আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
506 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
(১) https://ifatwa.info/20858/ থেকে প্রশ্নঃ
চুল দাড়ি পড়ে গেলে তা যদি
i) আমি যদি পলিথিনে করে বাইরে ফেলে দেই সমস্যা আছে?
ii) পানিতে ফেললে কি সমস্যা আছে? যেহেতু শহরে দাফন করার মত জায়গা পাচ্ছি না।
iii) ফুকাহা কোন কোন জায়গায় ফেলা সম্মানজনক ভাবেন?
iv) এইসব দাফন করা কি মুস্তাহাব আমল? না করলে কি রকম গুনাহ হতে পারে, ছগীরাহ না কবীরাহ? আর এইটা কি মাকরুহে তাহরীমী না তানযীহি

(2) https://ifatwa.info/15631/ এ বলেছেন, যদি কেহ রোযা অবস্থায়  চুমু দেয়,বা স্পর্শ করে,এতে বীর্যপাত হলে সেটি সহবাসের বিধানের ন্যায় হবে। (মানে কাযা কাফফারা উভয়ই আসবে)।  এইটা কি হানাফি মাযহাব এও মাসালা?
উস্তাদ দরসে বলেছিলেন মনে হয় যে কাফফারা আসবে না এতে।

(৩) https://ifatwa.info/20811/ এর চ তে বলেছেন, স্বামী গৃহে ইদ্দত পালন করতে হবে
মাযহাব গত মতবিরোধ নেই। কিন্তু, তাফসীরে ইবনে কাসীর এ পেলাম ইচ্ছা করলে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়েও আসা যাবে। তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন মাযহাব কি বলে। কিন্তু আপনি বললেন এরকম কিছু নেই।

(৪)https://ifatwa.info/20006/ লিংক থেকে প্রশ্ন
নায়ক নায়িকেদের ছবি নিয়ে তাদেরকে ব্যঙ্গ করলে কেন গীবত হবে? আমি তো এইভাবে তাদের দাম মানুষদের কাছে কমানোর জন্য করছি যেন মানুষ আর তাদের ফলো না করে
এই নিয়তে করলেও গীবত হবে?

(৫)
উত্তর দেয়া হয়নি--
https://ifatwa.info/20327/
https://ifatwa.info/20316/
https://ifatwa.info/20268/
https://ifatwa.info/20291/
https://ifatwa.info/20376/

(৬) https://ifatwa.info/20079/ লিংক থেকে প্রশ্ন
উস্তাদ, কাউকে মারতে গেলে কি কি বিধি বিধান আছে তা যদি বলতেন। আমি মারা ও গালি দেওয়া দুইটাই জানতে চেয়েছিলাম।
https://www.ifatwa.info/12004
উল্লেখিত লিংকে শুধু গালি দেওয়ার ব্যাপার  আছে। মারার কথা  নাই।  জাযাকাল্লাহ খাইরান

(৭) https://ifatwa.info/20079/ লিংক থেকে প্রশ্ন
উস্তাদ, যদি যাদেরকে গালি বা মারা হয়েছে,  তাদের নামে সদকাহ করে দেওয়া হয়, কারন সবাইকে খুঁজে খুঁজে বের করে মাফ চাওয়াটা সহজ না। আর মনেও নাই কাকে গালি দেওয়া হয়েছে/মারা হয়েছে। কখন কার সাথে কেমন আচরণ করেছি দীর্ঘ জীবনে বছরে তা মনেও নাই।

(৮)https://ifatwa.info/20079/ লিংক থেকে প্রশ্ন
আর তার পরেও সারা জীবনে কখন কার সাথে বাজে কথা বলছি তাও মনে নাই। এদের নামে সদাকাহ করতে থাকলে গুনাহ মাফ হবে না?

(৯) https://ifatwa.info/20006/ লিংক থেকে প্রশ্ন
এক জায়গায় বলেছেন, মদ খাওয়ার কথা বলে দিলে গীবত হবে না কারণ তাতে অন্য মানুষরা ভয় পাবে মদ খেতে। তাহলে আমার 'ঙ' নং প্রশ্নে গোপনে সিগারেট খেলে কেন বলতে পারবো না? এইটা বললেও তো ছড়াতে ছড়াতে অন্য মেয়েরাও ভয় পাবে খেতে।  এইভাবে কি চিন্তা করা যাবে কিনা?

