আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by

শায়েখ,   আমার বউ এর নাম মারিয়া, ও অনেক বছর আগে ২০১৭-১৯ সালের দিকে ফেসবুকে তার আইডির নাম একটা ইংরেজি নামে রেখে দেয় ""মারিয়া মার্গারেট"। পরে অবশ্য বদল করে বিয়ের অনেক আগেই।

আজকে তাকে এই বিষয়ে জিগ্যাস করলাম যে সে কেনো আইডির নাম এই রকম দেওয়ার কারণ কি?মানুষ খ্রিষ টান ভাবুক এই নিয়ত ছিলো কি না? সে বললো """ এই রকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না, এমনিই দিয়েছিলো,, এটা বলে বললো "তবে ভাবতাম মানুষে হয়তো খ্রিস্টান ভাব্বো, ভাব্লে ভাবুক""এমন মাইন্ড নিয়া দিছিলো।  তবে কেও জিগ্যেস করলে সব সময় বলতো মুসলিম। এমনটাই বললো।

সে নামাজ পরে বা প্রতিদিনই কলিমা শাহাদাৎ পাঠ করে, তাকে জিগ্যাস করলাম এই অভয়াস বিয়ের আগে থেকে ছিলো কি না। বললো বিয়ের আগে থেকেই মনে হয় পড়ছে,  শিওর করে বলতে পারছে না। তবে সে কালিমার অর্থ জানতো না। আমাদের বিবাহিত জীবন দেড় বছর চলে।

১. সে কি তখন কাফের হয়ে গেছিলো?  হলে আমাদের বিবাহের কি রায়্?

২. তাকে কি পুরাতন ম্যাসেজ গুলো চ্যাক করে কাওকে মজা করেও খ্রিষ্টান দাবী করেছিলো কি না তা খোজ করা দরকার?

৩. কেও যদি এই তথ্য জানে না যে মজা করে জেনে শুনে নিজেকে কদফের দাবী করলেও কাফের হয়ে যায়। তবেও কি কাফের হবে?

৪.অনেক আগে আমার মা কে বাবা বলেছিলেন, "ফালতু নামাজ থেকে তোমার ঘরের কাজ জরুরী" ( নফল নামাজের লম্বা কিরাত পড়া নিয়ে বাবা বলেছিলেন")। এর পরে উনাকে আবার জিগ্যেস করেছিলাম নামাজকে ফালতু বলছেন কি না।  উনি বলেছিলেন নামাজকে ফালতু বলেন নি । যতোটুক মনে পরছে ওই সময় সুরতহাল সহ একজন মুফতিকে জানিয়েছিলাম উনি বলেছিলেন যে, সংসারে কোনো সমস্যা হবে না। এখন আবছা মনে পরছে বিস্তারিত মনে পরছে না। এখন কি করণীয়,  উনাদের সমস্যা হয় নি তো? আসলে সন্দেহ থেকে আমার জিগ্যেসা আমার শুধু পুরাতন এইসব ঘটনা আবছা মনে পরে বিস্তারিত পরেও না ভালো করে।আর শুধু সন্দেহ হয়। প্রথম অংশ একটা জায়গায় লেখা পাওয়ায় আবার মনে হলো না হয় এগুলো মনেও ছিলো না

(উল্লেখ্য, ফালতু, ফালতো /বিশেষণ পদ/ অনাবশ্যক; অপ্রয়োজনীয়; অতিরিক্ত, বাজে।ফালতু শব্দের একটা অর্থ বাড়তিও হয়)

1 Answer

0 votes
by (684,240 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এভাবে ফেসবুকের আইডির নাম দেয়ায় সে কাফের হয়ে যায়নি।
পরবর্তী সে যে কথা বলেছে,এতেও তার ঈমান চলে যায়নি।

(০২)
না,তা খোজ করার দরকার নেই।

(০৩)
না,সে কাফের নয়।

(০৪)
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

আরো জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার বাবার ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...