আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by

ক) https://ifatwa.info/19484/
এই প্রশ্নের ঙ তে, মাসের শেষে যাকাত দেওয়ার সময় আমি নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিতে পারবো। আমার প্রশ্ন হলো, নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ তো আমি খরচ করেই ফেলেছি সারা মাসে। তাহলে আবার বাদ দিবো কেন? যেমনঃ সারা মাসে আমার ৩০,০০০ টাকা খরচ হলো। তাতো আমার যাকাত যোগ্য সম্পদ থেকে বাদ হয়েই গেলো মাসের শেষে। তাহলে আবার কি বাদ দিবো মাসের শেষে বুঝলাম না।

খ) আর মাসের শুরুতে দিলে, এইসব খরচ(৩০,০০০, যা আমার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ)  আগে থেকে বাদ দিতে পারবো না? কেন এইরকম হচ্ছে? 

গ)i) https://ifatwa.info/20291/ এর ছ এর উত্তর দেন নাই।
আর
ii) https://ifatwa.info/20327/ এর ও ছ এর উত্তর দেন নি।

ঘ) https://ifatwa.info/20268/ এইখানে গ তে বলেছেন, ওমরাহ এর জন্য হারামের মধ্যেই ইহরাম বাঁধা যাবে। কিন্তু ফিকহুম মুয়াসসারে / এসো ফিকহ শিখিতে বলা আছে, নতুন ওমরাহ এর জন্য ইহরাম বাঁধতে হিল এ যাওয়া লাগবে আর হজের জন্য হারাম এলাকাতে থাকাই যথেষ্ট (হারামে বাসকারী/অবস্থানকারীদের জন্য)। এইটা কি ইখতিলাফি মাসালা?

ঙ) https://ifatwa.info/20268/ এর চ তে বলেছেন, ২৪ ঘন্টা হলে দম আসে। কিন্তু উস্তাদ বলেছিলেন, ১২ ঘন্টা হলে দম আসে। এইটা কি ইখতিলাফি মাসালা?

চ) https://ifatwa.info/20268/ এর ছ এর ফিদয়া কি পরিমাণ একটু বিস্তারিত বলেন।

ছ) https://ifatwa.info/20268/ এর জ তে বলেছেন, নখ কাটলে দম/ফিদয়া আসবে। কিন্তু আমার যদি নখ বড় হলে মাংসে ঢুকে ব্যাথা হয়(এই রোগ আছে অনেকের), তাহলে রোগী হিসেবে ওযর দেখা হবে না কেন? রোগী হলেও ফিদয়া/দম কেন আসছে? অনেক ক্ষেত্রেই তো রোগীকে ছাড় দেওয়া হয়।

জ) https://ifatwa.info/20268/ ঞ তে  যা বলেছেন, তা তো এক প্রকার ফিক্সড জিনায়াত দশ রোযার। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি এক/দুই বা বিশ/ত্রিশ যেকোন রোযা জিনায়াত হিসেবে আসলো। তখন কিভাবে আদায় করবো?

ঝ) হজে কোন ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কি পরিমাণ  জিনায়াত/দম?

ঞ) হলক করা মানে কি মাথার চুল কাটা/কামানো?

closed
by (589,140 points)
ক) https://ifatwa.info/19484/
এই প্রশ্নের ঙ তে, মাসের শেষে যাকাত দেওয়ার সময় আমি নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিতে পারবো। আমার প্রশ্ন হলো, নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ তো আমি খরচ করেই ফেলেছি সারা মাসে। তাহলে আবার বাদ দিবো কেন? যেমনঃ সারা মাসে আমার ৩০,০০০ টাকা খরচ হলো। তাতো আমার যাকাত যোগ্য সম্পদ থেকে বাদ হয়েই গেলো মাসের শেষে। তাহলে আবার কি বাদ দিবো মাসের শেষে বুঝলাম না?

আপনি যদি পূর্ব থেকে বাদ দিয়েই দেন, তাহলে এখন আর আপনাকে বাদ দিতে হবে না। 

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
الفتاوى الهندية (1/ 172):
ومنها فراغ المال عن حاجته الأصلية فليس في دور السكنى وثياب البدن وأثاث المنازل ودواب الركوب وعبيد الخدمة وسلاح الاستعمال زكاة وكذا طعام أهله وما يتجمل به من الأواني إذا لم يكن من الذهب والفضة ….. وكذا كتب العلم إن كان من أهله وآلات المحترفين كذا في السراج الوهاج.
সারমর্মঃ
যাকাতের ক্ষেত্রে নেসাব পরিমান সম্পদ নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ থেকে অতিরিক্ত হতে হবে। 
এক্ষেত্রে ঘর বাড়ি,শরীরের কাপড়,যানবাহন খরচ,ব্যবহারের অস্ত্র,পরিবার পরজনের খাবার,বাসন ইত্যাদি থেকে অতিরিক্ত হতে হবে।

