আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
শাইখ,
১|ইবনু আরাবী সূফি সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি?
২|কয়েক প্রকারের সুফি দল আছে,যেমনঃ
রাফাঈয়্যাহ সূফি
তিজানিয়াহ সুফি
ক্বাদেরিয়া সুফি
শাযলীয়া সুফি
নাক্শবন্দী সুফি
এদের সম্পর্কে আমি জানতে চাই আপনাদের মতামত।
এদের ইতিহাস সম্পর্কে কোন link থাকলে তা আমাকে দেন।
৩|ইসলামে কৌতুক কি জায়েজ?
৪|বহুজাতিক রাষ্ট্র মডেল কাকে বলে?এটার ধরণ কেমন?এটার নিয়ম কেমন?
৫|বর্তমানে ভারতের মুশরিকরা তো বহু দেবতার অরাধনা করে,তবু ও তো তারা একজনকেই পরমেশ্বর মানে।তিনি আল্লাহ্,তাহলে তারা কেন চিরস্থায়ী জাহান্নামী?
৬|বনী আল আসফার কারা?এরা কি বর্তমান সময়ের বাজেন্টাইনরা?
বূখারীর হাদীসে আছে 'নবী বলেছেনঃতোমাদের ও বনী আসফার এর সাথে সন্ধি হবে,এবং তা ভঙ্গ হয়ে ৮০ টি বাহীনি যুদ্ধে আসবে।
'পবিত্র কুরআনে জেরুজালেম' ইমরান নযর হোসেনের বই।
তিনি বলেছেন,বনী আল আসফার হলো বাজেন্টাইন।এখন এটি কতটুকু সত্য আমাকে বলুন।
৭|শয়তানি বসা কাকে বলে?এটা কেমন করে বসাকে বলা হয়?
মানে কোন স্হানে কিভাবে বসলে।
৮|আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রকে ভালোবাসেন,এটা তিরমিযীর কত নং হাদীস?কোন অধ্যায়?
৯|আগুনে পোড়ানো রুটি খেলে কি উযু ভাঙ্গে?হাদীসে তো এমনই আছে?এটি মানসূখ হওয়ার দলিল কি?
১০|স্বামীর ভাই তথা দেবর তো মৃত্যতুল্য মানেটা কি?এটা কোন কিতাবের হাদীস,কত নং?
১১|যারা নবীকে দেখে ইমানের সাথে মারা গেলে তারা যদি আস-হাব হয়,
যারা আস-হাব কে দেখে মারা গেলে তাবেইন হয়,
যারা তাবেইনকে দেখে মারা গেলে তাবে-তাবেইন হয়,
যারা তাবে-তাবেইনকে দেখে মারা গেলে তাদেরকে কি বলবো?
এবং এই দ্বারাই বর্তমানের মানুষদের কি বলবো?
আল্লাহ আপনাকে এগুলোর উত্তর এর বিনিময়ে উত্তর প্রতিদান দান করুক।আমীন.......
by (32 points)
শাইখ,উত্তর কোথায়?
by (32 points)
হে সম্মানিত আল্লাহর দাস,
আসলে এ রকম প্রশ্ন করার কারণ,যেহেতু আমার রব আমাকে বুঝিয়েছেন,জানিয়েছেন...উনার সম্পর্কে, উনার দ্বীন সম্পর্কে,
তাই কোন কোন সমস্যা আমি নোট করে রাখি,এর উত্তর পাওয়ার জন্য।
যেহেতু আমি অনেক ইসলামিক বই পড়ছি,সেহেতু নানান প্রশ্নের সমাধার জন্যই এমন করা।
আমি আসলে দলিল চাই,মানে কথাটা কি সঠিক এর প্রমাণ চাইছি,কারণ আমি নিজেকে এমন ভাবি যে,(কেউ যদি এমন প্রশ্ন করে,আর আমার কাছে যদি দলিল চাই)তাহলে আমি যদি দিতে না পারি,ফলে লোকটি আমার সত্য কথায় ঈমান নাও আনতে পারে।
তাই জানার সময় একেবারে ভালোভাবে জেনে নিচ্ছি,আপনাদের(আল্লাহর দাস)হতে।
যেন পরে সমস্যা না হয়।
আমি জোর করছিনা,আসলে আপনারা যদি পারেন, বা পান তাহলে আমাকে দিবেন,অন্যতায় নয়।
আমার রব আপনাদের সকলের উপর রহম করুক,আপনাদের পরিবারের উপর ও...... 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইবনুল আরাবি একজন আল্লাহ ওয়ালা বিশুদ্ধ আকিদা সমৃদ্ধ বুজুর্গ ও ওলী ছিলেন। 

