(ক)
উক্ত দম হারামের সীমানার ভিতরেই জবাই করতে হবে।
যদি নিজে হালাল হওয়ার পূর্বেই উক্ত দম জবাই করা,তাহলে অন্যকে দিয়ে জবাই করাবে।
আর যদি নিজে হালাল হওয়ার পর দম জাবাই করে,তাহলে নিজেও জবাই করতে পারবে।
অন্যকে দিয়েও করাতে পারবে।
,
(খ)
প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ
১০ যিলহজ্ব কুরবানীর পর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই মাথা মুণ্ডাতে বা চুল কাটতে হবে।
ইফরাদ হজ্বকারীদের যেহেতু ওয়াজিব কুরবানী নেই তাই তারা রমীর পরই চুল কাটতে পারবে। রমীর আগে চুল কাটলে দম ওয়াজিব হবে। -শরহু মাআনিল আছার ১/৪৪৭
হাজ্বীদের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মিনাতে মাথা মুণ্ডানো বা চুল কাটা সুন্নত।
আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করলেন। অতপর মিনায় নিজ অবস্থানস্থলে গেলেন এবং কুরবানী করলেন। এরপর চুল মু-নকারীকে চুল মুণ্ডানোর আদেশ করলেন। প্রথমে ডান পাশের চুলের দিকে ইশারা করলেন। অতপর বাম পাশের চুলের দিকে। অতঃপর কেশ মোবারক লোকদের মাঝে বিতরণ করে দিলেন। -সহীহ মুসলিম ১/৪২১
জামরা আকাবার কংকর নিক্ষেপের পর হজ্ব আদায়কারী নিজের চুল কাটার আগে অন্যের চুল কাটতে পারবে।
ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি জামরা আকাবার রমী (কংকর নিক্ষেপ) করেছে কিন্তু এখনো চুল মুণ্ডন করেনি। সে কি অন্যের চুল কামিয়ে দিতে পারবে? তিনি বললেন, হাঁ, পারবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬১৩৯
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি হজ্জে ইফরাদ কারী হয়,সেক্ষেত্রে রমির পরে নিজ চুল কাটতে পারবে।
আর যদি তামাত্তু' বা কারেন হয়,তাহলে কুরবানীর পর নিজের চুল কাটতে পারবে।
,
(গ)
১ম ওমরা শেষ করে মাথা মুন্ডিয়ে/চুল কেটে হালাল হবে।
পুনরায় নতুন করে নিয়ত করে হারাম এলাকার সীমানার বাহিরে গিয়ে ইহরাম বাধবে।
(মসজিদে আয়েশা এক্ষেত্রে সব চেয়ে নিকটে)
এভাবেই যতগুলো ওমরা আদায় করতে চায়,আদায় করবে।
,
(ঘ)
এক্ষেত্রে ওমরাহ থেকে হালাল হওয়ার পর সে হিল ব্যাতিত অন্যত্রেও যেতে পারবে।
মক্কার বাহিরেও যেতে পারবে।
তবে নিজ বাড়িতে আসবেনা।
,
(চ)
ফিকহের কিতাবে এক দিন অথবা এক রাত এর কথা এসেছে।
,
(ছ)
এক্ষেত্রে দম আসবেনা।
তবে ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে।
وَ لَا تَحۡلِقُوۡا رُءُوۡسَکُمۡ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡہَدۡیُ مَحِلَّہٗ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ بِہٖۤ اَذًی مِّنۡ رَّاۡسِہٖ فَفِدۡیَۃٌ مِّنۡ صِیَامٍ اَوۡ صَدَقَۃٍ اَوۡ نُسُکٍ ۚ
আর তোমরা মাথা মুন্ডন করো না যে পর্যন্ত হাদঈ তার স্থানে না পৌছে। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় বা মাথায় কষ্টদায়ক কিছু হয় তবে সিয়াম কিংবা সাদাকা অথবা পশু যবেহ দ্বারা তার ফিদইয়া দিবে।
(সুরা বাকারা ১৯৬)
(জ)
যদি হাত পায়ের নখ এক বৈঠকেই কেটে ফেলে,তাহলে দম দিতে হবে।
যদি পাঁচ আঙ্গুল থেকে কম কাটে,তাহলে ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ আদায় করবে।
عن لیث عن عطاء وطاؤس ومجاہد: أنہم قالوا في المحرم: إذا نتف إبطہ أو قلَّم أظفارہ فإن علیہ الفدیۃ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۸؍۲۰۳ رقم: ۱۳۶۰۴ المجلس العلمي)
ولیس للمحرم أن یقص أظافیرہ قبل الحلق، إذا قلم المحرم جمیع أظافیرہ فعلیہ دم واحد، وإن قلم أظفار کف فعلیہ دم، وإن قلم أقل کف فعلیہ صدقۃ۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۳؍۵۸۶ رقم: ۵۱۰۰ زکریا، تبیین الحقائق ۲؍۳۱۱)
সারমর্মঃ
(ঝ)
আদায় করতে হবে।
নতুবা মারা যাওয়ার আগে বদলি হজ্জের অছিয়ত করবে।
,
(ঞ)
প্রথম তিনটি রোযা যিলহজ্জ মাসের ৭ তারিখের মধ্যেই আদায় করবে।
বাকি সাতটি রোযা বাড়িতে এসে আদায় করবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ فِی الۡحَجِّ وَ سَبۡعَۃٍ اِذَا رَجَعۡتُمۡ ؕ تِلۡکَ عَشَرَۃٌ کَامِلَۃٌ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ لَّمۡ یَکُنۡ اَہۡلُہٗ حَاضِرِی الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۱۹۶﴾
কিন্তু যদি কেউ তা না পায়, তবে তাকে হজের সময় তিন দিন এবং ঘরে ফিরার পর সাত দিন এ পূর্ণ দশ দিন সিয়াম পালন করতে হবে। এটা তাদের জন্য, যাদের পরিজনবর্গ মসজিদুল হারামের বাসিন্দা নয়। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।
(সুরা বাকারা ১৯৬)
(ট)
হ্যাঁ দম দিতে হবে।
(ঠ)
পুরুষের জন্য মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, মুখমণ্ডল ও তার উপরের অংশ মাথার অন্তর্ভুক্ত। অতএব ইহরাম গ্রহণকারী থুতনী থেকে উপরের দিকে আবৃত করবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৪৫২)
যদি একদিন অথবা এক রাত হয়,তাহলে দম ওয়াজিব হবে।
وإن لبس ثوبا مخیطا أو غطی رأسہ یوما کاملا فعلیہ دم۔ (ہدایۃ ۱؍۲۸۹)
সারমর্মঃ
কেহ যদি পূর্ণ একদিন সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করে,বা অনুরূপ সময় মাথা ঢেকে রাখে, তাহলে
তার উপর দম ওয়াজিব হবে।