আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
591 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)

১। বর্তমানে অনেক ধরনের পদ্ধতি বের হয়েসে সহবাস করার যেগুলা আমার সন্দেহ হয় যে অসব জায়েজ নাকি ? যেমন অনেকে বিভিন্ন যন্ত্র ব্যাবহার করে যেগুলা বিদেশে বানানো হয় ? আসলে ইসলাম সরিয়াত অনুযায়ী কি কি কাজ সহবাস এর ক্ষেত্রে করা জায়েজ হবে আর নাজায়েজ হবে ?

২। সামাদ আহমেদ,  জব্বার ইসলাম,  সৈকত ইসলাম আহাদ,  এই নামগুলো  নামগুলো গুলো রাখা কি জায়েজ ?  সেই ক্ষেত্রে কাউকে শুধুমাত্র সামাদ, জব্বার, আহাদ   কি ডাকা যাবে ?

৩। সহবাস করা কি এক প্রকারের ইবাদত ?

৪। কিছু মানুষ এমন এমন ধরনের কথা বলে যে ইসলামকে মসজিদ পর্যন্তই রাখ টাকা-পয়সার ক্ষেত্রে ইসলামকে  নিয়ে এস না বা উপার্জনের ক্ষেত্রে ইসলাম  কে নিয়ে এস না ?এ ধরনের কথা বলা  কি বড় কুফুরি নয় ?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) 
স্ত্রী সহবাসের সাধারণ নিয়ম এটাই নারী পুরুষ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আদর করে অতঃপর বীর্য বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সহবাসে লিপ্ত থাকবে। মলদ্বার ব্যতিত শরীরের যেকেনো অঙ্গ দ্বারা স্বামী ফায়দা নিতে পারবে। পরস্পর একে অন্যর গোপনাঙ্গ না দেখাই মুস্তাহাব। একে অপরের গোপন অঙ্গ মুখে প্রবেশ করানো মাকরুহ। স্ত্রী সহবাসের জন্য কোনো প্রকার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না। 

(২) 
সামাদ আহমেদ,  জব্বার ইসলাম,  সৈকত ইসলাম আহাদ,  এই নামগুলো  নামগুলো গুলো রাখা যাবে না। তবে পূর্বে আবদ শব্দ যোগ করে নাম রাখা যাবে। যেমন আব্দুস সামাদ, ইত্যাদি।  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/463

(৩)
স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও একটি ইবাদত । যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
 হযরত আবু যর রাযি থেকে বর্ণিত, 
عَنْ أَبِي، ذَرٍّ أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالأُجُورِ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أَمْوَالِهِمْ . قَالَ " أَوَلَيْسَ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ مَا تَصَّدَّقُونَ إِنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةً وَكُلِّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْىٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ قَالَ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ " .
কিছু সাহাবা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! ধনীরাই তো বেশী নেকীর অধিকারী হয়ে গেল। তারা নামায পড়ছে যেমন আমরা নামায পড়ছি, তারা রোযা রাখছে যেমন আমরা রাখছি এবং (আমাদের চেয়ে তারা অতিরিক্ত কাজ এই করছে যে,) নিজেদের প্রয়োজন-অতিরিক্ত মাল থেকে তারা সাদকাহ করছে। তিনি বললেন, আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।
সাহাবাগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন করে নিজের যৌনক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার পুণ্য হবে? তিনি বললেন, কী রায় তোমাদের, যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করে, তাহলে কি তার পাপ হবে? (নিশ্চয় হবে।) অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কামক্ষুধা নিবারণ করে, তাহলে তাতে তার পুণ্য হবে। (সহীহ মুসলিম ২৩৭৬)

(৪)
ইসলাম সার্বজনীন। ইসলামকে শুধুমাত্র মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখার বক্তব্য কুফরী ও চরম পর্যায়ের দৃষ্টতা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...