আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
743 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by

ক) হাদিসে আছে, এক সাহাবি রাঃ নবিজির কাছে এসে বললেন, 'আমি আমার দোয়ার কতটুকু আপনার উপর দরুদ পড়বো?' 

নবিজি বললেন, ১/৪ অংশ দরুদ পড়। 

সাহাবি বললেন, যদি ১/২ অংশ দরুদ পড়ি?

নবিজি বললেন, তা তোমার জন্য উত্তম। 

সাহাবি বললেন,  যদি পুরো সময়ই দরুদ পড়ি? 

নবিজি বললেন, তাহলে আল্লাহ তোমার সব ইচ্ছাই পূর্ণ করবেন।

(হাদিসটা অনেকটাই এরকম)

আমাদের আইওএম এর উস্তাদ কবীর আনোয়ার এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ' যদি পুরো সময় দরুদ পড়ি, মনের ইচ্ছা মনেই থেকে যাবে, আর আল্লাহ তা কবুল করবেন'। 

i) আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে আমরা কষ্ট করে/সময় নিয়ে মুখে মোনাজাত কেন করি? সবসময় দরুদ পড়লেই তো হয়।

 ii) আমরা তো মোনাজাত এ ১/৪ অংশও দরুদ পড়িনা। এমনকি হুজুররাও না। এতে কি বেয়াদবী হচ্ছে নবিজি সাঃ এর সাথে? 

খ) i)নামাযে  অনেক মশার মাঝে দাঁড়িয়ে বা অনেক চুলকানি রোগ নিয়ে বা হুট করে অনেক চুলকানি উঠলে(মশা কামড়ানোতে হয় বেশি), তিন তাসবিহ এর বেশি সময় নিয়ে মশা তাড়ালে, চুলকালে নামায কি ভাঙবে? আমি তো এইখানে মাযুর হওয়ার কথা। কারন আমাদের দেশে অনেক মসজিদেই অনেক মশা। এতো মশার মাঝে না চুলকালে তো নামাযে মনোযোগই থাকে না বলতে গেলে। আবার তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় লেগেই যায় মশা তাড়াতে ও চুলকাতে। 

ii) আমি যদি শেষ বৈঠকে অনেকক্ষণ বসি বা অন্য রুকনেও একটু পর পর (তিন তাসবিহ এর বেশি গ্যাপ নিয়ে) চুলকাই তাহলে কি তিন বার হলে ভাঙবে? নাকি একবারে টানা তিন তাসবিহ চুলকালে নামায ভাঙবে শুধু? এক মুফতি বলেছেন, গ্যাপ দিয়ে চুলকালে নামায ভাঙবে না। 

গ) ঘুমের জন্য ইমাম থেকে তিন তাসবিহ এর বেশি পরিমাণ দেরীতে কোন রুকনে আদায় করলে কি নামায ভাঙবে? এক্ষেত্রে ঘুমের জন্য জামাতের নামাযের কোন জায়গায় সমস্যা হবে কিনা জানাবেন। 

ঘ)https://ifatwa.info/18920/?show=18920#q18920 তে বলেছেন, শরীরের চামড়া থেকে খুলে পড়ে যাওয়া দাড়ি বা চুল ফেলে না দিয়ে মাটিতে দাফন করতে। 

এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। কারণ এইভাবে মেনে চলা আমাদের অনেকের জন্যই কষ্টকর।

i) বাথরুমে /বেসিনে দাড়ি বা চুল পড়ে গেলে সেটা তৎক্ষনাৎ তুলে নেওয়া অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে বেসিনে তো এইটা অনেক দ্রুতই ভিতরে চলে যায়। বাথরুমেও চলে যায় ভিতরে একটু পরেই। এর খেয়াল রাখা কিভাবে সম্ভব? আর পানির মধ্যে থেকে এইসব ছোট জিনিস তোলাই তো অনেক কষ্টকর।

ii) বাথরুমে নাপাক পানিতে পড়ে গেলে আবার সেখানে হাত দিয়ে কেন তুলবো?  এতে তো আমার হাতই নাপাক হয়ে গেলো। 

iii) অনেকেরই চুল পড়া রোগ আছে। গোসল/উযু  করলে অনেকের বেশি চুল/দাড়ি পড়ে যায় অনেক। এক্ষেত্রে বার বার কিভাবে এইসব তুলে নিয়ে দাফন করবে? 

