আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,আফওয়ান,
 আমার প্রশ্নটা হয়ত অনেকটা বড় তবে উত্তর জানাটা খুবই জরুরি  প্রয়োজন।
১/আসলে আমার হেদায়েত পাওয়ার প্রথমদিকে তাছাড়া অনেক দিন যাবৎই এবং পুরো রমাদান জুড়ে আল্লাহ, রসূল (সা), কোরআন, অন্যান্য নবী রাসূল,সাধারণ মানুষদের নিয়ে নামাজে এবং নামাজের বাহিরে (খুবই খারাপ আর জঘণ্য) অনেক আজে বাজে উল্টা পাল্টা চিন্তা আসত এবং এখনো আসে। দূর করা চেষ্টা করলেও রমাজানের শেষে ইদের আগের রাতে রোজার সময় গুলোর জন্য খুব হতাশ লাগছিল, মনে হচ্ছিল এখন কেমন যেন আল্লাহর সাথে দুরত্ব হয়ে গেল...তারপর ফজর মিস হওয়ায় আরো হতাশ হয়ে পড়ি। তো
রমাদানের পর জানা অজানায় হয়ে যাওয়া নিজের গুনাহ চিন্তা করে (শিরক,কুফর,বিদআত এগুলো নিয়ে)খুব হতাশ হয়ে পড়ি,  ইদের পর থেকে এখন পর্যন্ত খুব সংশয়,সন্দেহ আর চিন্তায় আছি এগুলো ভেবে, আমি জানি ইসলাম সত্য তবুও সন্দেহ সংশয় কাজ করে, খারাপ চিন্তা আসে । মাঝেমধ্যে মনে হয় আমি নিজে ইচ্ছে এগুলো নিয়ে ভাবছি।

★হেদায়েত পাওয়ার পূর্ব দিকে খুব বেশি না হলেও দু একবার নাস্তিকতা & শিরক টাইপের চিন্তা ভাবনা কাজ করেছিল এখন যেন এটা খুব বৃহৎ আকারে বেড়ে গেছে।
আমি জানি ইসলাম সত্য কিন্তু অন্তরে এটা যেন মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি কি করতে পারি? আমি অন্য ধর্ম গ্রন্থগুলো সম্পর্কে হালকা পাতলা গেটেও দেখেছি সেগুলো যে ভুল। তবে ইসলাম সত্য ধর্ম, আল্লাহ, নবী রাসূল, আল কোরআন, ফেরেশতা, আখিরাত
সত্য জেনেও কেন যেন এগুলো আমার অন্তরে এখন আর আগের মত প্রভাব পড়ছে না। এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?
আমি জানি ইসলাম সত্য,তাও কেমন একটা উদাসীনতা নিজের মধ্যে কাজ করছে। আল্লাহ যে সত্য তার প্রমাণ শয়তান,জ্বীন অন্যান্য অনেক কিছু বহন করে,আমি এতকিছু জেনেও বুঝতে পারছি না কেন এমন হচ্ছে,
আমি তওবা করার পরও এমন হচ্ছে এতে কি বারবার আমার ইমান চলে যাচ্ছে?
কিভাবে তওবা করতে পারি এবং এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি? সবমিলিয়ে আমার অবস্থা  খুবই এলোমেলো হয়ে গেছে।
২/আমি তুলনা মূলক ধর্ম তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চাই এবং আল কোরআন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চাই এক্ষেত্রে আমি কিভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারি?
৩/ আমি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাই তার মধ্যে যেমন সীরাহ, জান্নাত জাহান্নাম,হজ্জ,সালাত,জাকাত টপিক রয়েছে এছাড়া আর কি কি বিষয় ইসলামের সাথে খুবই সংযুক্ত, একটু যদি জানাতেন।

★সব কিছু মিলিয়ে খুব হীনমন্যতা আর হতাশা কাজ করছে। প্রায়ই মনে হয় এত পাপ আল্লাহ কি মাফ করবেন, করলে বুঝবই বা কিভাবে,আল্লাহ কি আর আমাকে ভালোবাসেন,আমি শিরক করে ফেলছি,কাফির,মুশরিক হয়ে যাচ্ছি মনে হয়।
আমার অন্তরে আল্লাহ যদি মোহর মেরে দেয়।

৪/ আমার বয়স ২০+
আমি ১৮ বছর পর্যন্ত ধর্মটাকে খুব একটা পাত্তা দিই নাই, গুরুত্বের সাথে নিই নাই । এরপর একদিন আমি নামাজ+ কোরআন পড়ে অনেক ভালো লাগে পড়ে ভাবলাম আমি এখন থেকে নামাজ পড়ব নিয়মিত।
এরপরই আমার অন্তরে আল্লাহ কে, কই দেখিনা ত, আল্লাহ থাকলে কে সৃষ্টি করল আল্লাহ কে এমন চিন্তা ভাবনা আসে। পরে এই উত্তর অনেক খুঁজে মনকে স্থির করি,এখন বুঝি সেটা শয়তানের কাজ ছিল।
এরপর আমি ইসলাম ধর্ম মেনে চলার+ নিজের পাপগুলা ত্যাগের চেষ্টা করি,তারপর গুনাহ,ভালোর মধ্যে দিয়ে যায়,। মাঝখানে ২৩ সালে ভালোই চলছিল কিন্তু এখন
আমার সব কাজই শিরক শিরক লাগে। মনে হয় কখন যে শিরক হয়ে যায়। আমি নামাজে সেজদা দিতে গেলে সামনে কিছু থাকলে মনে হয় আমি এটাকে সেজদা দিচ্ছি না কিন্তু মনে চিন্তা আসে এটাকে সেজদা দিয়ে ফেলছি কিনা। আমার সব কাজ রিয়া রিয়া লাগছে।

আমি কিভাবে আবার আগের মত ইসলাম মেনে চলতে পারব বলতে পারেন¿ দৃঢ় মজবুত ঈমানের অধিকারী হতে পারব? আমার অন্তরে খুব সংশয় সন্দেহ কাজ করে। রাতে ভালো তো সকালে আবার খারাপ চিন্তা আসে। ঈমান বিধ্বংসী চিন্তা চেতনা।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার জীবনের এই সবগুলোর সমস্যার মূল কারণ হল, দ্বীনি ইলমের স্বল্পতা এবং দ্বীনি পরিবেশ দেখার দৈন্যতা।  আপনি দ্বীনি পরিবেশকে কখনো কাছ থেকে অবলোকন করেননি, দ্বীনদার কারো সাথে আপনার তেমন সখ্যতা কখনো গড়ে উঠেনি। যেইজন্য মনের মধ্য এসব আজব আজব চিন্তাভাবনা চলে আসছে, এবং ভবিষ্যতে আরোও আসতে থাকবে। এত্থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হল, হয়তো তাবলীগে তিন চিল্লা সময় লাগাবেন।অথবা দ্বীনদার কোনো ব্যক্তি/আলিমের সাথে দীর্ঘদিন চলাফেরা করবেন।কোনো শায়খের কাছে সরাসরি উপস্থিত হয়ে উনার সেবা করার চেষ্টা করবেন। উনাকে দেখে দেখে ইসলামের জ্ঞান শিখার চেষ্টা করবেন।
আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...