আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,017 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কি করব তাই আমি এখানে প্রশ্ন করছি। আমি দ্বীনের পথে নতুন। গত ৭ মাস ধরে, আমি ইসলামের পথে আসতেছি। নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেকটাই সফল কিন্তু আমার একটি জায়গায় খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্বীনে ফেরার আগে একজন ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয় এবং ভালো লেগে যায়। যখন দ্বীনের পথে আসলাম তখন বুঝতে পারলাম যে এগুলোর পরিণাম ভয়াবহ শাস্তি। যেহেতু আমি সম্পর্কেছিলাম তাই আমি চাচ্ছিলাম যে সম্পর্ক হালাল হোক। সে ও আমার কথা বুঝল এবং আলহামদুলিল্লাহ সে ও এখন দ্বীনের পথে এসেছে নামাজ পড়ছে এবং দাড়ি রেখেছে। আমিও পর্দা শুরু করেছি। দুইজন দূরত্ব বজায় রেখে চলছি, দুইজনের বাসায় ই বলেছি বিবাহ করার জন্য। তার বাসায় রাজি হয়েছে কিন্তু আমার বাসায় কিছুতেই রাজি হচ্ছে না বিগত মাসগুলোতে বোঝাছি, কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তাদের কথা হলো যে ভালো চাকরি মানে ভালো স্বামী। এখন আমাদের দুইজনের ই মনে হচ্ছে আমরা একে অপরের ফিতনায় পড়ে যাচ্ছি। আমরা হালাল হতে চাচ্ছি, আমরা চাই না আল্লাহর অবাধ্য বান্দা হতে কিন্তু নিজের নফস এর বিরুদ্ধে পেরে উঠছি না। এখন আমাদের কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মেয়ে আবেগতারিত হয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে।
কিন্তু পরিবার তারা বিবেক দ্বারা চিন্তা করতেছে।

কেননা মা এই পৃথিবীতে মেয়ের আগে এসেছে।অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে।বিয়ে সম্পর্কে মার অভিজ্ঞতা বেশী হওয়াই স্বাভাবিক।এবং পুরুষ হিসেকে বাবারও আলাদা একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে।সুতরাং মেয়ের জন্য মা এবং বাবার পরামর্শ মেনে নেয়াই কল্যাণকর।

মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও আপনারা যদি এখন পরিবারের মতামতকে উপেক্ষা করে বিবাহ করেন,তাহলে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

মেয়ে যদি অন্য কোনো চিন্তা না করে ঐ ছেলেকেই বিয়ে করে নেয়,আর ছেলের সাথে কু'ফুর মিল থাকে,তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»


আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!

(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
edited by
In this situation

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...