জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।
নামাজে এইভাবে বাংলায় দোয়া করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
আপনি নামাজ আদায়ের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত যেকোনো সময় এটার কাজা আদায় করতে পারেন।
তবে আপনি সাহেবে তারতিব হলে ফজরের ফরজ নামাজের আগেই কাজা আদায় করবেন।
,
(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত বারা ইবনে আযিব রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, তুমি যখন ঘুমুতে যাও তখন নামাযের মত ওযু করবে তারপর ডান কাতে শোবে এবং বলবে,
اللّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَأَ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، اللّهُمَّ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ.
অর্থ : ইয়া আল্লাহ! আমি আমার সত্তাকে তোমার কাছে সমর্পণ করলাম, আমার সকল বিষয় তোমার উপর ন্যস্ত করলাম আর তোমাকেই আমার পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নিলাম। তোমার প্রতাপের ভয় ও রহমতের আশা নিয়ে। তুমি ছাড়া নেই কোনো আশ্রয়স্থল, কোনো আত্মরক্ষার স্থান। তোমার কিতাবের উপর ঈমান এনেছি, যা তুমি নাযিল করেছ এবং তোমার নবীর উপর ঈমান এনেছি, যাঁকে তুমি প্রেরণ করেছ।
এ দুআ শিক্ষা দিয়ে বলেন, তুমি যদি এ দুআ পড়ে মারা যাও তাহলে তোমার মৃত্যু হবে দ্বীনে ফিতরতের উপর তথা ঈমানের উপর। আর এ দুআ যেন হয় তোমার ঘুমের আগের শেষ কথা। (অর্থাৎ এটা পাঠ করার পর আর কোনো কথা যেন না বলা হয়।) -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩১১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১০
ঘুমানোর সুন্নাত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
সুন্নাতের কাজা জরুরি নয়।
তবে যেহেতু ফজর নামাজের সুন্নাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই সূর্য ঢলে যাওয়ার আগেই তার কাজা আদায় করা উচিত।
(০৬)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ
(০৭)
হ্যাঁ এতে সুন্নাত আদায় হবে।
,
খাবার খাওয়ার সুন্নাতঃ
*খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা।
*দস্তরখানা বিছিয়ে খাওয়া।
*ডান হাত দ্বারা খাবার খাওয়া।
*হাত চেটে খাওয়া।
*আঙ্গুল চেটে খাওয়া।
*লুকমা তুলে খাওয়া। খাবার গ্রহণের সময় দেখা যায় অনেকের থালা-বাসন থেকে দস্তরখানায় খাবারের লুকমা বা এক-দুই টুকরা ভাত, রুটি কিংবা অন্য সব খাবার পড়ে যায়। তাহলে তা তুলে খাওয়া।
*হেলান দিয়ে না খাওয়া।
*দোষ-ত্রুটি না ধরা।
*খাবারে ফুঁক না দেওয়া।
*খাবারের শেষে দোয়া পড়া।
(০৮)
হ্যাঁ এতেও উক্ত আমল এর ফজিলত পাওয়া যাবে।