(১০) https://ifatwa.info/19484/ থেকে প্রশ্নঃ
এই প্রশ্নের গ তে ঘাম বিচি নিয়ে যা বলেছেন। বুঝিনাই।ঘাম বিচি থেকে যেই রকম হালকা রক্ত বের হয় এতে উযু ভাঙবে?গড়িয়ে তো পড়ে নাই তাহলে উযু ভাঙবে কেন? আর উযু না ভাঙলে নাজাসাতে গালিজা কিভাবে হবে এইটা?কারন নাজাসাতে গালিজার সংজ্ঞাতেই বলেছেন তা উযু ভেঙে ফেলে (শায়েখ এই নাজাসাত বিষয়টা প্যাঁচালো লাগে। দয়া করে ভালো ভাবে যদি বুঝাতেন)

(১১) https://ifatwa.info/19484/ থেকে প্রশ্নঃ(যাকাত নিয়ে)
ঙ এর উত্তর দেন নাই। আপনাকে দুইজন মুফতি সাহেবের কথা দিয়েছিলাম হোয়াইটস এ্যাপে।

(১২) ঘুমের কারনে কেউ যদি তাশাহহুদ অবস্থায় বসে থাকে আর এদিকে ইমাম তৃতীয় রাকাত এর কেরাত পড়ে রুকুতে যায় আর সে তখন টের পেয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এরপর রুকুতে যায় তার কি নামায হবে? সে তো ইমামের সাথে কেরাত পড়ে নাই।

(১৩) https://ifatwa.info/20423/ এর প্রশ্নঃ
উস্তাদ ঘ এর উত্তর এ ফিতরি সাদৃশ্য মানে কি? উদাহরণ দিলে ভালো হয়। জাযাকাল্লাহ খাইরান

(১৪)
মারকাযুদ দাওয়ার এক মুফতি বললেন,
তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত উঠানো সুন্নত। কেউ হাত না উঠিয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাজ শুরু করলে তার নামাযও হয়ে যাবে। কিন্তু আইওএম এ পড়েছি তাকবীরে তাহরীমাতে দুই ফরযঃ এক, দাঁড়িয়ে বলা দুই, হাত তোলা আর এক সুন্নাত হলো হাত বাঁধা কোনটা ঠিক?
closed

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কর্তৃত চুল দাড়িকে কি করতে হবে? এ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে উত্তম হল, দাফন করে ফেলা। 
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, 
عن جابر رضي الله قال قال رسول الله  ادفنوا دمائكم و اشعاركم و اظفاركم لا تلعب بها السحرة
তোমরা রাসূল সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের রক্ত, চুল, এবং নক কে দাফন করো। যাতে করে এগুলো দ্বারা যাদুকর রা খেলা না করে। ( কানযুল উম্মাল-১৭২৪১) আলবানি রাহ উক্ত হাদীসকে যঈফ বলেছেন। 

وَيَنْبَغِي أَنْ يَدْفِنَهُ وَإِنْ أَلْقَاهُ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَيُكْرَهُ إلْقَاؤُهُ فِي الْكَنِيفِ وَالْمُغْتَسَلِ
[«مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر» (2/ 556)]
কর্তৃত চুল ও নক-কে দাফন করা উচিৎ। যদি কোথাও নিক্ষেপ করা হয়, তাহলেও কোনো সমস্যা নাই।তবে কোনো ডাস্টবিনে বা গোসলখানায় ফেলা মাকরুহ। 

إذَا قَلَّمَ أَظَافِيرَهُ أَوْ حَلَقَ شَعْرَهُ يَنْبَغِي أَنْ يَدْفِنَ ذَلِكَ فَإِنْ رَمَى بِهِ فَلَا بَأْسَ وَإِنْ أَلْقَاهُ فِي الْكَنِيفِ أَوْ الْمُغْتَسَلِ يُكْرَهُ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهُ يُورِثُ دَاءً
[«درر الحكام شرح غرر الأحكام» (1/ 322)]
কর্তৃত চুল ও নক-কে দাফন করা উচিৎ। যদি কোথাও নিক্ষেপ করা হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নাই। যদি ডাস্টবিন বা গোসলখানা ইত্যাদিতে ছুড়ে ফেলা হয়, তাহলে তা মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। কেননা এদ্বারা রুগের সৃষ্টি হবে। 

i)পলিথিনে করে বাইরে ফেলা যাবে। তবে ডাস্টবিন বা ময়লার স্তুপে ফেলা যাবে না। 
ii) পানিতে ফেলা যাবে। 
iii)ডাস্টবিন এবং বাথরুম ইত্যাদি ব্যতিত যে কোনে জায়গায় ফেলা যাবে। তবে মানুষ চলাচলের রাস্তায় না ফেলা উচিৎ। 
iv) দাফন করা উত্তম  আমল। একে মুস্তাহাবও বলা যেতে পারে। দাফন না করলে গোনাহ হবে না। 

