আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
আজ লাইকি তে আমার বোন প্রথমবার ভিডিও করতে যাচ্ছিলো। আমি ধরে ফেলি, সাথে সাথেই আমিও সফটোয়ার টা ডিলিট করে দিয়েছি। ডিলিট করার সময় কারও কোনো রাগ ছিলো না। কিন্তু বোন এমনিতেই একটি কথা বলেছে "সব জায়গায় মাসয়ালা দেখাও"।

এই কথা শুনা পর পর আমার রাগ উঠে যায় তারপর বোনকে বকা জকা করেছি হাতে ধরে কিছুক্ষন ১.৫ মিনিটের মতন। সাথে সাথে আমার বোনের-ও রাগ উঠে যায়। তবে আমি ওর হাত ছেড়ে দেয়ার পর অন্য রুমে গিয়ে আমাকে রাগে বকা-জকা করেছে।

পরে আমিও কিছু আর বলিনাই।

প্রশ্ন হলোঃ আমার বোন প্রথমে ১ ভুল করেছে "সবকিছুতে মাসয়ালা দেখাও কেন

       "          "     ২য়         "     """       "আমি নিজে বকা দেয়ার পর, আমাকে রাগের মাথায় বোন বিভিন্ন কথা বলেছে"

উপোরক্ত বিবরন অনুযায়ী আমার বোনের ঈমান চলে যাবে কি্‌  । বোনের ঈমান নিয়ে আমার ভয় হচ্ছে??????

(বিঃদ্রঃ আমার বোনের বয়স ১৬+। শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ। কোন কথায় কিংবা কোন কথা বললে, ঈমান যাবে বা নষ্ট হবে সে সম্পর্কে বোন বুজে না। পাশাপাশি আপনাদের-ও কাছে কয়েকবার আমার বোন সম্পর্কে এরকম ঈমান সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছি। আশা করি মহান আল্লহ সুবহানাহু তা'য়ালার হুকুম হলে মনে করতে পারছেন আপনারা)

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন। 
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم 
অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪}

হাদীসে রাসূল সাঃ যে ব্যক্তি কাফের না তাকে কাফের বললে, সেই কুফরী নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করে মর্মে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন-

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 
হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বোনের ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ইসলামের খেলাপ চলার জন্য তার গোনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (33 points)
সবকিছুতে মাসয়ালা দেখাও কেন 

এই কথা বলার কারনে কি  ঈমানের কোনো সমস্যা হবে?
by (33 points)
উপরের কমেন্টের উত্তর 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...