(২) চিশতিয়া, ক্বাদেরিয়া ,নাক্শবন্দীয়া এই ত্বরিকা সমূহ সম্পর্কে জানি যে, এগুলোতে শিরক বিদআতের কিছূ নাই। বাদবাকী সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন। আসলে এই ত্বরিকা মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং মূল উদ্দেশ্য হল, সংশোধন হওয়া। 

(৩) কৌতুকের সাীমারেখা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4126

(৪) বহু জাতিক রাষ্ট্র বলতে একাধিক অঞ্চলের লোকজন নিয়ে একটি একক রাষ্ট্র গঠন করা। যেমন ইসলামের সোনালি যুগে ছিল। আরব, তুর্ক, ফার্সিয়ান, আফ্রিকান সবাই মিলে একটি রাষ্ট্র ছিল, যার প্রাতিষ্টানিক নাম ছিল, খেলাফত। খেলাফতে রাশেদা, খেলাফতে বনু উমাইয়্যাহ, খেলাফতে বনু আব্বাস।ইত্যাদি। কোনো একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মূলত একাধিক জাতিসত্বা একত্রিত হয়ে থাকে। ইসলাম ও আখেরাতকে সামনে রেখেই খেলাফত মূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন হয়েছিল, যে খেলাফতে একাধিক জাতিসত্বার উপস্থিতি ছিল। 

(৫)
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা-৪৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মুশরিকরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে থাকে, তাই তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামি। আল্লাহর সাথে সামান্যতম উপায়ে কাউকে শরীক করলেই আল্লাহ অত্যান্ত রাগান্বিত হন, যে জন্য আল্লাহ তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি দান করবেন। 

(৬) জ্বী, বনুল আসফার দ্বারা বাইজেন্টাইনরাই উদ্দেশ্য। 

(৭) 
আমর ইবনুস শারীদ (রহঃ) থেকে তার পিতা শারীদ ইবনু সুওয়াইদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
بَابٌ فِي الْجِلْسَةِ الْمَكْرُوهَةِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ: مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ الْيُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَلْيَةِ يَدِي، فَقَالَ: أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ؟ صحيح
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি আমার বাম হাত পিঠে নিয়ে তার পাতার উপর বসেছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তাদের মতো বসছো, যারা অভিশপ্ত।( সূনানে আবু-দাউদ-৪৮৪৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত বসাকেই মূলত শয়তানের বসা বলা হয়ে থাকে। 

(৮) আপনার বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে তত্ব তালাশ চলছে, পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। 

(৯)
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, 
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَذَبَحَتْ لَهُ شَاةً فَأَكَلَ وَأَتَتْهُ بِقِنَاعٍ مِنْ رُطَبٍ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ تَوَضَّأَ لِلظُّهْرِ وَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَتَتْهُ بِعُلاَلَةٍ مِنْ عُلاَلَةِ الشَّاةِ فَأَكَلَ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে) বের হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এক আনসার মহিলার বাড়ীতে গেলেন। সে তার জন্য একটি বকরী যাবাহ করল। তিনি তা খেলেন। অতঃপর সে তার জন্য পাত্রে করে তাজা খেজুর আনলো। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর যুহরের নামাযের ওযু করলেন এবং নামায আদায় করলেন। মহিলাটি বকরীর অবশিষ্ট গোশত হতে কিছু গোশত তাকে দিলেন। তিনি তা খেলেন এবং আসরের নামায আদায় করলেন, কিন্তু ওযু করেননি। —হাসান সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১৮৫)। (সুনানে তিরমিযি-৮০)

(১০)
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)


(১১) তাবে তাবেঈন এর পরবর্তী কিয়ামত পর্যন্ত সবাই এক তবকা বা স্থরের মানুষ। সবাই কে সাধারণত স্থরের মুসলমান হিসেবে গণ্য করা হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...