জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
*তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া।
*প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা।
*তারপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা।
*তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা।
*তারপর কপাল রাখা।
*অতঃপর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা এবং দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা।
*সিজদায় পেট উরু থেকে পৃথক রাখা।
*পাঁজড়দ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখা।
*কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখা।
*সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা ) পড়া।
*তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদা হতে উঠা।
*প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু উঠানো।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنِي فُلَيْحٌ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَذَكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَأَنَّهُ قَابِضٌ عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَتَجَافَى عَنْ جَنْبَيْهِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَمْكَنَ أَنْفَهُ وَجَبْهَتَهُ وَنَحَّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى رَجَعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ حَتَّى فَرَغَ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَأَقْبَلَ بِصَدْرِ الْيُمْنَى عَلَى قِبْلَتِهِ وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَكَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ
আহমদ ইবনু হাম্বল .............. আব্বাস হাম্বল সাহল বলেন, আবূ হুমায়েদ, আবূ উসায়েদ, সাহল ইবনু সা’দ এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) কোন এক মজলিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় আবূ হুমায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে অধিক অবহিত অতঃপর কিছু অংশ এখানে বর্ণনা করা হল। রাবী বলেন, অতঃপর নাবীরুকূ করার সময় স্বীয় হস্ত দ্বারা হাঁটু শক্তভাবে আটকিয়ে ধরতেন। অতঃপর তিনি স্বীয় হস্তদ্বয় তাঁর পার্শদেশ থেকে বিছিন্ন করে রাখতেন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটির সাথে মিলিয়ে রাখেন এবং হস্তদ্বয় পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে মাথা উঠাতেন যে, শরীরের সমস্ত সংযোগ স্থান স্ব-স্ব স্থানে স্হাপিত হত। অতঃপর বসে তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পায়ের সম্মুখ ভাগ কিবলামূখী করে রাখতেন এবং ডান হাতের তালু ডান পায়ের উরুর উপর রাখতেন এবং বাম হাত বাম পায়ের উপর এবং তাশাহুদ পাঠের সময় শাহাদাত আংগুল দ্বারা ইশারা করতেন।
(আবু দাউদ ৭৩৪)
★সুতরাং সেজদার ভিতর কপাল যমিনের সাথে মিলিয়ে রাখতে হবে।
বেশি ভর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্বাভাবিক ভাবে যমিনের উপর রাখবেন।
তবে জোড়ে ভর দেওয়া নাজায়েজ নয়।
,
(০৩)
নামাজ ছহীহ,তবে জোরে ভর না দিলে এমন দাগ হবেনা,ইনশাআল্লাহ।