ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হুরমত সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।
(২) হুরমত হয়ে গেলে যদি সে তার মাতাপিতাকে না জানায়, এমতাবস্থায় সে মারা যায়, তাহলে মৃত্যুর পরও তার গোনাহ হবে।
(৩) শশুড় তার পুত্র বধুর সাথে সহবাস করে নিয়েছে বা কামভাব নিয়ে ধরেছে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ পুত্রবধু তার পুত্রের জন্য হারাম হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল, হুরমতের জন্য শর্ত হল, কামভাব তথা সহবাসের নিয়ত থাকা।
(৪) না, এমতাবস্থায় পাপ যোগ হবে না। তবে হত্যার জন্য অনেক কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
(৫) শাফেয়ী মাযহাব মতে হুরমত প্রমাণিত হয়, তবে তাদের মাযহাব মতে ভিন্ন ব্যখ্যা রয়েছে। আপনার সাথে কারো হুরমত হয়ে গেলে যদি আপনি না মানেন, তাহলে অবশ্যই আপনার গোনাহ হবে।
(৬) খ এর গোনাহ হবে না। তবে ক এর গোনাহ অবশ্যই হবে।
(৭) তাওবাহ করলে আল্লাহ যে কোনো গোনাহ কে ক্ষমা করে দেন। তবে হুরমতের দুনিয়াবী যে বিধি বিধান রয়েছে, তাকে তাওবাহর মাধ্যমে রহিত করা যাবে না।
(৮) যার যার মাযহাব মতে হুরমত প্রযোজ্য হবে।
(৯) আপনার হুরমত হয়নি। সুতরাং আপনি কেন অযথা টেনশন ফিল করবেন। এটা শয়তানের ধোকা।
(১০) হুরমতের যে দুনিয়াবী বিধান রয়েছে, তা থেকে আপনি তাওবাহর মাধ্যমে মাফ পাবেন না। বরং তা প্রযোজ্য হয়েই থাকবে। কিন্তু কেন আপনি কামভাব নিয়ে স্পর্শ করলেন, এজন্য যদি আল্লাহর নিকট তাওবাহ করেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।
(১১) সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে স্পর্শ করা মানে ইচ্ছাকৃত স্পর্শ করা। সুতরাং অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের মাধ্যমে হুরমত প্রমাণিত হবে না।
(১২) বাংলা ভাষায় এমন বই রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।