iv) রাস্তা ঘাটে চলার সময়েও এইসব পড়ে যেতে পারে। সে সময় কিভাবে তুলে নেওয়া সম্ভব?  এইসব ছোট জিনিস তোলাই তো অনেক কষ্টকর।

v) এমনিতেও পানিতে/বাথরুমে পড়লে সেটা তুলে নিয়ে দাফন করা অনেক ঝামেলার ও সময়সাপেক্ষ। কেন এইরকম মাসয়ালা দেওয়া হলো? কোন হাদিস বা আয়াত এর ভিত্তিতে? 

vi) আমি যদি পলিথিনে করে বাইরে ফেলে দেই সমস্যা আছে?

vi) বার বার এভাবে দাফন করার জায়গা বা সময় বা উপকরণ পাওয়াও ঝামেলা। এতে করণীয় কি 

ঙ) https://ifatwa.info/9955/ এ বলেছেন, অমুসলিমদের সাথে একরুমে থাকা যাবে না। এইটা নিয়ে কি ইখতিলাফ আছে? কারন মুফতি আরিফ উস্তাদ এইভাবে দরসে কিছু বলেন নাই। তিনি শুধু  বলেছেন অমুসলিম মেয়েদের সামনে মিনিমাম পর্দা করতে চলতে যা অন্য মেয়েদের সাথেও করা হয়। যদি এক রুমে থাকা যেত না তাহলে তো তিনি এই মাসালা বলতেন না এইভাবে। নাকি এইটা উত্তম ওদের সাথে না থাকে কিন্তু ব্যাপারটা হারাম না, এইরকম কিছু? 

closed

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1104 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত উবাই ইবনে কা'ব রাযি, থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﺃُﺑَﻲِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﺫَﻫَﺐَ ﺛُﻠُﺜَﺎ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻗَﺎﻡَ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺟَﺎﺀَﺕْ ﺍﻟﺮَّﺍﺟِﻔَﺔُ ﺗَﺘْﺒَﻌُﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺍﺩِﻓَﺔُ ﺟَﺎﺀَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﺑِﻤَﺎ ﻓِﻴﻪِ ﺟَﺎﺀَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﺑِﻤَﺎ ﻓِﻴﻪِ ) ﻗَﺎﻝَ ﺃُﺑَﻲٌّ : ﻗُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﻛْﺜِﺮُ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ، ﻓَﻜَﻢْ ﺃَﺟْﻌَﻞُ ﻟَﻚَ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲ ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ !!ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﺖُ : ﺍﻟﺮُّﺑُﻊَ ؟ ! ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ ، ﻓَﺈِﻥْ ﺯِﺩْﺕَ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻚَ !!ﻗُﻠْﺖُ : ﺍﻟﻨِّﺼْﻒَ ؟ ! ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ ، ﻓَﺈِﻥْ ﺯِﺩْﺕَ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻚَ !!ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﺖُ ﻓَﺎﻟﺜُّﻠُﺜَﻴْﻦِ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ ، ﻓَﺈِﻥْ ﺯِﺩْﺕَ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻚَ !!ﻗُﻠْﺖُ : ﺃَﺟْﻌَﻞُ ﻟَﻚَ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲ ﻛُﻠَّﻬَﺎ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﺫًﺍ ﺗُﻜْﻔَﻰ ﻫَﻤَّﻚَ ، ﻭَﻳُﻐْﻔَﺮُ ﻟَﻚَ ﺫَﻧْﺒُﻚَ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2457 ) ﻭﺣﺴﻨﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ .
রাত্রির শেষভাগে রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘুম থেকে উঠে লোকদের উদ্দেশ্য করে বলতে,হে লোকসকল!আল্লাহকে স্বরণ করো!অাল্লাহকে স্বরণ করো!কিয়ামত(মিক্বাঈল আঃ কর্তৃক প্রথম ফু) স্বন্নিকটে, কিয়ামত(দ্বিতীয় ফু) স্বন্নিকটে। মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত।মৃত্যু তার সঙ্গ-সাথী নিয়ে উপস্থিত। উবাই ইবনে কা'ব রাযি বলেন,হে রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমি আপনার উপর বেশী করে দুরুদ পড়তে চাই! আমি আমার দু'আয় কতটুকু আপনার উপর দুরুদ কে স্থান দেবো?(অর্থাৎ অন্যান্য দু'আর তুলনায় আপনার উপর কতটুকু বেশী দুরুদ পেশ করব?)তখন রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি যা চাও। আমি বললাম,এক চতুর্থাংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।আমি আবার বললাম যে, তাহলে অর্ধেক?তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।তিনি বলেন,অতঃপর আমি বললাম,দুই তৃতীয়াংশ? তিনি উত্তরে বললেন,তুমি যা চাও।তুমি যত বেশী পড়বে সেটা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে।শেষপর্যন্ত আমি বললাম,আমার দু'আর সমস্ত অংশজুড়ে আপনার দুরুদ-কে স্থান দেবো?তিনি উত্তরে বললেন,তাহলে তো তোমার উদ্দেশ্য(দুনিয়া ও আখেরাতে) পূর্ণ হবে এবং তোমার গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সুনানে তিরমিযি-২৪৫৭,মিশকাতুল মাসাবিহ-৯২৯)