(২)
স্ত্রীকে চুমু দেওয়ার পর বীর্যপাত হয়ে গেলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। যদি বীর্যপাত না হয়, তাহলে কাযাও আবশ্যক হবে না। 
(أَوْ وَطِئَ امْرَأَةً مَيِّتَةً) أَوْ صَغِيرَةً لَا تُشْتَهَى نَهْرٌ (أَوْ بَهِيمَةً أَوْ فَخِذًا أَوْ بَطْنًا أَوْ قَبَّلَ) وَلَوْ قُبْلَةً فَاحِشَةً بِأَنْ يُدَغْدِغُ أَوْ يَمُصُّ شَفَتَيْهَا (أَوْ لَمَسَ) وَلَوْ بِحَائِلٍ لَا يَمْنَعُ الْحَرَارَةَ أَوْ اسْتَنْمَا بِكَفِّهِ أَوْ بِمُبَاشَرَةٍ فَاحِشَةٍ وَلَوْ بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ (فَأَنْزَلَ) قَيْدٌ لِلْكُلِّ حَتَّى لَوْ لَمْ يُنْزِلْ لَمْ يُفْطِرْ كَمَا مَرَّ
(قوله: ولو قبلة فاحشة) ففي غير الفاحشة مع الإنزال لا تجب الكفارة بالأولى (قوله: بأن يدغدغ) لعل المراد به عض الشفة ونحوها أو تقبيل الفرج وفي القاموس الدغدغة: حركة وانفعال في نحو الإبط والبضع والأخمص (قوله: أو لمس) أي لمس آدميا لما مر أنه لو مس فرج بهيمة فأنزل لا يفسد صومه وقدمنا أنه بالاتفاق وفي البحر عن المعراج ولو مست زوجها فأنزل لم يفسد صومه وقيل إن تكلف له فسد اهـ قال الرملي: ينبغي ترجيح هذا؛ لأنه أدعى في سببية الإنزال تأمل
[«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (2/ 404)]

و" منه "ابتلاع بزاق زوجته أو" بزاق "صديقه" لأنه يتلذذ به "لا" تلزمه الكفارة ببزاق "غيرهما" لأنه يعافه
[«مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح» (ص249)]

উপরোক্ত লিংকের ফাতাওয়া সংশোধন করা হয়েছে।
(৩)
জুমহুর ফুকাহার মতে স্বামীর বাড়িতেই স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে। তবে হানাফি ফকিহগণ এছাড়াও জাবির ইবনে যয়েদ,হাসান বসরি,আতা রাহ মনে করেন,স্ত্রীর যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ইদ্দত গণনা করতে পারবে।
ذهب جمهور الفقهاء إلى أن مكان العدة من طلاق أو فسخ أو موت هو بيت الزوجية التي كانت تسكنه قبل مفارقة زوجها، وقبل موته، أو عندما بلغها خبر موته، وتستتر فيه عن سائر الورثة ممن ليس بمحرم لها (١) . فإذا كانت في زيارة أهلها، فطلقها أو مات، كان عليها أن تعود إلى منزلها الذي كانت تسكن فيه للاعتداد وإن كانت في غيره، فالسكنى في بيت الزوجية وجبت بطريق التعبد، فلا تسقط ولا تتغير إلا بالأعذار،--الى ان قال--
ويرى الحنابلة أنه يستحب سكنى المعتدة المبتوتة في الموضع الذي طلقها فيه (١) .
وقال جابر بن زيد والحسن البصري وعطاء من التابعين: إن المتوفى عنها زوجها تعتد حيث شاءت، وهذا ما روي عن علي وابن عباس وجابر وعائشة رضي الله عنهم

(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৯/৩৪৭)

(৪)
নায়ক নায়িকেদের ছবি সামনে নিয়ে তাদের গোনাহের আলোচনা করা যাবে। তবে তাদের কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা যাবে। হ্যা, তাদের গোনাহের আলোচনা জনসম্মুখে করা যাবে। 

(৫)
অনেকগুলির উত্তর দেয়া হয়েছে। বাদবাকী যেগুলোর উত্তর দেয়া হয়নি, সেগুলোরও উত্তর দেয়া হবে। 

(৬)
শিক্ষা অর্জনের প্রতি ছাত্রদেরকে মনযোগী করতে বা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও যদি ছাত্রটি মনযোগী হয়না,তখন তাকে সরি বা বেত দ্বারা অবস্থাবেধে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত  করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ
তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-
শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত)
**শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে।
(১)দশের উর্দে হতে পারবে না।
(২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না।