 ★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,   
আপনি যদি পূর্ব থেকে বাদ দিয়েই দেন, তাহলে এখন আর আপনাকে বাদ দিতে হবে না। 
,
(খ)
মাসের শুরুতে দিলে ঐ পরিমান টাকা বাদ দিতে পারবেননা।
কেননা সেটি শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ নয়।
এটি মাসিক প্রয়োজনীয় খরচ।
এক্ষেত্রে মাসিক প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিলে বাৎসরিক প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দেওয়ারও প্রশ্ন আসবে।
,
(গ)
উভয় প্রশ্নের "ছ' এর জবাব দেওয়া আছে। 
,
(ঘ)
মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারীদের নারী-পুরুষ,সুস্থ অসুস্থ সবার জন্যই ওমরার ইহরাম মসজিদে আয়েশা সহ সকল হুদুদে হরমের শুরু সীমানা থেকে করাই যথেষ্ট। 
হানাফী মাযহাবসহ অন্যান্য ফিকহেও এমনটাই পাওয়া যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهَا قَالَتْ: أَحْرَمْتُ مِنَ التَّنْعِيمِ بِعُمْرَةٍ فَدَخَلْتُ فَقَضَيْتُ عُمْرَتِىْ وَانْتَظَرَنِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ بِالْأَبْطَحِ حَتّٰى فَرَغْتُ فَأَمَرَ النَّاسَ بِالرَّحِيلِ فَخَرَجَ فَمَرَّ بِالْبَيْتِ فَطَافَ بِه قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَدِينَةِ.

উক্ত রাবী [‘আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তান্‘ঈম হতে ‘উমরার ইহরাম বাঁধলাম এবং মাক্কায় পৌঁছে আমি আমার কাযা ‘উমরা আদায় করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবত্বাহ-এ এসে আমার জন্যে অপেক্ষা করলেন যতক্ষণ পর্যন্ত আমি অবসর না হলাম (‘উমরা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত)। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোকদেরকে (মাদীনার দিকে) রওয়ানা হতে আদেশ করলেন এবং নিজেও (মক্কার দিকে) রওয়ানা হলেন। আর বায়তুল্লাহ পৌঁছে ফজরের সলাতের আগেই (বিদায়ী) তাওয়াফ করলেন। অতঃপর মাদীনার দিকে রওয়ানা হলেন।
আবূ দাঊদ ২০০৫।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হিল বা হুদুদে হরমের শুরু সীমানা থেকে ইহরাম বাদতে পারবে।
,
★উল্লেখিত মাসয়ালাতে কিছু ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন।
তারা হারাম এলাকাতেও ইহরাম বাধার অনুমতি দিয়েছেন। 

(ঙ)
ফিকহের কিতাবে এক দিন অথবা এক রাত এর কথা এসেছে। 

(চ)
ফিদইয়া বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর তা হচ্ছে সাওম পালন করা বা সদকা দেয়া বা যবেহ্ করা। ফিদইয়া যবেহ করার জন্য হারামের সীমারেখা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু সাওম পালন বা সদকা দেয়ার জন্য কোন বিশেষ স্থান নির্ধারিত নেই। তা যে কোন স্থানে আদায় করা চলে। কুরআনের শব্দের মধ্যে সাওমের কোন সংখ্যা নির্ধারিত নেই এবং সদকারও কোন পরিমাণ নির্দেশ করা হয়নি। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবী কাব ইবনে উজরার এমনি অবস্থার প্রেক্ষিতে এরশাদ করেছেনঃ তিন দিন সাওম অথবা ছয়জন মিসকীনকে খাবার দাও, প্রত্যেক মিসকীনকে মাথাপিছু অর্ধ সা খাবার দাও এবং তোমার মাথা মুণ্ডন করে ফেল। [বুখারীঃ ৪৫১৭]

(ছ)
যদিও অসুস্থ হোক, যদি হাত পায়ের নখ এক বৈঠকেই কেটে ফেলে,তাহলে দম দিতে হবে।
যদি পাঁচ আঙ্গুল থেকে কম কাটে,তাহলে ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ আদায় করবে।

(জ)
যিলহজ্জ মাসের ৭ তারিখের মধ্যেই আদায় করার পর যতগুলো রোযা বাকি থাকবে,তাহা বাড়িতে এসে আদায় করবে।
,
(ঝ)
দম দিতে হবে। 

“দম” বলতে সাধারণভাবে একটা বকরী বা ভেড়া বা দুম্বা বুঝায়, কিম্বা গরু বা মহিষ বা উটের এক সপ্তমাংশ বুঝায়। 

(ঞ)
মাথা কামানো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 194 views
...