জ্বী, সম্মাণিত উস্তাদ যা বলেছেন, তা অত্যান্ত সুন্দর ব্যখ্যা।( আল্লাহ উনার হায়াতকে দরাজ করুক) 
i) যেহেতু আল্লাহ তা’আলার নবীর উপর দুরুদ এবং ইস্তেগফার এবং নিজ প্রয়োজনকে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করা সব গুলারই নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সবগুলাই উম্মত করে থাকে। কেউ যদি নিজ প্রয়োজন বা ইস্তগফারকে মনের মধ্যে রেখে শুধুমাত্র দুরুদ পড়ে, তাহলে তার সবকিছুই পূর্ণ হবে। 

ii) আপনি পড়েন না কেন?পড়ুন বা পড়ার চেষ্টা করুন।  আর হুজুররা পড়েন না , এমনটা বলা যাবে না। বরং হুজুররা দুআর প্রথমে ও পরে এবং ওয়াজ নসিহতের প্রথমের ও পরে আরবীতে নবীর উপর দুরুদ পড়ে থাকেন। ওয়াজের পূর্বে যে খতবাহ দেয়া হয়, সেখানে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবীর উপর দুরুদ থাকে। 

(খ) সাহাবারা তীরের আঘাতকে সহ্য করে কোনো প্রকার নড়াচড়া না করে নামায আদায় করেছেন। সুতরাং ঐ দিকে আমাদেরকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। নামাযে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অযথা কেটে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়। হ্যা, যদি মশার উপদ্রব বেশী থাকে, এবং মশা কামড় দেয়, তাহলে প্রত্যেক রুকনে রুকুনে সর্বোচ্ছ দুই বার করে চুলাকানো যাবে। তিনবার করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। 

(গ) ইমামের সাথে নামাযে মুক্তাদি ঘুমিয়ে গেলে উক্ত ঘুমকে সুন্নতি ত্বরিকার ঘুম আখ্যায়িত করা হয়, এবং বলা হয় যে, উক্ত ঘুম নামাযকে ফাসিদ করবে না। সুতরাং তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় পর্যন্ত নামাযে কেউ ঘুমিয়ে গেলে তার নামায ফাসিদ হবে না। এবং তার অজুও ভঙ্গ হবে না। 

