আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
364 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
হুরমত ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে চাচ্ছি না, তাও মন ভাবাচ্ছে, এটাই শেষ প্রশ্ন

১. কোন ছেলের হুরমতে মুসাহারাহ হয়ে গেলে তার ও তার বাবা-মায়ের মধ্যে পাপ কিভাবে হবে?

২.  হুরমত মুসাহারাত কি ক্ষমার যোগ্য অপরাধ? এর পাপ কি সুদের নিম্নস্তরের পাপের চেয়ে কম হওয়ার কথা?

৩. হুরমত সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির উপায় কি (না হয়ে মনে খুঁতখুঁত করে, ভবিষ্যতের ভয়)?

৪. কোন নারীকে শাহাওয়াতের সাথে স্পর্শ করলে সেক্ষেত্রে কি ব্যভিচারের গুণাহ বা শাস্তি প্রযোজ্য হবে?

৫. হুরমত বা ব্যভিচার এসব পাপ তো কোনভাবেই কুফরি, শিরকের থেকে বড় নয়, তাই না?

৬. যিহারের ফলে কি হুরমত সৃষ্টি হয় নাকি কাফফারা দিলেই চলে?

৫.

1 Answer

0 votes
by (711,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কোন ছেলের তার মায়ের হুরমতে মুসাহারাহ হয়ে গেলে তার বাবা-মায়ের মধ্যেকার বিয়ে ভেঙ্গে যাবে। কারণটা অনেক লজ্জাজনক ব্যাপার। সুতরাং এটা না জানাই উত্তম। বরং আপাতত এটাই বুঝুন যে, এটা আল্লাহর হুকুম। 

(২) তাওবাহ সবকিছুকে ক্ষমা করে দেয়। এমনকি খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে আল্লাহ শিরকের গোনাহ পর্যন্ত মাফ করে দেন। হুরমতে মুসাহারাহর গোনাহকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে হুরমতে মুসাহারাহর মাধ্যমে সাব্যস্তকৃত বিধান কখনো ক্ষমাযোগ্য হবে না। 

(৩) হুরমত সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির উপায়, ইসলামি কালচারকে নিজ ফ্যমিলিতে বাস্তবায়ন করা। অবাধে চলাফেরা না করা। নিজ মাহরামদের সামনেও ফিতনার দিক খেয়াল করে চলাফেরা করা। নিজ মা বোন ইত্যাদির সামনে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করা। 

(৪)  কোন নারীকে শাহাওয়াতের সাথে স্পর্শ করলে সেক্ষেত্রে ব্যভিচারের শরয়ী শাস্তি প্রয়োগ না হলেও যিনার মত গোনাহ হবে। 

(৫) হুরমত বা ব্যভিচার এসব কুফরি, শিরকের থেকে বড় না হলেও ব্যভিচারের পাপ কুফর শিরকের কাছাকাছি। 

(৬)যিহার দ্বারা স্বামী স্ত্রী মধ্যকার অস্থায়ী হুরমত সাব্যস্ত হয়। কাফফারা আদায় করে নিলে এ অস্থায়ী হুরমত দূর হয়ে যায়। 
যিহারের কাফফারা। 
একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫} বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/102


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...