আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
https://ifatwa.info/20317/
এখানে বলেছেন যে ভাউচার টি কিনে তার ক্ষতিগ্রস্তের সম্ভাবনা রয়েছে৷ কিন্তু এই ভাউচার দিয়ে যদি কেনা কাটা করে ফেলি তাহলে তো ক্ষতি হলো না। আর কেনা কাটা করাই স্বাভাবিক কেনো আমি মেয়াদ উত্তির্ন করবো।
অনলাইনে আমি দ্রব্য পন্য কিনলেও তো সেটার মেয়াদ থাকে মেয়াদ শেষ হলে তো সেখানেও ক্ষতি হয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলে সেই পন্য কেনাও কি জুয়া??

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার উচিৎ ছিলো আমাদের আগের প্রশ্নের কমেন্টে বিষয়টাকে উল্লেখ করা। নতুন করে প্রশ্ন না করে কমেন্টে উল্লেখ করা। 
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে। 
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত ক্রয় বিক্রয়ের নতুন এ পদ্ধতি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত । কেননা ঐ কার্ডকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ব্যবহার করতে হয়, ঐ সময় পার হয়ে গেলে এই কার্ডকে আর ব্যবহার করা যায়না। ফলে যিনি টাকা দ্বারা ভাউচার ক্রয় করবেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন,  সুতরাং এরকম কার্ড ক্রয় বিক্রয় করা কখনো জায়েয হবে না। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ভাউচার ক্রয় করার পর তা মেয়াদোত্তীর্ণ হবে কেন? এটাকে কি আপনি টাকা দ্বারা ক্রয় করেন নি। এবং এই ভাউচার দ্বারা নির্দিষ্ট কিছু পণ্য ক্রয় করা যাবে অন্য কোনো পণ্য ক্রয় করা যাবে না কেন? কারণ কি? সাথে সাথে ক্রয় করা যাবে না বরং এক সাপ্তাহ বা মাস পর ক্রয় করা যাবে তারই বা কারণ কি? এগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটা মাধ্যম।

তাছাড়া আপনি বলেছেন যে, 
”অনলাইনে আমি দ্রব্য পন্য কিনলেও তো সেটার মেয়াদ থাকে“ এ কথার উদ্দেশ্য কি হতে পারে? দয়া করে নতুন প্রশ্ন না করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। বা কল দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
শায়েখ এই বিষয় গুলো আগে জানা ছিলো না গিফট ভাউচার দিয়ে কেনা কাটা করেছি।
এবং অন্য কারো প্রয়োজন হলে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করিয়ে দিয়ে কিছু লাভ হয়েছে। যেমনঃ ৬০% এ ডিস্কাউন্ট এ কিনে তাদের পছন্দের  কেনাকাটা করিয়ে দিয়ে ১৫/১২% লাভ করতাম মানে তদের ৪৫% ডিস্কাউন্ট করিয়ে দিতাম। সেখান থেকে কিছু লাভ হতো। এখন কি করনিও বিষয় টি জানার পর এখন ভাউচার কেনা ছেড়ে দিয়েছি।
#আগে যে কেনা কাটা করেছি তার কি হবে?
#বা যে লাভ করেছি তার কি হবে?
ওই টাকা কিছু খরচ হয়ে গিয়েছে।কিছু দিয়ে পাখি পালন করছি।।।দয়া করে জানাবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...