আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
edited by
১/বাইরের দিক হতে নারী পুরুষ আলাদা হয় দাঁড়ি গোফ দিয়ে,তাহলে মনের দিক দিয়ে কিভাবে হয়,কেমনে আলাদা হয় নারী পুরুষ মনের দিক দিয়ে?
২/সুফি বাদ কি?
৩/বিলাসিতা কি?
৪/কোন জিনিস অকাট্য ভাবে হারাম প্রমাণিত না হলে তাহলে তা কি হালাল?
তবে নবী হাদীস,(হালাল ও হারামের মাঝে সংসয় তৈরী কিছু জিনিস আছে)তা হতে দূরে থাকো।তাহলে কিভাবে ওই অকাট্যভাবে প্রমাণিত না হওয়া হারামটি হালাল,যেখানে সেটার প্রতি সন্দেহ থেকে যাচ্ছে?

৫/নবী দাঁড়ি কাটতেন দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হতে।এটা কিভাবে?কেমন করে?
৬/দাড়ি রাখা কেন ওয়াজিব?
৭/নবীর কি এমন কোন সহীহ হাদীস আছে,যেখানে তিনি ওয়াজিব কথাটি সরাসরি বলেছেন।
৮/ওয়াজিব মানে কি?
৯/দাঁড়ি এক মুষ্টি লম্বা রাখার নির্দেশ তো নবীর হাদীস দিয়ে প্রমাণিত নয়,তবে কেন এর চেয়ে কম রাখলে গুণাহ হবে?
১০/কাবার দিকে পা দেওয়া কিভাবে অসম্মান হয়?

আল্লাহ বলেছেন, যে আল্লাহর নাম যুক্ত বস্তুর প্রতি সম্মান করলে তা তো তাকওয়া হতে হয়।এখন যদি আমি আল্লাহর কুরবানীর জন্য বকরী কিনি,তাহলে তার প্রতি সম্মান হবে :তাকে ভালো করে খাওয়ানো,আচরণ করা।এখন আমি যদি সম্মানের নামে তাকে আমার সাথে খাটে শুয়ে রাখি,তাহলে তা হবে অতিরঞ্জন।একই ভাবে আল্লাহর ঘর তথা কাবার সম্মান করে আমরা তার দিকে তুথু বা কফ এবং পায়খানা প্রসাব করি নাহ্।এটা শরিয়তনুয়ায়ী।এখন আমি যদি কাবার দিকে সম্মানের নামে যদি পা দিয়ে শুয়ে না থাকি তাহলে তা তো অতিরঞ্জন, নয় কি?আর এটা তো এমন বিষয় ও না যা নবী নিষেধ করেছেন,আর সাহাবী হতে ও এই বিষয়ে মতামত পাওয়া যায় নাহ্।তাহলে বুঝা যায় এটা অতি ছোট্ট বিষয়,তাই নয় কি?

1 Answer

0 votes
by (711,000 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)এটা কোনো ফেকহি প্রশ্ন নয়,আমরা ফিকহের উত্তর দিয়ে থাকি।এ বিষয়ে আপনি কোনো ডাক্তার বা মনোবিজ্ঞানীকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
(২)মানুষকে ঈমান আমলের শিক্ষা প্রদাণের নিয়তে সাহচর্য মূলক ছাত্র শিক্ষকের সহাবস্থানকে সুফিবাদ বলা হয়ে থাকে।
(৩)প্রয়োজন ও হাজতের অতিরিক্ত কিছুকে বিলাসিতা বলে।
(৪)অকাট্যভাবে হারাম প্রমাণিত না হলে যদিও তাকে হারাম বলা যায় না,তথাপি এত্থেকে দূরে থাকা হরুরী।
(৫)থুতনির নিজে একমুষ্টির অতিরিক্ত কে লম্বায় কাটা বলা হয়,এবং গালের উপর দাড়ির এক মুষ্টির অতিরিক্ত কাটাকে চৌড়ায় দাড়ি কর্তন বলা হয়।
(৬)দাড়ি রাখা ওয়াজিব,এজন্য যে এটা মুসলমানের পরিচয় বহন কারী।
(৭)হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي سعيد رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ((غسلُ يوم الجمعة واجبٌ على كل محتلمٍ))
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর গোসল ফরয।
(৮)বিভিন্ন মাযহাবে বিভিন্ন রকম ব্যখ্যা রয়েছে,হানাফি ফিকহ মতে ওয়াজিব শব্দের ব্যখ্যা হল, যা প্রমাণিত তবে অকাট্য দলীল দ্বারা নয়।
(৯)দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ রাখাই ওয়াজিব।
عن ابن عمر  : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا  الشوارب  . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।

আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}
(১০)আপনার এ প্রশ্ন বুঝিনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...