ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মানবজাতির আদি পিতা আদম (আঃ) হ’তে দ্বিতীয় পিতা নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ে কিছু নেককার মানুষ খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। নূহ (আঃ)-এর সময়ে তাঁরা মৃত্যুবরণ করলে ইবলীস তাদের ভক্ত-অনুসারীদের প্ররোচনা দিল এই বলে যে, ঐসব নেককার লোকদের বসার স্থানে তোমরা তাদের মূর্তি স্থাপন কর এবং সেগুলিকে তাদের নামে নামকরণ কর। শয়তান তাদের যুক্তি দিল যে, যদি তোমরা মূর্তিগুলোকে সামনে রেখে ইবাদত কর, তাহ’লে তাদের স্মরণ করে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি তোমাদের অধিক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তখন লোকেরা সেটা মেনে নিল। অতঃপর এই লোকেরা মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরবর্তী বংশধরগণকে শয়তান কুমন্ত্রণা দিল এই বলে যে, তোমাদের বাপ-দাদারা এইসব মূর্তির পূজা করতেন এবং এদের অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন ও তাতে বৃষ্টি হ’ত। একথা শুনে তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সরাসরি মূর্তিপূজা শুরু করে দিল। অতঃপর এভাবেই মূর্তিপূজার সূচনা হয়। কুরআনে নূহের সময়কার ৫ জন পূজিত ব্যক্তির নাম এসেছে। যথাক্রমে অদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়া‘ঊক্ব ও নাস্র (নূহ ৭১/২৩)। এদের মধ্যে ‘অদ’ ছিলেন পৃথিবীর প্রথম পূজিত ব্যক্তি যার মূর্তি বানানো হয় (ইবনু কাছীর) =(বুখারী হা/৪৯২০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়; তাফসীর কুরতুবী, বাগাভী, ইবনু কাছীর, শাওকানী প্রভৃতি)।
(২) রাহবার অর্থ রাস্তা প্রদর্শক। আর রাহযন অর্থ প্রকাশ্য রাজপথে ছিনতাই বা ডাকাতি করে যে।
(৩) কোরআনে ৭ জায়গায় ৭টি সালাম শব্দ আছে, এগুলোকে আয়াতে সালাম বলা হয়। এগুলোর ফযিলত কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। হ্যা বুজুর্গানে কেরাম এগুলোকে পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
(৪) গায়রে মাহমার মহিলার সাথে হঠাৎ অজ্ঞাত বশত হাত লেগে গেলে গোনাহ হবে না।
(৬) শানগত মর্যাদা & মানগত মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের জানা নাই।
(৭) ”তোমার পেছনে দিককার শত্র “ এ বাক্যর অনেক অর্থ হতে পারে। তবে সাধারণত এদ্বারা শয়তানকে বুঝানো হয়ে থাকে।
(৮) “মুসলমানদের ফিল্ড হেড কোয়ার্টার” এটা কোথায় পেয়েছেন? এটা কোনো পারিভাষিক শব্দ নয়। যিনি যে অর্থে ব্যবহার করবেন, সেটাই উদ্দেশ্য হবে।
(৯) জ্বী, শহীদগণ সুপারিশ করতে পারবে।
(১০) তাসাররুফ মানে ব্যবহার, শিরক ফিত তাসাররুফ অর্থ শিরকে ব্যবহার ।
(১১) আপনার বর্ণিত রেফারেন্স সঠিক নয়। এখানে পবিত্র আত্মা সম্পর্কে কোনো বর্ণনা নাই। বরং আপনার রেফারেন্সকৃত স্থানে ইমাম মাহদির আলোচনা এসেছে।
هَذَا الْمَهْدِيُّ الَّذِي يُذْكَرُ؟ قَالَ: لَا ، وَلَا الْمُتَشَبِّهُ "
[«مصنف ابن أبي شيبة» (7/ 514)]