلم إن كان من أهله وآلات المحترفين كذا في السراج الوهاج.
সারমর্মঃ
যাকাতের ক্ষেত্রে নেসাব পরিমান সম্পদ নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ থেকে অতিরিক্ত হতে হবে।
এক্ষেত্রে ঘর বাড়ি,শরীরের কাপড়,যানবাহন খরচ,ব্যবহারের অস্ত্র,পরিবার পরজনের খাবার,বাসন ইত্যাদি থেকে অতিরিক্ত হতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
আপনি যদি পূর্ব থেকে বাদ দিয়েই দেন, তাহলে এখন আর আপনাকে বাদ দিতে হবে না।
,
(খ)
মাসের শুরুতে দিলে ঐ পরিমান টাকা বাদ দিতে পারবেননা।
কেননা সেটি শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ নয়।
এটি মাসিক প্রয়োজনীয় খরচ।
এক্ষেত্রে মাসিক প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিলে বাৎসরিক প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দেওয়ারও প্রশ্ন আসবে।
,
(গ)
উভয় প্রশ্নের "ছ' এর জবাব দেওয়া আছে।
,
(ঘ)
মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারীদের নারী-পুরুষ,সুস্থ অসুস্থ সবার জন্যই ওমরার ইহরাম মসজিদে আয়েশা সহ সকল হুদুদে হরমের শুরু সীমানা থেকে করাই যথেষ্ট।
হানাফী মাযহাবসহ অন্যান্য ফিকহেও এমনটাই পাওয়া যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهَا قَالَتْ: أَحْرَمْتُ مِنَ التَّنْعِيمِ بِعُمْرَةٍ فَدَخَلْتُ فَقَضَيْتُ عُمْرَتِىْ وَانْتَظَرَنِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ بِالْأَبْطَحِ حَتّٰى فَرَغْتُ فَأَمَرَ النَّاسَ بِالرَّحِيلِ فَخَرَجَ فَمَرَّ بِالْبَيْتِ فَطَافَ بِه قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَدِينَةِ.
উক্ত রাবী [‘আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তান্‘ঈম হতে ‘উমরার ইহরাম বাঁধলাম এবং মাক্কায় পৌঁছে আমি আমার কাযা ‘উমরা আদায় করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবত্বাহ-এ এসে আমার জন্যে অপেক্ষা করলেন যতক্ষণ পর্যন্ত আমি অবসর না হলাম (‘উমরা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত)। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোকদেরকে (মাদীনার দিকে) রওয়ানা হতে আদেশ করলেন এবং নিজেও (মক্কার দিকে) রওয়ানা হলেন। আর বায়তুল্লাহ পৌঁছে ফজরের সলাতের আগেই (বিদায়ী) তাওয়াফ করলেন। অতঃপর মাদীনার দিকে রওয়ানা হলেন।
আবূ দাঊদ ২০০৫।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হিল বা হুদুদে হরমের শুরু সীমানা থেকে ইহরাম বাদতে পারবে।
,
★উল্লেখিত মাসয়ালাতে কিছু ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন।
তারা হারাম এলাকাতেও ইহরাম বাধার অনুমতি দিয়েছেন।
(ঙ)
ফিকহের কিতাবে এক দিন অথবা এক রাত এর কথা এসেছে।
(চ)
ফিদইয়া বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর তা হচ্ছে সাওম পালন করা বা সদকা দেয়া বা যবেহ্ করা। ফিদইয়া যবেহ করার জন্য হারামের সীমারেখা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু সাওম পালন বা সদকা দেয়ার জন্য কোন বিশেষ স্থান নির্ধারিত নেই। তা যে কোন স্থানে আদায় করা চলে। কুরআনের শব্দের মধ্যে সাওমের কোন সংখ্যা নির্ধারিত নেই এবং সদকারও কোন পরিমাণ নির্দেশ করা হয়নি। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবী কাব ইবনে উজরার এমনি অবস্থার প্রেক্ষিতে এরশাদ করেছেনঃ তিন দিন সাওম অথবা ছয়জন মিসকীনকে খাবার দাও, প্রত্যেক মিসকীনকে মাথাপিছু অর্ধ সা খাবার দাও এবং তোমার মাথা মুণ্ডন করে ফেল। [বুখারীঃ ৪৫১৭]
(ছ)
যদিও অসুস্থ হোক, যদি হাত পায়ের নখ এক বৈঠকেই কেটে ফেলে,তাহলে দম দিতে হবে।
যদি পাঁচ আঙ্গুল থেকে কম কাটে,তাহলে ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ আদায় করবে।
(জ)
যিলহজ্জ মাসের ৭ তারিখের মধ্যেই আদায় করার পর যতগুলো রোযা বাকি থাকবে,তাহা বাড়িতে এসে আদায় করবে।
,
(ঝ)
দম দিতে হবে।
“দম” বলতে সাধারণভাবে একটা বকরী বা ভেড়া বা দুম্বা বুঝায়, কিম্বা গরু বা মহিষ বা উটের এক সপ্তমাংশ বুঝায়।
(ঞ)
মাথা কামানো।