আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

https://www.ifatwa.info/24152/  == এই লিংকের উত্তরের আলোকে আমার কি নিম্নোক্ত আক্বীদা ধারন করা যাবে কি বা নিম্নোক্ত আক্বীদা ধারন করলে ঈমান এর কোনো সমস্যা হবে কি?   

  আক্বীদাসমূহ-  (এখানে শুধু যিনা পাপের উদাহরন দিলাম্‌বাকি পাপের ক্ষেত্রেও একই আক্বীদা রাখা যাবে কি?)

 ১। "যিনা না করা আল্লহর শরীয়তগত হুকুম।" 

কিন্তু আমি কি এই আক্বীদা রাখতে পারবো যে, "যারা যিনা করে,তারাও আল্লহর হুকুমে করে। আবার তাদেরকেও যিনা করার-ও যোগ্যতা দিয়েছেন সাথে যিনা না করার-ও যোগ্যতা  ২টি-ই দিয়েছেন । কিন্তু বেচে নেয়ার দায়িত্ব আমার। আমার বেচে নেয়ার উপর ফল দেয়া হবে।    

 "তাইলে কি এভাবে আক্বিদা রাখা যাবে কিংবা বলা যাবে যে , "যিনা না করা আল্লহর শরীয়তগত হুকুম।   -- কিন্তু যারা যিনা করে তারা আল্লহর হুকুমে করে কিন্তু যেই আল্লহ গুনাহ করার যোগ্যতা দিয়েছেন আবার সেই আল্লহ-ও যিনা থেকে বাচার-ও যোগ্যতা দিয়েছেন।"      

   প্রশ্ন হলো (আমি টেনশনে পড়ে গেসি)

 এই যে এখানে "আল্লহর হুকুমে যিনা করা"  (কিন্তু উনার ইচ্ছা  ও শরীয়তগত হুকুম নেই)।  এরকমভাবে  বাকি পাপ গুলার ক্ষেত্রেও কি উপোরক্ত ব্যাখানুযায়ী আক্বিদা রাখা যাবে কি ? মানে আমার বুজ এবং আক্বীদা কি ঠিক আছে?   (বাকি গুনাহ যেমন- পানি অপচয়, সুদ ইত্যাদি) 

 

প্রশ্ন ০২-

অমুক হালাল কাজটি আল্লহর পক্ষ থেকে হয়েছে।

কিন্তু (উপরের প্রশ্ন ১ এঁর বর্নানুযায়ী কি  গুনাহের ক্ষত্রেওকি বলা যাবে "গুনাহ আল্লহর পক্ষ থেকে"??   অথবা এরকম আক্বীদা হবে কি যে,  "গুনাহ আল্লাহর হুকুমে হয়, কিন্তু এই গুনাহটি উনার পক্ষ থেকে নয়"।  এই কথাটি কি ঠিক আছে? 

1 Answer

0 votes
by (711,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি এভাবে আকিদা রাখতে পারেন যে, 
"যিনা হারাম, এটা আল্লাহর বিধান।" 
"যারা যিনা করে,তারাও শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে পায়,  আল্লহর হুকুমে করে। কেননা, তাদেরকে যিনা করার যোগ্যতা বা যিনা থেকে বেচে থাকার যোগ্যতা , উভয়টিই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয় । কিন্তু বেচে নেয়ার দায়িত্ব বান্দার। বান্দার বেচে নেয়ার উপর ফল ভোগ করবে। অর্থাৎ আকিদার গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়, ইস্তেতাআত তথা কাজের যোগ্যতা আল্লাহই দান করেন। বান্দাকে নেক কাজের সামর্থ্য এবং বদ কাজের সামর্থ্য উভয়টিই আল্লাহ দান করেন। কেউ যদি যিনা করে, তাহলে একথা বলা যাবে যে, এ যিনা করার মত সুযোগ বা সামর্থ্য হত্যা করার মত সামর্থ্য সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কিছুই করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যিনা না করার এবং হত্যা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

(১) নেক কাজ করার হুকুম আল্লাহর তরফ হতে এসেছে, এবং বদ কাজ থেকে বেচে থাকার হুকুম আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে। তবে নেক কাজ বলেন, আর বদ কাজ বলেন, সবকিছুই আল্লাহ প্রদত্ব যোগ্যতা ও সামর্থ্য দ্বারা হয়ে থাকে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কোনো কাজ করতে পারবে না। নেক কাজও পারবে না,এবং বদ কাজও পারবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...