ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইবনুল আরাবি একজন আল্লাহ ওয়ালা বিশুদ্ধ আকিদা সমৃদ্ধ বুজুর্গ ও ওলী ছিলেন।
(২) চিশতিয়া, ক্বাদেরিয়া ,নাক্শবন্দীয়া এই ত্বরিকা সমূহ সম্পর্কে জানি যে, এগুলোতে শিরক বিদআতের কিছূ নাই। বাদবাকী সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন। আসলে এই ত্বরিকা মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং মূল উদ্দেশ্য হল, সংশোধন হওয়া।
(৪) বহু জাতিক রাষ্ট্র বলতে একাধিক অঞ্চলের লোকজন নিয়ে একটি একক রাষ্ট্র গঠন করা। যেমন ইসলামের সোনালি যুগে ছিল। আরব, তুর্ক, ফার্সিয়ান, আফ্রিকান সবাই মিলে একটি রাষ্ট্র ছিল, যার প্রাতিষ্টানিক নাম ছিল, খেলাফত। খেলাফতে রাশেদা, খেলাফতে বনু উমাইয়্যাহ, খেলাফতে বনু আব্বাস।ইত্যাদি। কোনো একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মূলত একাধিক জাতিসত্বা একত্রিত হয়ে থাকে। ইসলাম ও আখেরাতকে সামনে রেখেই খেলাফত মূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন হয়েছিল, যে খেলাফতে একাধিক জাতিসত্বার উপস্থিতি ছিল।
(৫)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা-৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মুশরিকরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে থাকে, তাই তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামি। আল্লাহর সাথে সামান্যতম উপায়ে কাউকে শরীক করলেই আল্লাহ অত্যান্ত রাগান্বিত হন, যে জন্য আল্লাহ তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি দান করবেন।
(৬) জ্বী, বনুল আসফার দ্বারা বাইজেন্টাইনরাই উদ্দেশ্য।
(৭)
আমর ইবনুস শারীদ (রহঃ) থেকে তার পিতা শারীদ ইবনু সুওয়াইদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
بَابٌ فِي الْجِلْسَةِ الْمَكْرُوهَةِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ: مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ الْيُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَلْيَةِ يَدِي، فَقَالَ: أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ؟ صحيح
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি আমার বাম হাত পিঠে নিয়ে তার পাতার উপর বসেছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তাদের মতো বসছো, যারা অভিশপ্ত।( সূনানে আবু-দাউদ-৪৮৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত বসাকেই মূলত শয়তানের বসা বলা হয়ে থাকে।
(৮) আপনার বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে তত্ব তালাশ চলছে, পাওয়া গেলে দেওয়া হবে।
(৯)
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَذَبَحَتْ لَهُ شَاةً فَأَكَلَ وَأَتَتْهُ بِقِنَاعٍ مِنْ رُطَبٍ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ تَوَضَّأَ لِلظُّهْرِ وَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَتَتْهُ بِعُلاَلَةٍ مِنْ عُلاَلَةِ الشَّاةِ فَأَكَلَ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে) বের হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এক আনসার মহিলার বাড়ীতে গেলেন। সে তার জন্য একটি বকরী যাবাহ করল। তিনি তা খেলেন। অতঃপর সে তার জন্য পাত্রে করে তাজা খেজুর আনলো। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর যুহরের নামাযের ওযু করলেন এবং নামায আদায় করলেন। মহিলাটি বকরীর অবশিষ্ট গোশত হতে কিছু গোশত তাকে দিলেন। তিনি তা খেলেন এবং আসরের নামায আদায় করলেন, কিন্তু ওযু করেননি। —হাসান সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১৮৫)। (সুনানে তিরমিযি-৮০)
(১০)
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
(১১) তাবে তাবেঈন এর পরবর্তী কিয়ামত পর্যন্ত সবাই এক তবকা বা স্থরের মানুষ। সবাই কে সাধারণত স্থরের মুসলমান হিসেবে গণ্য করা হবে।