আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
537 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
reshown by

২০১৬ সালে নিজেরা গুনাহ থেকে বাচতে বিয়ে করি,পরিবারকে জানিয়ে বিয়ের কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না।আলহামদুলিল্লাহ দুজনেই প্র্যাক্টিসিং মুসলিম।দুজনের বাসায়ই বলা হয়েছে পছন্দ আছে এভাবে বিয়ের কথা জানানো হয় নি পরিবারে, ছেলে ব্যবসা করেন।ছেলের পরিবার রাজি,কিন্তু মেয়ের পরিবার কিছুতেই মানতে রাজি না ।তারা চায় চাকরিজীবী ছেলে, দুজনের কুফু বংশ দ্বীনদারিতা এসব দিক দিয়ে ঠিক আছে।কিন্তু মেয়ের বাবা চাকরিজীবি তাই চাকরিজিবি ছেলে চান ব্যবসা পছন্দ করেন না।মেয়ের পরিবার মেয়েকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মানসিক চাপে রেখেছে খুব, মেয়ের মাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন এসব কারনে, এখন আমাদের করণিয় কি? মেয়ের তো স্বামির কাছে যাওয়াও ফরজ আবার বাবা মার বাধ্য থাকাও ফরজ।এক্ষত্রে মেয়ে যদি এই অবস্থায় স্বামির কাছে চলে যায় তাইলে কি অবাধ্যতার গুনাহ হবে যদি কোনভাবেই মেয়ের পরিবারকে মানানো না যায়? করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (595,710 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনাদের জন্য এভাবে গোপনে চুরি করে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হয়নি। বরং আপনাদের উচিৎ ছিল, অপেক্ষা করা এবং মাতাপিতার পরামর্শে নিজ জীবন পরিচালনা করা। যাইহোক এখন যখন বিয়ে হয়েই গেছে, তাই আপনার স্ত্রী তার বাসায় বিয়ের কথা প্রকাশ করে দিবে। যদি তারা না মানে তাহলে সে মাতাপিতাকে না বলে বা বলে আপনার ওখানে চলে আসতে পারবে। এক্ষেত্রে মাতাপিতার অবাধ্যতার গোনাহ হলেও আপনাদের বিবাহিত জীবন বৈধ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
edited by
ji accha In sha Allah

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...