আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)

এক বোনকে পর্দার তিনটি স্তর সম্পর্কে জানানোর পর তিনি এই কথা গুলো বলেন,

" যত যা সমস্যা মহিলাদেরকে নিয়ে। তাহলে মহিলাদের বানানোর দরকার কি ছিল?.........  অহ, মহিলাদের না বানালে পুরুষরা খেত কি? মহিলাদের তো সেই জন্যই বানানো হয়েছে।..... মহিলাদের পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য বানানো হয়েছে। "

এমন না যে বোনটি পর্দার বিধান জানেন না। 

১) সব জেনেও এমন বক্তব্যের জন্য তার কি ঈমান সুরক্ষিত থাকবে? 

২) তিনি কি কুফর করেছেন?

৩) কুফর হলে তিনি কি ইসলাম থেকে খারেজ হয়ে গেছেন?

৪) তাকে আবার কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হবে কিনা? 

৫) যদি কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হয় তাহলে কি তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(১.২.৩)
পর্দা আল্লাহ তায়ালার ফরজ বিধান,যাহা অকাট্য ভাবে প্রমানীত,  এটি মুমিন পুরুষ নারী সকলের জন্যই।
 কেহ যদি আল্লাহ তায়ালার এই ফরজ বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করে,হাসি তামাসা করে,অস্বীকার করে,বিরুপ মন্তব্য করে,ঘৃণা করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
   
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ


অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

পর্দা শুধু মহিলাদের নয়,পুরুষদেরও পর্দার বিধান রয়েছে।

জানুনঃ 

তবে কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে যেহেতু ইসলামের বিধান খুবই কঠোর, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলাকে কাফের বলা যাবেনা।

কাহারো উপর কাফেরের হুকুম লাগানো সংক্রান্ত বিস্তারিত  জানুন 
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যদি পর্দার বিধানের প্রতি ঘৃণা ভরে কথা বলে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে,এক্ষেত্রে তার মনের অবস্থা জানতে হবে।

এমনও হতে পারে যে তাকে পর্দার কথা গুলো এমনভাবে কঠোর আকারে বুঝানো হয়েছে,বুঝানোর কারনেই সে এমন কথা বলেছে,বা তার বুঝানোর ভঙ্গিমার কারনেই সে এমন মন্তব্য করেছে, আসলে সে আল্লাহর বিধান পর্দাকে অস্বীকার বা ঘৃণা করেনা।
যদি এমন হয়,তাহলে তারপরেও তাকে উক্ত কথা বলার কারনে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।   

 (০৪)
সে যদি আসলেই মুরতাদ হয়ে যায়,তাহলে মুরতাদের পুনরায় ঈমান আনা সংক্রান্ত জানুনঃ

(০৫)
পূর্বের গুনাহ মাফ হবেনা।
পূর্বের কাজা নামাজ থেকে থাকলে সেগুলোও আদায় করে নিতে হবে।

قال في الدر ویقضي ما ترک من عبادة في الإسلام لأن ترک الصلاة والصیام معیصة والمعصیة تبقی بعد الردة․(ج:۳، ص:۳۳۱)
যার সারমর্ম হলো মুসলিম থাকাকালীন  গুনাহ মুরতাদ হওয়ার পরেও বাকি থাকে।    




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...