আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in সালাত(Prayer) by (33 points)
closed by
১৷ নামাজে সিজদাহ করার সঠিক নিয়ম জানতে চাচ্ছি৷
২৷ জনৈক ব্যক্তি আমাকে বললেন যে সিজদাহর সময় কপালে বেশি ভর দেওয়ার কোনো হাদিস নাই৷ আমরা যে আল্লাহর সামনে মাথা নত করেছি এতেই আল্লাহ খুশি হবেন৷ এই কথার সত্যতা কতটুকু?

৩৷ আমার সিজদাহর তাসবীহ ৩ বার পড়তে তুলনামূলক সময় একটু সময় বেশি লাগে৷ তাই একটু বেশিক্ষণ থাকায় কপালে অনেকটা স্পষ্ট দাগ দেখা যাচ্ছে৷ আবার ভাবলাম আমার পরিচিত শায়েখদের তো এমন দাগ নেই কপালে, তো আমার কি ভুল হচ্ছে কিনা জানতে চাচ্ছি৷
closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
*তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া।
*প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা।
*তারপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা। 
*তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা।
*তারপর কপাল রাখা। 
*অতঃপর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা এবং দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা। 
*সিজদায় পেট উরু থেকে পৃথক রাখা। 
*পাঁজড়দ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখা। 
*কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখা।
*সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা ) পড়া।
*তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদা হতে উঠা। 
*প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু উঠানো।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنِي فُلَيْحٌ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَذَكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَأَنَّهُ قَابِضٌ عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَتَجَافَى عَنْ جَنْبَيْهِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَمْكَنَ أَنْفَهُ وَجَبْهَتَهُ وَنَحَّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى رَجَعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ حَتَّى فَرَغَ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَأَقْبَلَ بِصَدْرِ الْيُمْنَى عَلَى قِبْلَتِهِ وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَكَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ

আহমদ ইবনু হাম্বল .............. আব্বাস হাম্বল সাহল বলেন, আবূ হুমায়েদ, আবূ উসায়েদ, সাহল ইবনু সা’দ এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) কোন এক মজলিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় আবূ হুমায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে অধিক অবহিত অতঃপর কিছু অংশ এখানে বর্ণনা করা হল। রাবী বলেন, অতঃপর নাবীরুকূ করার সময় স্বীয় হস্ত দ্বারা হাঁটু শক্তভাবে আটকিয়ে ধরতেন। অতঃপর তিনি স্বীয় হস্তদ্বয় তাঁর পার্শদেশ থেকে বিছিন্ন করে রাখতেন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটির সাথে মিলিয়ে রাখেন এবং হস্তদ্বয় পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে মাথা উঠাতেন যে, শরীরের সমস্ত সংযোগ স্থান স্ব-স্ব স্থানে স্হাপিত হত। অতঃপর বসে তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পায়ের সম্মুখ ভাগ কিবলামূখী করে রাখতেন এবং ডান হাতের তালু ডান পায়ের উরুর উপর রাখতেন এবং বাম হাত বাম পায়ের উপর এবং তাশাহুদ পাঠের সময় শাহাদাত আংগুল দ্বারা ইশারা করতেন। 
(আবু দাউদ ৭৩৪)

★সুতরাং সেজদার ভিতর কপাল যমিনের সাথে মিলিয়ে রাখতে হবে।
বেশি ভর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্বাভাবিক ভাবে যমিনের উপর রাখবেন। 

তবে জোড়ে ভর দেওয়া নাজায়েজ নয়।
,
(০৩)
নামাজ ছহীহ,তবে জোরে ভর না দিলে এমন দাগ হবেনা,ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...