(ঘ) যেহেতু মানুষ সম্মানি তাই মানুষের জন্য তার প্রত্যেকটা অঙ্গকে সম্মান করতে হবে। যথা সম্ভব সম্মান করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। 
i) বাথরুমে বা বেসিনে দাড়ি চুল পড়ে গেলে যথাসম্ভব তা তুলে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েকদিনের এক সাথে একত্রিত করে দাফন করলে ঝামেলা কিছুটা কম হবে। আর যদি চেষ্টা সত্তেও চুলকে আটকানো সম্ভব না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। 

ii) নাপাক পানিতে যাতে না পড়ে সেই জন্য বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি পড়ে যায়, তাহলে হাত ব্যতীত অন্যকিছু দ্বারা উঠানো সম্ভব না হলে আর উঠানোর কোনো প্রয়োজন নাই। 

iii) আস্তে আস্তে করে একত্রিত করে কয়েকদিনের একসাথে একত্রিত করে দাফন করা যেতে পারে। 

iv) আমরা সবসময়ই যথাসম্ভব উঠানোর কথা বলছি, সুতরাং রাস্তা ঘাট থেকে তুলা সম্ভব না হলে তুলার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 

v) আপনার সুবিধা এবং অসুবিধার কথা চিন্তা করে তো শরীয়ত তার সমাধান বর্ণনা করবে না। বরং শরীয়ত আল্লাহ এবং রাসূল সাঃ এর বিধান বর্ণনা করবে। মুফতির নিকট দলীল চাওয়ার অধিকার কারো নাই। হ্যা, মাসআলা জানার অধিকার আছে। 
শরীয়তের দৃষ্টিতে গায়রে আলেমের জন্য মাস'আলা জানার অধিকার থাকলেও দলিল জানার কোনো অধিকার নেই। যেমন উকিলের কাছ থেকে আইন জানার অধিকার থাকলেও উক্ত আইনের দলিল জানার কোনো অধিকার নেই। ঠিকতদ্রুপ একজন চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থাকলেও উক্ত চিকিৎসার দলিল জানার কোনো অধিকার নেই। (আহসানুল ফাতাওয়া-১/৪০২)
হ্যা, আপনি যদি আই ও এমের ছাত্র হন, তাহলে অবশ্যই আপনি এখন আলেম হওয়ার দিকে এগুচ্ছেন, তাই আপনার অধিকার থাকবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি দলিল বুঝেন, তাহলে আপনি নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যা দেখবেন। 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺛُﻢَّ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺄَﻗْﺒَﺮَﻩُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।(সূরা আবাসা-২১)

(ঙ) জ্বী, উত্তম। কেননা তাদের ইবাদত ও ধর্ম পালন দেখে মুসলমানের মনের অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বিধায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
ঘুমের কারনে কেউ যদি তাশাহহুদ অবস্থায় বসে থাকে আর এদিকে ইমাম তৃতীয় রাকাত এর কেরাত পড়ে রুকুতে যায় আর সে তখন টের পেয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এরপর রুকুতে যায় তার কি নামায হবে? সে তো ইমামের সাথে কেরাত পড়ে নাই। 
by (589,140 points)

ঘুমের কারনে কেউ যদি তাশাহহুদ অবস্থায় বসে থাকে আর এদিকে ইমাম তৃতীয় রাকাত এর কেরাত পড়ে রুকুতে যায়, আর তখন সে তখন টের পেয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এরপর রুকুতে যায় তার নামায হবে।সে ইমামের সাথে কেরাত না ফেলেও কোনো সমস্যা নেই। কেননা সে তো কিয়াম করে নিয়েছে।
«رَجُلٌ سُبِقَ بِرَكْعَةٍ فِي صَلَاةٍ هِيَ مِنْ ذَوَاتِ الْأَرْبَعِ وَنَامَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي الثَّلَاثِ الْبَاقِيَةِ ثُمَّ انْتَبَهَ يَأْتِي بِمَا عَلَيْهِ فِي حَالِ نَوْمِهِ وَلَا يَقْرَأُ فِيهَا ثُمَّ يَقْعُدُ مُتَابَعَةً لِلْإِمَامِ ثُمَّ يَقُومُ وَيُصَلِّي رَكْعَةً بِقِرَاءَةٍ وَيَقْعُدُ وَيُتِمُّ صَلَاتَهُ.» - «الفتاوى الهندية» (1/ 93)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...