নবীজি সাঃ বলেনঃ-
ﺇﺫﺍ ﺿﺮﺏ ﺃﺣﺪﻛﻢ، ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ ﺍﻟﻮﺟﻪ، ﻭﻻ ﻳﻘﻞ ﻗﺒﺢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺟﻬﻚ " ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﺑﺄﻟﻔﺎﻅ ﺃﺧﺮﻯ
তরজমা- যখন শরয়ী প্রয়োজনে কেউ প্রহার করবে তখন সে যেন চেহারায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে,এবং সে যেন তাকে (রাগবশত)এ কথা না বলে যে,আল্লাহ তোমার চেহারাকে (সমস্ত বরকত থেকে বঞ্চিত করে)অমঙ্গল করুক।
(৩)বিশেষ এমন কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না যেখানে বেশী ব্যথা পাওয়া যায় বা অন্য কোন সমস্যার সম্ভাবনা থাকে,যেমনঃ পেট,লজ্জাস্থান,ইত্যাদি।
(৪)রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করা যাবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/12004

(৭) জ্বী তাদের নামে সদকাহ করা যাবে। তবে সরাসরি তাদের নিকট মাফ চাওয়ার ইচ্ছা ও নিয়ত থাকতে হবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের নামে কিছু সদকাহ করা হবে। এবং আল্লাহর নিকট মাফ চাওয়া হবে। 

(৮)
তাদের নিকট মাফ চাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি তাদেরকে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের নামে কিছু সদকাহ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া হবে। 

(৯)
জ্বী, কোনো মেয়ের যদি এরকম সিগারেট খাওয়ার বদ অভ্যাস থাকে, তাহলে তাকে সংশোধনের নিয়তে বলা যাবে। 

(১০)
 ঘাম বিচি থেকে বের হওয়া হাল্কা রক্তের আভাতে কি কাপড় নাপাক হবে না। তবে এক দিরহাম পরিমাণ হয়ে গেলে কাপড় নাপাক হবে। 
অজু ভেঙ্গে ফেলা এক কথা আর কাপড় বা শরীর নাপাক হওয়া ভিন্ন কথা। যৎসামান্য রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে যদিও অজু ভেঙ্গে যাবে, তবে এক দিরহাম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উক্ত শরীর বা কাপড় নিয়ে নামায জায়েয । অর্থাৎ এক দিরহাম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কাপড় বা শরীর নাপাক হয় না। 

(১১)
 https://ifatwa.info/19484/ নং প্রশ্নের ঙ এর উত্তর দেয়া হয়েছে। 

(১২)
ে ঘুমের কারনে কেউ যদি তাশাহহুদ অবস্থায় বসে থাকে আর এদিকে ইমাম তৃতীয় রাকাত এর কেরাত পড়ে রুকুতে যায় আর সে তখন টের পেয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এরপর রুকুতে যায় তার কি নামায হবে।যদিও সে ইমামের কেরাত না পাক। কেননা তখন লাহেকের মত হয়ে যাবে। লাহেক বিনা কিরাতে নামায পড়ে থাকেন। 

«رَجُلٌ سُبِقَ بِرَكْعَةٍ فِي صَلَاةٍ هِيَ مِنْ ذَوَاتِ الْأَرْبَعِ وَنَامَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي الثَّلَاثِ الْبَاقِيَةِ ثُمَّ انْتَبَهَ يَأْتِي بِمَا عَلَيْهِ فِي حَالِ نَوْمِهِ وَلَا يَقْرَأُ فِيهَا ثُمَّ يَقْعُدُ مُتَابَعَةً لِلْإِمَامِ ثُمَّ يَقُومُ وَيُصَلِّي رَكْعَةً بِقِرَاءَةٍ وَيَقْعُدُ وَيُتِمُّ صَلَاتَهُ.» - «الفتاوى الهندية» (1/ 93)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9209

(১৩)
https://ifatwa.info/20423/ নং ফাতাওয়ার ঘ প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলেছি যে, ফিতরি সাদৃশ্য অর্থ হল, জন্মগত সাদৃশ্য। যেমন কাফিররা দুঃখ পেলে কান্না করে, খুশির সংবাদ পাইলে হাসে, এখন মুসলামনরা দুঃখ পেলে যদি কান্না করে এবং খুশির সংবাদ পাইলে যদি হাসে, তাহলে তা কাফিরদের অনুসরণ হবে না। 


(১৪)
তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন করা সুন্নত। 
[الفصل الثالث في سنن الصلاة وآدابها وكيفيتها]
(سننها) رفع اليدين للتحريمة، ونشر أصابعه
[«الفتاوى العالمكيرية = الفتاوى الهندية» (1/ 72)]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)

একটা উত্তর ভালোভাবে পাইনি।

চুল দাঁড়ি বাথরুম বা ডাস্টবিন এ ফেলা মাকরুহে তানযীহী না তাহরীমী? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...